Posts

Showing posts from August 1, 2021

মুশকিল আসান !!

Image
দু’বছর আগে বাস যাত্রায় একজন যাত্রীর আঙ্গুলে এসব পাথরের আংটিগুলো দেখলাম। কিছু লোক মনে করেন, কিছু মূলবান পাথরে অতিপ্রাকৃতিক শক্তি আছে। হীরা, পান্না, মুক্ত, পদ্মরাগমণি বা চুনি, নীলকান্ত মনি, ইত্যাদি পাথর সম্বন্ধে বলা হয় যে, এসব পাথর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘজীবন, ধনসম্পদ, সাফল্য বা প্রেম এনে দেয়। কোনো কোনো স্ত্রীলোক তাদের স্বামীদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষার জন্য হাতে লাল-সাদা শাঁখা, কপালে ও সিঁথিতে সিদুঁর পরে। আবার অনেকে তাদের সুস্বাস্থ্য, সফলতা ও নিরাপত্তার জন্য কোমরে মোটা কালো সূতা বেঁধে রাখে। এমন সব অনেক কিছুরই ব্যবহার আছে যা আমরা চারপাশে দেখতে পাই। ঈশ্বর চান যেন তাঁর সন্তানেরা সৌভাগ্যের পাথর, তাবিজ-কবচ ইত্যাদিতে বিশ্বাস না করে তাদের প্রয়োজন পূরণের জন্য একমাত্র ঈশ্বরের উপরেই বিশ্বাস ও নির্ভরতা রাখবে। ঈশ্বরের পবিত্র বাক্য বাইবেলে এসব যাদুশক্তিসম্পন্ন তাবিজ-কবচ ব্যবহারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যিহিষ্কেল ১৩:১৮,২০-২১ পদ “তারপর সদাপ্রভু . . বললেন, . . তোমরা তো লোকদের হাতের জন্য তাবিজ এবং মাথা ঢাকবার জন্য বিভিন্ন মাপের কাপড় তৈরি কর যাতে তোমরা সেই লোকদের বশ করতে পার। তোমরা কি আমার লোকদের প্রাণ শিকার করছ আর ন

প্রণাম, কদমবুসি এবং মস্তক অবনত করে অন্যের পায়ের ধুলা নিজের কপালে লেপন

Image
প্রণাম, কদমবুসি এবং মস্তক অবনত করে অন্যের পায়ের ধুলা নিজের কপালে লেপন, মানুষকে প্রণিপাত করা সম্পর্কে কয়েকটি কথা।  সনাতন ধর্মে বলে প্রতিটি জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করেন আর সেই ঈশ্বরকে অভিবাদন জানানই হলো প্রমাণ ও নমস্কার। নমস্কার হাত জোড় করে কপালে ঠেকিয়ে করতে হয় আর প্রাণাম করতে হয় ষষ্টাঙ্গ বা অষ্টাঙ্গ ভাঙ্গিতে, আত্মসমর্পণ। বয়স্করা পূজনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাই তাদের পা ছুয়ে এমন সম্ভাষণ বা অভিনন্দন প্রদান।  হিন্দুধর্মাবলম্বী এবং বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এমনটা দেখা যায়। এসব তাদেরই শিক্ষা। ব্রাক্ষ্মণের “পদপ্রান্তে প্রণিপাত”, সাধারণ কোনো হিন্দু ব্রাক্ষ্মণের সামনে এলেই ব্রাক্ষ্মণ তার বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল উঁচু করে ধরে রাখতো, আর সেই হিন্দু তার কপাল সেই আঙুলের মাথায় ঠেকাতো। আর ব্রাক্ষ্মণ যখন সেই বুড়ো আঙুল টেনে নিতো তখনই সেই হিন্দু তার কপাল তুলে নিতে পারতো। ব্রাক্ষ্মণ ধর্মে এ রীতি আদিম।  এদেশের হিন্দুরা খ্রীষ্টিয়ান অর্থাৎ খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হলে এই হিন্দুয়ানী ব্রাক্ষ্মণ্য প্রথা “পদপান্তে প্রণিপাতকে”-ই খ্রীষ্টিয়ানদের প্রণাম ও প্রণিপাতে পরিণত করে দিয়েছে। এক কথায় সম্পূর্ণ হিন্দুয়ানী প্রথাকে খ্রীষ্টিয়া