Posts

Showing posts from 2021

মুশকিল আসান !!

Image
দু’বছর আগে বাস যাত্রায় একজন যাত্রীর আঙ্গুলে এসব পাথরের আংটিগুলো দেখলাম। কিছু লোক মনে করেন, কিছু মূলবান পাথরে অতিপ্রাকৃতিক শক্তি আছে। হীরা, পান্না, মুক্ত, পদ্মরাগমণি বা চুনি, নীলকান্ত মনি, ইত্যাদি পাথর সম্বন্ধে বলা হয় যে, এসব পাথর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘজীবন, ধনসম্পদ, সাফল্য বা প্রেম এনে দেয়। কোনো কোনো স্ত্রীলোক তাদের স্বামীদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষার জন্য হাতে লাল-সাদা শাঁখা, কপালে ও সিঁথিতে সিদুঁর পরে। আবার অনেকে তাদের সুস্বাস্থ্য, সফলতা ও নিরাপত্তার জন্য কোমরে মোটা কালো সূতা বেঁধে রাখে। এমন সব অনেক কিছুরই ব্যবহার আছে যা আমরা চারপাশে দেখতে পাই। ঈশ্বর চান যেন তাঁর সন্তানেরা সৌভাগ্যের পাথর, তাবিজ-কবচ ইত্যাদিতে বিশ্বাস না করে তাদের প্রয়োজন পূরণের জন্য একমাত্র ঈশ্বরের উপরেই বিশ্বাস ও নির্ভরতা রাখবে। ঈশ্বরের পবিত্র বাক্য বাইবেলে এসব যাদুশক্তিসম্পন্ন তাবিজ-কবচ ব্যবহারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যিহিষ্কেল ১৩:১৮,২০-২১ পদ “তারপর সদাপ্রভু . . বললেন, . . তোমরা তো লোকদের হাতের জন্য তাবিজ এবং মাথা ঢাকবার জন্য বিভিন্ন মাপের কাপড় তৈরি কর যাতে তোমরা সেই লোকদের বশ করতে পার। তোমরা কি আমার লোকদের প্রাণ শিকার করছ আর ন

প্রণাম, কদমবুসি এবং মস্তক অবনত করে অন্যের পায়ের ধুলা নিজের কপালে লেপন

Image
প্রণাম, কদমবুসি এবং মস্তক অবনত করে অন্যের পায়ের ধুলা নিজের কপালে লেপন, মানুষকে প্রণিপাত করা সম্পর্কে কয়েকটি কথা।  সনাতন ধর্মে বলে প্রতিটি জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করেন আর সেই ঈশ্বরকে অভিবাদন জানানই হলো প্রমাণ ও নমস্কার। নমস্কার হাত জোড় করে কপালে ঠেকিয়ে করতে হয় আর প্রাণাম করতে হয় ষষ্টাঙ্গ বা অষ্টাঙ্গ ভাঙ্গিতে, আত্মসমর্পণ। বয়স্করা পূজনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাই তাদের পা ছুয়ে এমন সম্ভাষণ বা অভিনন্দন প্রদান।  হিন্দুধর্মাবলম্বী এবং বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এমনটা দেখা যায়। এসব তাদেরই শিক্ষা। ব্রাক্ষ্মণের “পদপ্রান্তে প্রণিপাত”, সাধারণ কোনো হিন্দু ব্রাক্ষ্মণের সামনে এলেই ব্রাক্ষ্মণ তার বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল উঁচু করে ধরে রাখতো, আর সেই হিন্দু তার কপাল সেই আঙুলের মাথায় ঠেকাতো। আর ব্রাক্ষ্মণ যখন সেই বুড়ো আঙুল টেনে নিতো তখনই সেই হিন্দু তার কপাল তুলে নিতে পারতো। ব্রাক্ষ্মণ ধর্মে এ রীতি আদিম।  এদেশের হিন্দুরা খ্রীষ্টিয়ান অর্থাৎ খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হলে এই হিন্দুয়ানী ব্রাক্ষ্মণ্য প্রথা “পদপান্তে প্রণিপাতকে”-ই খ্রীষ্টিয়ানদের প্রণাম ও প্রণিপাতে পরিণত করে দিয়েছে। এক কথায় সম্পূর্ণ হিন্দুয়ানী প্রথাকে খ্রীষ্টিয়া

ঈশ্বর কেন এমন মরণব্যাধি দিচ্ছেন, এসব কী শেষ কালের লক্ষণ?

Image
করোনাভাইরাস সংক্রামক ব্যাধির সংগে আমরা এখন পরিচিত হয়েছি। এর আগেও ইবোলা নামে আরেকটি ছোঁয়াচে রোগের কথা শুনেছি। এ দুটো রোগই মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরেছে। এ রোগের লক্ষণ, শরীরে তাপমাত্র বেড়ে যায়, সর্দি হাঁচি কাশিসহ শ্বাসযন্ত্রের এবং ফুসফুসের সংক্রমণ, গলাব্যথা ও ক্লান্তি। আমাদের অনেকেরই  প্রশ্ন, ঈশ্বর কেন এমন মরণব্যাধি দিচ্ছেন, এসব কী শেষ কালের লক্ষণ? বাইবেলে বিশেষভাবে পুরাতন নিয়মে বহু এমন ঘটনা উল্লেখ আছে যে ঈশ্বর তাঁর লোকদের উপর এবং তাঁর শত্রুদের উপর কঠিন কঠিন সব মহামারী প্রয়োগ করেছিলেন। “আমার সর্বপ্রকার আঘাত প্রেরণ করিব; . . আমার প্রভাব তোমাকে দেখাই . . ”  যাত্রাপুস্তক ৯:১৪,১৬ পদ। ঈশ্বর ইস্রালীয়দের ফরৌণের দাসত্ব থেকে ও মিসর থেকে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য করতে মিশরে পীড়াদায়ক সব মহামারীর দুর্যোগে আঘাত করেছিলেন। তাদের উপর এমন সব আক্রমনের থেকে ঈশ্বরের লোকেরা ঐসব আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। “অতএব তোমরা যে যে গৃহে থাক, তোমাদের পক্ষে ঐ রক্ত চিহ্নস্বরূপে সেই সেই গৃহের উপরে থাকিবে; তাহাতে আমি যখন মিসর দেশকে আঘাত করিব, তখন সেই রক্ত দেখিলে তোমাদিগকে ছাড়িয়া অগ্রে যাইব, সংহারের আঘাত তোমাদের উপরে পরিবে না”  যাত

কোরবানির গোস্ত

Image
দাদা , আপনি কোরবানির গোস্ত খান ? এ প্রশ্নটা কয়েক বছর আগে কোরবানী ঈদের দু’দিন পর এক   সকালে একজন মুসলিম ভদ্রলোক আমাকে করেন।  অনেক মুসলিম ভদ্রলোক ছিলেন সেখানে এছাড়াও একজন হিন্দু ভদ্রলোকও সেখানে ছিলেন।  সকালে হাটতে যাই চন্দ্রিমা উদ্যানে , অনেকে যান।  হাটার পর একজন বুড়ির চায়ের টং - এ অনেকে বসেন চা খান , আমিও বসি।  যাহোক আজ যারা ছিলেন তারা সবাই জানেন আমি খ্রীষ্টিয়ান আর প্রচারকও।  সবাই বেশ ভদ্র , শিক্ষিত , এখন অবসর জীবন। প্রশ্নটা আমি কয়েক সেকেন্ড ভেবে বললাম , আমি গোস্ত খাই।  হিন্দু ভদ্রলোক আমাকে ইঙ্গিত করে বলেলেন উনারা সব খান।  বুঝতে পারলাম আমার সেখানে উপস্থিত হওয়ার আগেই ঐ হিন্দু ভদ্রলোকের সাথে অন্যান্যদের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। অবশ্যই ওনাদের বিশ্বাস যে কোরবানির গোস্ত খেলে কিংবা কোনো   দেবতাদের উদ্দেশ্যে কোনো নাড়ু , সন্দেশ , কলা , চিড়াদই এই প্রসাদ খেলে সোয়াব হবে , ভাগ্য ভালো , আশির্বাদের কারণ হবে। এখন আমি ঘরে এসে লিখতে বসলাম। আমরা বিশ্বাস করি না কোনো দেবতাদের (god and goddess) ,