পরিত্রাণ বিনামূল্যের দান হলেও সস্তা নয় যে তুচ্ছ করি। Salvation is free gift but not cheap.
পরিত্রাণের সর্বোচ্চ মূল্য যীশু খ্রীষ্ট প্রদান করেছেন যেন পরিত্রাণ আমাদের বিনামূল্যে হয়।
পরিত্রাণ ঈশ্বর যুগিয়েছেন যেন যে কেউ গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় বিনামূল্যে পেতে পারে।
পরিত্রাণ যদি শিক্ষার ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়ে থাকে, তাহলে অনেকই পরিত্রাণ থেকে বাদ পড়ে যায়।
পরিত্রাণ যদি ধন সম্পদের বিবেচনায় হয়ে থাকে, তাহলে অনেকেরই পরিত্রাণ থেকে বাদ পড়ে যায়
পরিত্রাণ যদি নৈতিক গুণ, শুদ্ধতা, ভালো মানুষে নির্ভর করে, তাহলে সবাই পরিত্রাণ থেকে ছিটকে যায়।
ঈশ্বর সকলের জন্য গ্রহণসাধ্য পরিত্রাণ গঠন করেছেন যাকিনা একজন ঈশ্বরের প্রতি মন ফিরিয়ে আর খ্রীষ্টে বিশ্বাসে ঈশ্বরের একজন সন্তানের মতো ক্ষমা পেয়ে থাকে।
ঈশ্বরের গ্রহণসাধ্য এই পরিত্রাণেই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সমস্ত মানুষ একই মানের একই স্তরের।
আর হ্যা, সবাইকে অবশ্যই এই একই শর্তেই আসতে হচ্ছে, কিন্তু নিজের শিক্ষার ভিত্তিতে নয়, ধনসম্পদে নয়, নৈতিক গুণে আর ভালো মানুষে নয়।
“ধার্মিক কেহই নাই, এক জনও নাই, বুঝে, এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অন্বেণষ করে; এমন কেহই নাই” রোমীয় ৩:৯,১০ পদ
মানুষ মাত্রেই পাপী, হোক সে জগতের জাত বা বেজাতের, ধর্মের কি অধর্মের।
সারা বিশ্বে একজনও নির্দোষ নেই।
কেউই কখনও সত্যিকারার্থে ঈশ্বরের পথে চলেনি, চলতে চায়নি।
প্রত্যেকেই ভুল পথে চলছে, সবাই বিপথে গেছে
কোথাও কেউ সৎ-জীবন যাপন করছে না, না একজনও না।
মানুষের কথাবার্তা অশ্লীল আর নোংরা, যেন উন্মুক্ত কবর, দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।
তাদের জিভ মিথ্যায় ভরা, তাদের কথায় যেন হুল বেঁধাচ্ছে,
সব কথায় যেন কাল সাপের বিষ ঢালছে।
মুখে তাদের কটু কথা আর শাপ-শাপান্ত লেগেই আছে।
খুন করার জন্য তারা পা বাড়িয়েই আছে।
তারা সেখানেই যায় সেখানেই ধ্বংস আর দুর্দশা।
শান্তির পথ যে কী তা তারা জানে না।
তাদের দৃষ্টিতে ঈশ্বর ভয় বলে কিছু নেই।
তাই ঈশ্বর তাদের বিচার করবেন।
সব কথায় যেন কাল সাপের বিষ ঢালছে।
মুখে তাদের কটু কথা আর শাপ-শাপান্ত লেগেই আছে।
খুন করার জন্য তারা পা বাড়িয়েই আছে।
তারা সেখানেই যায় সেখানেই ধ্বংস আর দুর্দশা।
শান্তির পথ যে কী তা তারা জানে না।
তাদের দৃষ্টিতে ঈশ্বর ভয় বলে কিছু নেই।
তাই ঈশ্বর তাদের বিচার করবেন।
গালাতীয় ৩:২২ পদ
“কিন্তু শাস্ত্র সকলই পাপের অধীনতার রুদ্ধ করিয়াছে, যেন প্রতিজ্ঞার ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু বিশ্বাসীদিগকে দেওয়া যায়।”
আমরা সবাই পাপের কাছে বন্দী।
পাপে বন্দী থেকে উদ্ধারের একমাত্র উপায় হলো জীবন্ত ও করুণাময় ঈশ্বরের দিকে মন ফিরিয়ে যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করা, তাঁকে প্রভু বলে গ্রহণ করা।
যারা নিজেদের জীবন সম্পর্কে পাপ চেতনায়, অনতপ্ত, অনুশোচনায়, নিজের জীবন সম্পর্কে লজ্জিত হয়ে জীবন্ত ঈশ্বরের দিকে মন পরিবর্তন করেন আর তার জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহের দান সেই খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেন, তাদের সকলের জন্যই পরিত্রানের এই পথ খোলা আছে।
“কিন্তু শাস্ত্র সকলই পাপের অধীনতার রুদ্ধ করিয়াছে, যেন প্রতিজ্ঞার ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু বিশ্বাসীদিগকে দেওয়া যায়।”
আমরা সবাই পাপের কাছে বন্দী।
পাপে বন্দী থেকে উদ্ধারের একমাত্র উপায় হলো জীবন্ত ও করুণাময় ঈশ্বরের দিকে মন ফিরিয়ে যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করা, তাঁকে প্রভু বলে গ্রহণ করা।
যারা নিজেদের জীবন সম্পর্কে পাপ চেতনায়, অনতপ্ত, অনুশোচনায়, নিজের জীবন সম্পর্কে লজ্জিত হয়ে জীবন্ত ঈশ্বরের দিকে মন পরিবর্তন করেন আর তার জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহের দান সেই খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেন, তাদের সকলের জন্যই পরিত্রানের এই পথ খোলা আছে।
পৌল বলেছেন . .
“কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই. ঈশ্বরেরই দান; তাহা কর্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা (গর্ব) করে” ইফিষীয় ২:৮,৯ পদ
ঈশ্বরের দয়ারগুণেই পাপীরা খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করে পরিত্রাণ পায়, আর সেই বিশ্বাস পাপীদের মধ্য থেকে উৎপন্ন হয়নি, কিন্তু ঈশ্বরেরেই দান।
পরিত্রাণ লাভ করা কত-না সহজ!!
১। পরিত্রাণ দ্বারে ঢোকার মতই এতো সহজ। যীশু বলেন, . .
“হ্যা, আমিই দ্বার, যারা এই দ্বার দিয়া ভিতরে প্রবেশ করে,তারা পরিত্রাণ পায়” যোহন ১০:৯ পদ।
২। পরিত্রাণ যাকিনা কোনো সাহায্য বা উপকার পাবার জন্য কাউকে ডাকার মতোই এতো সহজ।
“যে কেউ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাবে” রোমীয় ১০:১৩ পদ।
৩। পরিত্রাণ কারো ডাকে তার কাছে সহজে হাজির হবার মতোই এতো সহজ।
“হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিন” মথি ১১:২৮ পদ।
৪। পরিত্রাণ উপহার/দান গ্রহণ করার মতোই এতো সহজ।
“কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন” রোমীয় ৬:২৩ পদ।
৫। পরিত্রাণ জল পান করার মতোই এতো সহজ।
“কিন্তু আমি যে জল দিব, তাহা যে কেহ পান করে, তাহার পিপাসা আর কখনও হইবে না; বরং আমি তাহাকে যে জল দিব, তাহা তাহার অন্তরে এমন জলের উনুই হইবে, যাহা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উনুই হইবে” যোহন ৪:১৪ পদ।
৬। পরিত্রাণ খাদ্য গ্রহণ করার মতোই এতো সহজ।
“আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে। কেহ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে, আর আমি যে খাদ্য দিব, সে আমার মাংস, জগতের জীবনের জন্য”
যোহন ৬:৫১ পদ।
৭। পরিত্রাণ ঈশ্বরকে সহজ সরলভাবে বিশ্বাস করার মতোই এতো সহজ।
“সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে আমার উপর বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে” যোহন ৬:৪৭ পদ।
কিন্তু অনেকই এই সহজ সরল পরিত্রাণে হোঁচট খাচ্ছে।
অনেকে মনে করেন, এরকম আশ্চর্য জিনিষ অর্জন করেতে তাদের অবশ্যই কিছু-না কিছু করা প্রয়োজন।
হ্যা, আমরা যেন বিনামূল্যে পরিত্রাণ পেতে পারি সেজন্য অবশ্যই কিছু একটা করা হয়েছে, কিন্তু যীশু এর সবকিছুই তিনি করেছেন, আপনাকে করার জন্য কিছুই অবশিষ্ট নাই।
আমাদের বিনামূ্ল্যে পরিত্রাণের জন্য যীশু খ্রীষ্টকে অপমানিত হতে হয়েছে, তাঁকে রক্ত ঝরাতে হয়েছে, তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। আবার আমাদের প্রভু হবার জন্য তিনি জীবিত হয়েছেন।
যীশু খ্রীষ্টের এসব বিষয়ের জন্য আমাদের কাছে ঈশ্বরের চাওয়া যেন আমরা বিশ্বাস করি যে যীশু আমাদের পাপের জন্য তিনি রক্ত ঝরিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আমাদের প্রভু হওয়ার জন্য তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিতও হয়েছেন। আর পিতা ঈশ্বর চাইছেন আমরা যেন তাঁর দিকে মন ফিরিয়ে আমাদের বিশ্বাসে হৃদয় অন্তর থেকে যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহণ করি।
আপনার খাঁটি ও সত্য বিশ্বাসে জীবনের এক পরিবর্তন স্থাপিত হয়।
কেন সকলে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে সঠিক সম্পর্ক গড়ছে না?
পরিত্রাণ আমাদের জন্য বিনামূল্যের দান।
এই দানের জন্য যীশু খ্রীষ্টকে তাঁর মহামূল্য রক্ত ও জীবন দিয়ে পরিশোষ করতে হয়েছে যেন আমরা বিনামূল্যে পরিত্রাণ পাই।
তবুও যারা যারা ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা যখন শোনে যে যীশু তাদের পরিত্রাণের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন তখন তাদের কাছে তা হাস্যকর মনে হয়।
অথচ আমরা যারা যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া পরিত্রাণ লাভ করেছি, আমরা জানি যে এই বার্তায় ঈশ্বরের মহাশক্তি নিহিত আছে।
পাঠ করুন : ১ করিন্থীয় ১:১৮ পদ।
Comments