Posts

Showing posts from 2019

যোষেফের বিশ্বাস ও তার সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন ছিল যীশুর জন্মগ্রহণে, যদিও বাইবেলে তাঁর সম্পর্কে আর বিস্তারিত লেখা হয়নি।

Image
“পরে যোষেফ নিদ্রা হইতে উঠিয়া, প্রভুর দূত তাঁহাকে যেরূপ আজ্ঞা করিয়াছিলেন, সেইরূপ করিলেন, আপন স্ত্রীকে গ্রহণ করিলেন” মথি ১:২৪ পদ সুসমাচার বলতে আমাদের কাছে মথি, মার্ক, লূক ও যোহন এই চারটি সুসমাচার রয়েছে। মথি লিখিত সুসমাচারে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, যিহূদীদের রাজা এবং মসীহর আগমনের প্রতিজ্ঞার কথা আমাদের বলে। মথি ১:১৮-২৫ পদে ঈশ্বরের বাক্য বলে “যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এইরূপে হইয়াছিল। তাঁহার মাতা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগ্দত্তা হইলে তাঁহাদের সহবাসের পূর্বে জানা গেল, তাঁহার গর্ভ হইয়াছে - পবিত্র আত্মা হইতে। আর তাঁহার স্বামী যোষেফ ধার্মিক হওয়াতে ও তাঁহাকে সাধারণের কাছে নিন্দার পাত্র করিতে ইচ্ছা না করাতে গোপনে ত্যাগ করিবার মানস করিলেন। তিনি এই সকল ভাবিতেছেন, এমন সময় দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে তাঁহাকে দর্শন দিয়া কহিলেন, যোষেফ, দায়ূদ-সন্তান, তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করিতে ভয় করিও না, কেননা তাঁহার গর্ভে যাহা জন্মিয়াছে, তাহা পবিত্র আত্মা হইতে হইয়াছে; আর তিনি পুত্র প্রসব করিবেন, এবং তুমি তাঁহার নাম যীশু (মুক্তিদাতা) রাখিবে; কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ করিবেন। এই সকল ঘটিল, যেন ভাববাদী দ্ব

“আপনি কি পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম পেয়েছেন?” কী উত্তর দেবেন?

লেখক: টমাস উইলিয়ামসন অনেক সময় খ্রীষ্টীয়ানেরা একটা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে পারেন যে, তার পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম হয়েছে কি-না বা তার মণ্ডলী পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্মে আছে কি-না। কীভাবে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে? পবিত্র আত্মা দ্বারা বাপ্তিস্মের বৈশিষ্ট্যরূপে বহু তত্ত্ব ও মতবাদ দেওয়া হয়েছে। এসব আলোচনা না করে আসুন আমরা পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম সম্পর্কে ভালোভাবে বাইবেলের শিক্ষা যাচাই করে দেখি। (যে গ্রিক শব্দ থেকে বাপ্তিস্ম কথাটা এসেছে। বাপ্তিস্ম সবসময় অবগাহন বা নিমজ্জন (ডুবানো)-কে উল্লেখ করে। অনেক সময় সরাসরি জলে অথবা কোনো তরল পদার্থে আর আক্ষরিক অর্থে কখনো নিমজ্জন (ডুবানো) অর্থে বুঝায়। এছাড়া এ শব্দের অন্য আর কোনো অর্থ নতুন নিয়ম কিংবা প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের কোথাও পাওয়া যায় না)। পবিত্র আত্মায় বাপ্তিস্ম সম্পর্কে যোহন বাপ্তাইজক মথি ৩:১১ পদে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যা ছিল একটি ভবিষ্যতের বিষয় এবং তা আগুনের সাথে সম্পর্কিত। “যিনি আমার পরে আসিতেছেন, তিনি আমা অপেক্ষা শক্তিমান, যাঁহার পাদুকা বহন করিবার যোগ্য আমি নই: তিনি তোমাদিগকে পবিত্র আত্মা ও অগ্নিতে বাপ্তাইজিত করিবেন।” বাইবেলের যে সমস্ত অন

পরিত্রাণ বিনামূল্যের দান হলেও সস্তা নয় যে তুচ্ছ করি। Salvation is free gift but not cheap.

Image
পরিত্রাণ বিনামূল্যের দান হলেও সস্তা নয় যে তুচ্ছের বিষয় ।  পরিত্রাণের সর্বোচ্চ মূল্য যীশু খ্রীষ্ট প্রদান করেছেন যেন পরিত্রাণ আমাদের বিনামূল্যে হয়। পরিত্রাণ ঈশ্বর যুগিয়েছেন যেন যে কেউ গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় বিনামূল্যে পেতে পারে। পরিত্রাণ যদি শিক্ষার ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে, তাহলে অনেকই পরিত্রাণ থেকে বাদ পড়ে যায়। পরিত্রাণ যদি ধন সম্পদের বিবেচনায় হয়ে থাকে, তাহলে অনেকেরই পরিত্রাণ থেকে বাদ পড়ে যায় পরিত্রাণ যদি নৈতিক গুণ, শুদ্ধতা, ভালো মানুষে নির্ভর করে, তাহলে সবাই পরিত্রাণ থেকে ছিটকে যায়। ঈশ্বর সকলের জন্য গ্রহণসাধ্য পরিত্রাণ গঠন করেছেন যাকিনা একজন ঈশ্বরের প্রতি মন ফিরিয়ে আর খ্রীষ্টে বিশ্বাসে ঈশ্বরের একজন সন্তানের মতো ক্ষমা পেয়ে থাকে। ঈশ্বরের গ্রহণসাধ্য এই পরিত্রাণেই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সমস্ত মানুষ একই মানের একই স্তরের। আর হ্যা, সবাইকে অবশ্যই এই একই শর্তেই আসতে হচ্ছে, কিন্তু নিজের শিক্ষার ভিত্তিতে নয়, ধনসম্পদে নয়, নৈতিক গুণে আর ভালো মানুষে নয়। “ধার্মিক কেহই নাই, এক জনও নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেণষ করে; এমন কেহই নাই”   রোমীয় ৩:৯,১০ পদ মানুষ মাত্রেই পাপী, হোক সে জগতের জাত বা ব

বিজাতীয় অর্থাৎ যিনি খ্রীষ্টের নন্ তাকে বিয়ে করা কি উচিত? হলে কী করা উচিত

একজন খ্রীষ্টিয়ানের কি তাকে বিয়ে করা কি উচিত, যিনি প্রভু যীশুর খ্রীষ্টের নন্।  বিষয়টি এখন বড় চিন্তার আর খুবই স্পর্শকাতর। এ সম্পর্কে পবিত্র বাইবেল আমাদের সঠিক নির্দেশনা দেয়।  বাইবেলে করিন্থীয় পুস্তকে অবিশ্বাসীকে অর্থাৎ যিনি খ্রীষ্টের নন, যিনি প্রভু যীশুকে ভালোবাসে না এরকম অসমভাবে জোয়ালিতে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করতে সাধু পৌল সতর্ক করেছেন, যেমন লেখা আছে . .  “তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরষ্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তরই বা কি সহভাগিতা?” ২ করিন্থীয় ৬:১৪ পদ।  যদিও এ পদটি একেবারে নির্দিষ্টভাবে বিবাহকে উদ্দেশ্যে করে লেখা হয়নি। তবুও সাধু পৌল আমাদের এ জগতের ভিন্ন বিশ্বাস, অধার্মিকতা, জড়জাগতিকতা, পৌত্তলিক চর্চাদের থেকে আমাদেরকে শুদ্ধ ও পবিত্র থাকতে বুঝিয়েছেন।  ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে অবিশ্বাসীদের যারা পাপে জীবন কাটাচ্ছে তাদের কি সম্পর্ক? আলো কি করে অন্ধকারের সঙ্গে একত্রে থাকতে পারে? একজন অবিশ্বাসীদের সঙ্গে অসঙ্গত সংসর্গের জোয়ালে নিজেকে আবদ্ধ করলে একজন বিশ্বাসীর জন্য ঈশ্বরের সাথে চলতে খুবই কঠিন হবে আর তাতে কিনা বিভিন্নভাবে পরিক্ষা, প্রলোভনে পর

সংরক্ষিত ঈশ্বরের বাক্য এবং যেভাবে কিং জেমস বাইবেল অনুবাদ করা হয়েছিল The preserved Word of God, and the way The King James Bible Translated

“তোমার পবিত্র মন্দিরের পানে আমি প্রণিপাত, ও তোমার অনুরাগসিক্ত দয়া ও তোমার সত্য প্রযুক্ত তোমার নামের স্তুতি করিব: কেননা তোমার সমস্ত নাম অপেক্ষা তুমি তোমার বচন মহিমান্বিত করিয়াছ” (গীতসংহিতা ১৩৮:২ পদ)। এ পর্যন্ত আমাদের পাঠ্যক্রমে আমরা তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। প্রথম প্রশ্ন, ঈশ্বর কি আমাদের নির্ভুলভাবে বাইবেল দিয়েছেন? উত্তর হ্যাঁ। প্রথম স্বহস্তলেখাগুলো যা ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে সর্বতোভাবে কোনো ভুল নেই। ঈশ্বর যেমন চেয়েছিলেন তদ্রুপ প্রত্যেকটি শব্দ ছিল সঠিক মনোনয়ন। প্রকৃতপক্ষে, এটি ঠিক মানুষের কোনো মনোনয়ন ছিল না, ছিল ঈশ্বরের নিজের পছন্দ। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, কেন ঈশ্বরকে আমাদের কাছে সঠিক বাইবেল দিতে হয়েছে? আমরা দেখেছি যে ঈশ্বরের জন্য প্রয়োজন ছিল যেন আমরা জানতে পারি ঈশ্বর কী বলেছেন, তাই তিনি আমাদের জন্য শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে সঠিক বাইবেল দিয়েছেন। আপনার জন্য সঠিক চিন্তাগুলো প্রকাশ করা সম্ভব নয়, যদি না আপনার চিন্তা প্রকাশ করার জন্য সঠিক শব্দগুলো (কথা) থাকে। আপনি যা চান সেসব আপনি সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারেন কিন্তু যদি আপনার কথায় তা প্রকাশ না পায়, আপনি কখনো আর একজনের কাছে