Posts

Showing posts from 2024

যারা কখনও সুসমাচার শোনিনি তাদের কী হবে?

যারা কখনও সুসমাচার শোনিনি তাদের কী হবে? আমরা বুঝতে পারি যে প্রশ্নটি স্বাভাবিক কোনো প্রশ্ন নয়, আর এর উত্তর দিতেও তেমন আগ্রহ থাকে না। তবে খ্রীষ্টিয়ানেরা প্রায়ই এমন প্রশ্ন শুনে থাকেন। এ প্রশ্নটিকে অনেকে একটি আপত্তিকর প্রশ্ন বলেও মনে করুন। খ্রীষ্টের সুসমাচার না শুনে, যীশু খ্রীষ্টের সাথে পরিচিত না হয়েই যারা মারা যান তাদের সম্পর্কে কী বলা যায়, তাদের কী হবে? খ্রীষ্টের কথা যখন এই পৃথিবীর শত শত কৌটি মানুষের নাগালের বাইরে থেকে যায়, যীশু খ্রীষ্টকে নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছানো গেল না, পৌঁছানোর কোনো সুযোগই হলো না, তাদের কী হবে? যারা ঈশ্বরকে জানেনি, খ্রীষ্টের সুসমাচার না জানতে পেরে যারা বিশ্বাস করতে পারেনি, তারা কি ঈশ্বরের প্রেম ও ঈশ্বরের ভালোত্ব, তাঁর মঙ্গলময়তা জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো? ঈশ্বর যদি সত্য সত্যই প্রেমময়ই হয়ে থাকেন, এতই করুণাময় হয়ে থাকেন, তিনি যদি ভালো হয়েই থাকেন, তিনি যদি মানুষের উপযোগী হয়েই থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে এতো মানুষের ভাগ্যের সমাধান করবেন, যারা কখনই যীশু খ্রীষ্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়নি বা এখনও পাচ্ছেন না? যারা কিনা কখনই সুসমাচার শোনেনি, আর তাদের প্রতি ঈশ্বরের দোষারোপ কর

যৌবনে জীবন্ত ঈশ্বরকে স্মরণ কর!

“তুমি যৌবনকালে আপন সৃষ্টিকর্তাকে স্বরণ কর, যেহেতু দুঃসময় আসিতেছে, এবং সেই বৎসর সকল সন্নিকট হইতেছে, যখন তুমি বলিবে, ইহাতে আমার প্রীতি নাই” উপদেশক ১২:১,১-১৪ পদ সময় বয়ে যায়, দিন চলে যায় আর তা বুঝে ওঠার আগেই তরুণর বৃদ্ধ হতে থাকে। বয়স হওয় হওয়াটা কখনো এড়ানো যায় না। শৈশবকাল, বাল্যকাল, যৌবনকাল পৌরত্ব বৃদ্ধ হওয়া ঘটনা নির্দিষ্ট। তাই জীবনের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে আর যৌবন তার মধ্যে একটি। তরুন সময়টা ঠিক সেই সময় যখন তারা নিজেদের জন্য একটা জীবন গড়ার পরিকল্পনা করে . .  একটা ভালো শিক্ষা গ্রহণ করা, একটা সন্তোষজনক চাকরি পাওয়া, প্রচুর টাকাপয়সা অর্জন, থাকার জন্য একটা বাড়ীর মালিক হওয়া, বিবাহ করার জন্য একটা একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া।  এমন তালিকা অনেক দীর্ঘ হতে থাকে, সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। মনে রাখবেন এটা জীবনের কেবল একটি খুশি হওয়া, আর আর মা-বাবাকে সন্তোষ্ট করা। মনে রাখতে হবে যে এর সবকিছু শীঘ্রই শেষ হয়ে যায়। তাই যখন তরুণ তখন তাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে ভাবতে হয়।  তরুণরা যদি মনে করে যে তারা মৃত্যুর দিন পর্যন্ত সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে শুধ উপরে উঠতেই থাকবে, তাহলে তারা ভুল করছে। জীবন প্রতিটি পর্যায়ে একই রকম নয়। একজন

নতুন জন্ম

Image
পুনরায় জন্ম (নতুন জন্ম) The New Birth সুসমাচার প্রচারক জন ওয়েলেসলি-কে একজন ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কেন তিনি “তোমাদের অবশ্যই পুনরায় জন্ম হওয়া আবশ্যক” এই একই বিষয় নিয়ে বারবার প্রচার করছেন।  প্রচারক তাকে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘কারণ তোমাদের পুনরায় জন্ম হওয়া আবশ্যক’। আপনি কি পুনরায় অর্থাৎ নতুন জন্মলাভ করেছেন? নতুন জন্ম হওয়া ছাড়া আপনার নরক যন্ত্রণা থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোনো আশা নেই, এমনকি গৌরবময় স্বর্গ সুখভোগ করতে পারছেন না। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “তোমাদের নতুন জন্ম হওয়া আবশ্যক” যোহন ৩:৭ পদ। এমন কী কী বিষয় ধারণা করা যায় যা কখনই নতুন জন্ম নয়। নতুন জন্ম কখনো ধর্মাচরণ, ধর্মীয় আচার পালনে নয়।   নীকদীম নামে একজন ফরিসী, একজন ধর্মনিষ্ঠ গোড়া ধর্মকর্ম পালনের ব্যক্তি ছিলেন। তিনি যিহূদীদের মহাপর্ব সেই নিস্তার পর্ব, পাস্কা পর্বসহ ধর্মের সমস্ত পর্ব নিয়মিত পালন করতেন, দান-দশমাংশ দান করতেন, প্রার্থনা করতেন, বিভিন্ন পর্বে বলি উৎসর্গ করতেন, বিধি-ব্যবস্থা পালন করতে চেষ্টা করতেন। তিনি ধর্মীয় জীবনের সমস্ত কিছু মানতেন এবং পালন করতেন, নিয়মের বাইরের দিকটাও খুব যতেœর সংগে মেনে চলতেন। আর এই নীকদীমকেই কিনা প্রভু যী