Posts

Showing posts from 2023

কে সেই যীশু? তিনি খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের সেই প্রতিশ্রুত পুত্র, তিনি মুক্তিদাতা। প্রভু আমার ঈশ্বর আমার!

Image
কে সেই যীশু? তিনি খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের সেই প্রতিশ্রুত পুত্র, তিনি মুক্তিদাতা। প্রভু  আমার ঈশ্বর আমার। ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তিনি সূর্য, চন্দ্র আর তারকা সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত বৃক্ষ আর তৃণ ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। তিনি পাখীদের, মাছ আর পশুদের সৃষ্টি করেছেন কিন্তু ঈশ্বরের সবচেয়ে সুন্দর ও চমৎকার কাজ ছিল মানুষ সৃষ্টিতে। ঈশ্বর পুরুষ মানুষ সৃষ্টি করলেন আর যখন বুঝলেন মানুষের একাকী থাকা ভালো নয়, তিনি সেই পুরুষ মানুষের সঙ্গী আর তৃপ্তির জন্য স্ত্রীলোক গঠন করলেন। তিনি পুরুষ মানুষকে আদম বলে ডাকলেন আর স্ত্রীলোকটিকে আদমের মাধ্যমে হবা নামকরণ করা হলো। আদম ও হবার বসবাসের জন্য এদন নামে একটি সুন্দর বাগান ঈশ্বর প্রস্তুত করলেন। কত দিনের জন্য তারা সেখানে সুখভোগে বসবাস করেছিল তা আমরা জানি না, কিন্তু আমরা জানি যতদিন তারা ঈশ্বরের বাধ্য ছিল আর যতদিন তারা পাপ করে নাই, ততদিন পর্যন্ত তারা অত্যন্ত সুখী ছিল। বাগানে ঈশ্বর বিশেষ গাছ রেখেছিলেন যা-কিনা আদম ও হবার জন্য ছিল না। তারা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেই গাছের যত্ন নিতে পারত, কিন্তু ঐ গাছের ফল খাওয়া তাদের জন্য বারণ ছিল। মানুষ মন্দকে জানুক তা ঈশ্বর চাননি, তিনি

ইতিহাসে দু’টি সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা - যীশু খ্রীষ্টের জন্ম ও তাঁর মৃত্যু। খ্রীষ্টকে জানুন।

Image
মানবজাতির ইতিহাসে দু’টি সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা ছিল যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এবং তাঁর মৃত্যু। বড়দিন আপনার খ্রীষ্টকে জানুন। বড়দিন কখনই কোনো জাতীয় নেতাদের মতো নয়, ধর্মীয় কোনো গুরুদের মতো নয়,  রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিদের মতো জন্ম হওয়া নয় যারা তাদের জন্মের পর বড় বড় অর্জন করেছেন আর কিনা মৃত্যুবরণ করেছেন। বড়দিন অত্যন্ত বিশেষ একজনের জন্মদিন। যিঁনি নাসারতীয় যীশু খ্রীষ্ট, যিনি ২০০০ বছরেরও আগে এ ভূবনে এসেছিলেন আর এখনো জীবিত আছেন। তাঁর জন্মগ্রহণে - রাজাদের ভয়ে কাপিয়ে দিয়েছিল, রাজারা রাগে উত্তেজিত হয়েছিল। তাঁর ফুঁতে - শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করছিল। তাঁর কাপড়ের একটি কোনার স্পর্শে - ১২ বছরের রোগ মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়েছিল। তাঁর থুতুতে - জন্মান্ধের চোখ খুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রার্থনায় - ৫টি রুটি, ৫০০০ রুটিতে পরিণত হয়েছিল। তাঁর দৃষ্টিতে - সাধারণ একজন জেলে ক্ষমতাশালী প্রেরিতশিষ্যে গঠন হয়েছিল। তাঁর উপস্থিতে - মন্দ আত্মার বাহিনিরা বিরক্ত হয়েছিল, নিদারুণ যন্ত্রণা পেয়েছিল। তাঁর সুবুদ্ধি এবং বিচক্ষণতায় - আইন প্রণয়নকারী পণ্ডিতব্যক্তিরা বিভ্রান্ত হয়েছিল। তাঁর স্পর্শে - কুষ্ঠরুগী শুচি হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে - কবরের মুখ খুল

সৃষ্টি The Creation. জগতকে সৃষ্টি করা হয়েছে, না কি নিজ নিজে তৈরি হয়েছে? Was the Universe Created or did it evolve?

Image
আমরা আদিপুস্তকে সৃষ্টি বর্ণনাতে বিশ্বাস করি এবং এসব যেভাবে বর্ণিত সেভাবেই বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু রূপক বা আলংকারিকভাবে নয়। ঈশ্বর সম্পূর্ণ তাঁর নিজের প্রতিমূর্তি এবং তাঁর ইচ্ছা অনূসারে মানুষকে সৃষ্টি করেন। সুতরাং মানুষ বিবর্তনের ধারায় সৃষ্ট নয় (not a matter of evolution or evolutionary change of species)। অথবা দীর্ঘ সময়ের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিন্মতর থেকে উচ্চতর আকৃতি লাভ করেনি। সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ সরাসরি ঈশ্বরের নিয়মে নিজ প্রজাতিতে (after their kind) সৃষ্টি হয়েছে। জগতকে সৃষ্টি করা হয়েছে, না কি নিজ নিজে তৈরি হয়েছে?  বাইবেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মৌলিক শিক্ষা হলো সৃষ্টি, ঈশ্বর ও শাস্ত্রের বিপক্ষগণ তা জানেন। বাইবেলের এই মৌলিক সত্য সম্পর্কে তাদের তীব্র আক্রমণ চলমান আছে। যদি সৃষ্টি সম্পর্কে বাইবেলের বর্ণনার উপর থেকে বিশ্বাস ধ্বংস করা যায়, তাহলে অবশিষ্টগুলো অর্থাৎ অন্যান্য সমস্ত ধ্বংস করা সহজ হবে। যদি মানুষকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি এবং তাঁর ইচ্ছা অনুসারে সৃষ্টি করা না হয় তাহলে মানুষের অবাধ্যতা ও পতন থেকে উদ্ধার করার জন্য কোনো মুক্তিদাতারও প্রয়োজন নেই। তাহলে বাইবেলের গুরুত্ব খুব সীমিত আর অসমাপ্ত

খ্রীস্টিয়ানিট অর্থাৎ খ্রীষ্ট বিশ্বাস কি শুধু স্বেতাঙ্গদের অর্থাৎ সাদা মানুষেরই?

Image
একবার একজন আমাকে প্রশ্ন করলেন “আপনি কেন সাদাদের খ্রীষ্টিয়ান ধর্ম প্রচার করেন?” খ্রীষ্টিয়ানিটি কি শুধু স্বেতাঙ্গদের-ই? “খ্রীষ্টিয়ান” কথাটা যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু আর তাঁর পুনরুত্থানের পরপরই প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। এই পরিচয়টা তাদেরকেই দেওয়া হয়েছিল যারা যীশুকে তাদের একমাত্র মুক্তিদাতা ও প্রভু বলে তাঁকে গ্রহণ করেছিল, স্বীকার করেছিলে যে তিনি ঈশ্বর-পুত্র, তিনি জগতে পাপীদের মুক্তির জন্য ক্রুশে রক্ত ঝরিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, তৃতীয় দিনে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন আর তিনি যে জীবনধারা শিখিয়েছিলেন তার দৃষ্টিান্ত/উদাহরণ হয়ে উঠেছিল।  ঠিক সেই সময় থেকে খ্রীষ্টিয়ানিটি অর্থাৎ খ্রীষ্টিয় বিশ্বাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, দেশের সরকারদের প্রভাবিত করেছে আর মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন করেছে। খ্রীস্টিয়ানিটির একটি শিক্ষা হলো সমস্ত মানুষের সাধারণ উৎস “আর তিনি (ঈশ্বর) এক ব্যক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন, যেন তাহারা সমস্ত ভূতলে বাস করে; তিনি তাহাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করিয়া দিয়াছেন; যেন তাহারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, যদি কোনো মতে হাতড়াইয়া হাতড়াইয়া তাঁহার উদ্দেশ পায়, অথচ তিনি আমাদের কাহারও হইতে দূ

যদি পবিত্র দূতের অস্তিত্ব থাকে, তাহলে তারা কী করে? If good Angels exist, what do they do?

Image
শয়তান হলো পতিত দূতদের প্রধান এ বিষয়ে আলোচনা শেষ করার আগে, পবিত্র স্বর্গদূতগণ আছে কি না সে বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। যদি পবিত্র দূতগণেরা থাকে তাহলে তাঁদের পরিচর্যার ধরণ জানা উচিৎ। আমরা দেখলাম যে কিছু দূত শয়তানের প্রতি অনুগত হয়ে পতিত হয়েছে, সবাই নয়। আমরা বাইবেল থেকে স্পষ্ট শিক্ষা পাই যে পবিত্র স্বর্গদূগণেরা আত্মিক সত্ত্বার (spirit beings) যাঁরা ঈশ্বরের গৌরব ঘোষণা এবং তাঁর আদেশ পালন করে। অনেক বছর আগের কথা, একদল বুদ্ধিজীবী এবং বিজ্ঞান সমাজ দূতদের অস্তিত্ব নিয়ে উপহার করেছিল, তাচ্ছিল্য করেছিল। তারা দাবি করলেন যে তারা স্বর্গদূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। তারা কোনো আধ্যাত্মিক জগতের কথা বিশ্বাস করে না, এমনকি অলৌকিক্ অতিপ্রাকৃতিক ও আধ্যাত্মিক অস্তিতের (supernatural realm) ঘটনাও বিশ্বাস করে না। সাম্প্রতিক সময়ে উঠতি নতুন দর্শন ও রহস্যময় (New age philosophy) এবং ঐন্দ্রজালিক/জ্যেতির্বিদ্যা (occult), মানুষ পুনরায় তারা আধ্যাত্মিক ও অলৌকিক্ অতিপ্রাকৃতিক জগত এবং স্বর্গদূতগণের সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে শুরু করে। গত বিশ বছরে স্বর্গদূত সম্পর্কে অজস্র বই প্রকাশ পেয়েছে, কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামকে উল্লেখ না করেই

কীভাবে লোকেরা শয়তানের উপর জয়লাভ করবে এবং তার শেষ পরিণতি কী হবে? How does one overcome the Devil and what will be his end?

Image
কীভাবে লোকেরা শয়তানের উপর জয়লাভ করবে এবং তার শেষ পরিণতি কী হবে? যীশু খ্রীষ্টের মানুষরূপে জন্ম লাভের একটা প্রধান কারণ হলো শয়তানের কাজকে ধ্বংস করা, ১ যোহন ৩:৮ পদ “যে পাপাচরণ করে, সে দিয়াবলের; কেননা দিয়াবল আদি হইতে পাপ করিতেছি, ঈশ্বরের পুত্র এই জন্যই প্রকাশিত হইলেন, যেন দিয়াবলের কার্য সকল লোপ করেন।” শয়তান জগতে ঈশ্বরের কাজকে বেছে বেছে ধ্বংস করেছে। সেজন্য ঈশ্বরের পুত্র তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যীশু জগতে এসে আমাদের মতো মানুষের রূপ ধারণ করলেন যেন তিনি শয়তানকে জয় করে তার কাজকে ধ্বংস করতে পারেন। ইব্রীয় পুস্তকের লেখক বলেন যে মৃত্যুর উপর শয়তানের ক্ষমতা আছে, খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার সেই ক্ষমতা ধ্বংস হবে, ইব্রীয় ২:১৪,১৫ পদ “ভাল, সেই সন্তানগণ যখন রক্তমাংসের ভাগী, তখন তিনি নিজেও তদ্রূপ তাহার ভাগী হইলেন; যেন মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্তৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থাৎ দিয়াবলকে শক্তিহীন করেন, এবং যাহারা মৃত্যুর ভয়ে যাবজ্জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।” শয়তানের মৃত্যুর উপর ক্ষমতা আছে কারণ সে প্রথম পাপ করাতে প্রথম পাপী, পাপের প্রতি প্রথম প্রলোভনকারী, প্ররোচক সে আর পাপের পরিণতি হ

শয়তান এবং অন্যান্য স্বর্গদূত। The Devil and other Angelic Creation. শয়তানের উৎপত্তি ও তার কাজ কী? How did the Devil originate and what is his mission.

Image
শয়তান এবং অন্যান্য স্বর্গদূত। The Origin of Satan. আমরা বিশ্বাস করি যে দিয়াবল, যাকে শয়তান বলা হয়, সে পবিত্র দূত এবং স্বর্গীয় সম্মানে ভূষিত ছিল। কিন্তু সে সর্বশক্তিমানের সমান হবার অহংকার ও উচ্চাশায় গর্বিত হলে সদলবলে তাঁকে নিচে নিক্ষেপ করা হয়। সে এখন এ যুগের, আকাশের কর্তৃত্বের অধিপতি চরম অপকারী শক্তি এবং জগতের বিপক্ষগণের অশুভ পাপময় প্রভু (unholy god)। সে মানুষের মহা প্রলোভনকারী, ঈশ্বর এবং খ্রীষ্টের শত্রু, ধার্মিকের অপবাদক, ভ্রান্তধর্মের স্রষ্টা এবং ধর্মত্যাগীদের উদ্দীপক; খ্রীষ্টারির প্রভু, অন্ধকারের সমস্ত শক্তির কর্তা; তা সত্বেও, তার চুড়ান্ত পরিণতি হলো ঈশ্বরের পুত্রের হাতে পরাজয় এবং চুড়ান্ত বিচারে নরকে নিক্ষেপ, যে স্থান তার এবং তার দলের জন্য তৈরি। বাইবেলে যেমন শয়তান কর্তৃক পতিত দূতগণের কথা লেখা আছে তেমন ঈশ্বরের আদেশ পালনকারী দূতগণের কথাও আছে। শয়তানের উৎপত্তি ও তার কাজ কী? How did the Devil originate and what is his mission? যখন ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করলেন তখন তিনি “সকলই অতি উত্তম” করে তৈরি করেছিলেন (আদিপুস্তক ১:৩১ পদ)। এমনকি তখন দূতদের দলেও দুষ্টতা, পাপ কিংবা অশুভ কোনো কর্ম দূতের ছিল না। কিন্

বাপ্তিস্ম এবং পবিত্র আত্মার পূর্ণতা কি এক? Are the Baptism and the Filling of the Holy Sprit the same?

Image
বাপ্তিস্ম এবং পবিত্র আত্মার পূর্ণতা কি এক? Are the Baptism and the Filling of The Holy Spirit the Same? গত এক শত বছরে খ্রীষ্টিয় পরিমণ্ডেলে পবিত্র আত্মার বাপ্তিস্ম মতবাদ নিয়ে বিস্তর মতভেদ তৈরি হয়েছে। প্রৈরিতিক মণ্ডলীগুলোর (Pentecostal churches) চিন্তাধারার মেনে চলা বা তাদের সঙ্গে জড়িদের সাধারণ বিশ্বাস হলো নতুন জন্মের পরে পর্যায়ক্রমে ঘটনাটি ঘটে এবং পরভাষায় কথা বলার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন হয়। একটু মনোযোগ দিয়ে নতুন নিয়ম পাঠ করলে ভিন্ন সমাধান পাওয়া যায়। পবিত্র আত্মার বাপ্তিস্ম কোনো একচেটিয়া অভিজ্ঞতা নয় যা কেবল “অভিজাত খ্রীষ্টিয়ান” (Christian elite) এর জন্য সংরক্ষিত। এটা সমস্ত খাঁটি বিশ্বাসীর জন্য একটি সার্বজনীন অর্থাৎ ব্যাপক ও সার্বিকভাবে  অভিজ্ঞতা (it is a universal experience encompassing all true believers)। বাইবেলে কেবল চারজন লোক পবিত্র আত্মার সম্পর্কে উদ্ধৃতি দিয়েছে: যীশু খ্রীষ্ট, যোহন বাপ্তাইজক, পিতর এবং পৌল। পবিত্র আত্মার বাপ্তিস্ম (the baptism of the Holy Spirit) এবং পবিত্র আত্মার পূর্ণতা (the filling of the Holy Spirit) প্রায় সময় একই আভিজ্ঞতা হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু এসব পৃথক আত্মিক কা

পবিত্র আত্মার কাজ কী? What is the mission of the Holy Spirit?

Image
 পবিত্র আত্মার কাজ কী? একদিন সন্ধ্যাবেলা যীশু তাঁর শিষ্যদের তাঁর আসন্ন বিদায়, তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বললেন। তখন এ বিষয়টি শিষ্যদের ভীষণভাবে ব্যথিত করল। কিন্তু তিনি তাঁদের আশ্বাস দেন যে তাঁদের অসহায় রেখে যাবেন না। বরং তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে পবিত্র আত্মাকে তারা পাবেন। “আমি তোমাদিগকে অনাথ রাখিয়া যাইব না, আমি তোমাদের নিকটে আসিতেছি” যোহন ১৪:১৮ পদ)। যখন খ্রীষ্ট জগতে ছিলেন তখন তিনি যা করেছেন পবিত্র আত্মা তাঁদের জন্য তাই করবেন। খ্রীষ্ট যেভাবে ছিলেন তিনি সেভাবে থাকবেন।  পবিত্র আত্মা সৃষ্টির শুরু থেকেই জগতে সক্রিয় আছেন। “পৃথিবী ঘোর ও শূন্য ছিল, এবং অন্ধকার জলধির উপরে ছিল, আর ঈশ্বরের আত্মা জলের উপরে অবস্থিত করিতেছিলেন” (আদিপুস্তক ১:২ পদ)। পুরাতন নিয়ম জুড়ে তাঁর কাজের কথা বারবার বলা হয়েছে। যখন যীশু জগতে ছিলেন তখন পবিত্র আত্মা মহাশক্তিতে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পঞ্চাশত্তমীর (Pentecost) দিনে তাঁর আসল কাজ শুরু হয়। জগতে পবিত্র আত্মার কাজ তিনি (পবিত্র আত্মা) খ্রীষ্টকে প্রকাশ করেন। পবিত্র আত্মার প্রভাবেই কেবল যীশুকে প্রভু বলে স্বীকার করা যায়। পৌল নিশ্চিত করেন যে পবিত্র আত্মার সাহায্য ছাডা কেউ যীশুকে প্রভু বলতে