কীভাবে লোকেরা শয়তানের উপর জয়লাভ করবে এবং তার শেষ পরিণতি কী হবে? How does one overcome the Devil and what will be his end?

কীভাবে লোকেরা শয়তানের উপর জয়লাভ করবে এবং তার শেষ পরিণতি কী হবে?

যীশু খ্রীষ্টের মানুষরূপে জন্ম লাভের একটা প্রধান কারণ হলো শয়তানের কাজকে ধ্বংস করা, ১ যোহন ৩:৮ পদ “যে পাপাচরণ করে, সে দিয়াবলের; কেননা দিয়াবল আদি হইতে পাপ করিতেছি, ঈশ্বরের পুত্র এই জন্যই প্রকাশিত হইলেন, যেন দিয়াবলের কার্য সকল লোপ করেন।” শয়তান জগতে ঈশ্বরের কাজকে বেছে বেছে ধ্বংস করেছে। সেজন্য ঈশ্বরের পুত্র তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। যীশু জগতে এসে আমাদের মতো মানুষের রূপ ধারণ করলেন যেন তিনি শয়তানকে জয় করে তার কাজকে ধ্বংস করতে পারেন। ইব্রীয় পুস্তকের লেখক বলেন যে মৃত্যুর উপর শয়তানের ক্ষমতা আছে, খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার সেই ক্ষমতা ধ্বংস হবে, ইব্রীয় ২:১৪,১৫ পদ “ভাল, সেই সন্তানগণ যখন রক্তমাংসের ভাগী, তখন তিনি নিজেও তদ্রূপ তাহার ভাগী হইলেন; যেন মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্তৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থাৎ দিয়াবলকে শক্তিহীন করেন, এবং যাহারা মৃত্যুর ভয়ে যাবজ্জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।” শয়তানের মৃত্যুর উপর ক্ষমতা আছে কারণ সে প্রথম পাপ করাতে প্রথম পাপী, পাপের প্রতি প্রথম প্রলোভনকারী, প্ররোচক সে আর পাপের পরিণতি হলো মৃত্যু। প্রকৃতপক্ষে, শয়তান ইতঃপূর্বে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু তার চূড়ান্ত মৃত্যু এখনো ভবিষ্যতের জন্য তোলা রয়েছে।

কীভাবে শয়তানের উপর বিজয় লাভ করা যায় 

শয়তান বাস্তব সত্বা, কল্পিত চরিত্র নয়। 
শয়তান সম্পর্কে একটি প্রচলিত কথা আছে যে মানুষের জন্য অধিকতর ভালো হলো শয়তানের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। যখন কোনো লোক শয়তানের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে তখন সে আরো বেশি তার ছলনাতে পড়ে। 

আপনি অবশ্যই স্বীকার করবেন যে সে আছে, সে মহাশক্তি ও প্রতারণার সত্বা, আপনার পতনই তার একান্ত কামনা। সে আত্মার শত্রু, সে আপনার প্রাণের শত্রু। আপনার দূর্বলতা সে আপনার চেয়ে ভালো জানে, আপনার পতনের কারণ সে, আর এগুলো হতে পারে অহংকার (pride), অসৎ কামনা (lust) বা লোভ (covetousness); সে সব সময় আপনার সুরক্ষার দূর্বলতা খুজে; তাকে যেমন আপনার শত্রু জানতে হবে তেমন আপনাকে ধ্বংস করার জন্য সে যেসব কৌশল ব্যবহার করে সে সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

শয়তানের উপর বিজয় সম্ভব কিন্তু কেবল মানুষের শক্তিতে বিজয় অর্জন করা যেতে পারে না। 

২ করিন্থীয় ১০:৩-৫ পদ “আমরা মাংসে চলিতেছি বটে (আমরা সাধারণ দুর্বল মানুষ মাত্র) কিন্তু মাংসের বশে যুদ্ধযাত্রা করিতেছি না (কিন্তু আমাদের যে সংগ্রাম তাতে জয়লাভের জন্য জাগতিক পন্থা ও কার্যপ্রণালী প্রয়োগ করি না।) কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র মাংসিক নহে, কিন্তু দুর্গসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে পরাক্রমী (শয়তানের দুর্গ ভেঙ্গে ফেলার জন্য মানুষের তৈরি নয় কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া মহাশক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র আমরা ব্যবহার করি।”

শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আমাদের অস্ত্রশস্ত্র খুব শক্তিশালী কারণ আমরা বাহুবলে নিজেদের শক্তিতে যুদ্ধ করি না, বরং সর্বশক্তিমানের ক্ষমতায় আমরা যুদ্ধ করি। 

সখরিয় ৪:৬ পদ “. . . এ সরুব্বাবিলের প্রতি সদাপ্রভুর বাক্য, ‘পরাক্রম দ্বারা নয়, বল দ্বারাও নয়, কিন্তু আমার আত্মা দ্বারা,  ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন”

গীতিকার যেমন লিখেছেন: “বাহুবল তোমার কিছুই নয়, নিজের শক্তিতে কর না নির্ভর।”

আমাদের এবং সুসমাচারের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শয়তান কতগুলো অস্ত্র ব্যবহার করে; যেমন-অসাড় কল্পনা (vain imaginations), মাংসিক (জাগতিক) যুক্তি (fleshly reasoning) বা আত্ম-অহংকার (proud) ইত্যাদি। এইসব অস্ত্রগুলোকে ঈশ্বরের শক্তিতে পরাস্ত করা হয়। যীশু নামের আত্মিক অস্ত্রের সামনে শয়তানের কোনো অস্ত্র কার্যকর নয়; এমনকি শয়তান নিজেও নয়।

দিয়াবলের উপর বিজয়ের সুযোগ ঈশ্বর রেখেছেন। 

ঈশ্বর আপনাকে সব রকম আত্মিক অস্ত্র দিয়েছেন। 

পাঠ করুন : ইফিষীয় ৬:১০-১৭ পদ। 

আমাদের যে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয় সে হলো দিয়াবল (the Devil), আমাদের যুদ্ধের সেনাপতি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট (the Lord Jesus Christ), যুদ্ধের ঘোষণাপত্র হলো সুসমাচার (the Gospel), যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা যে নীতিমালা আমরা নিজেরা অনুসরণ করি তা হলো ঈশ্বরের বাক্য (the Word of God)। 

যে যুদ্ধে আমরা নিযুক্ত তাতে কেউ জয়লাভ করতে পারবে না যদি ভালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত না হয়। পৌল আমাদের সতর্ক করে বলেছেন “ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর”, শয়তানের প্রতারণা ও সবরকম কৌশল ব্যর্থ করার জন্য উপযুক্ত অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে (ইফিষীয় ৬:১১ পদ)। সমগ্র (সম্পূর্ণ) যুদ্ধসজ্জা পড়তে হবে, শরীরের কোনো অংশ শয়তানের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত রাখা যাবে না। এটা আরো গুরুত্বপূর্ণ এই বিবেচনায় যে আমাদের শত্রুরা হলো রাজশক্তি (principalities), ক্ষমতাবান (powers), শাসকবর্গ (rulers) এবং উচ্চস্থলের দুষ্ট আত্মা (wicked spirits in high places)। 

ঐগুলো হলো ঈশ্বরের যুদ্ধসজ্জা (armor of God)। নিজেদের অস্ত্র পছন্দ করার সুযোগ আমাদের নেই। আমরা যে যুদ্ধসজ্জা ও অস্ত্রের ব্যবহার করব তার ধরণ সীমাবদ্ধ করেছেন ঈশ্বর। যুদ্ধসজ্জা পরিধানের উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে: যেন আমরা শয়তানের ছলনার বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়াতে পারি (ইফিষীয় ৬:১১ পদ)। 

পৌল প্রতিটা যুদ্ধসজ্জার পরিচয় দিয়েছেন। যুদ্ধসজ্জাগুলো প্রাচীন যোদ্ধারা ঠিক যেভাবে পড়ত সেভাবে একের পর এক নির্ণয় করা হয়েছে। প্রথমতঃ খ্রীষ্টিয়ান সৈনিক “সত্যের কটিবন্ধনীতে” (girt about with truth) হবেন (ইফিষীয় ৬:১৪ পদ)। যুদ্ধসজ্জা পড়ার আগে, নিচের পোশাক অবশ্যই একত্রে বাঁধতে হবে।ঈশ্বর ভিতরের, অন্তরের সত্য আশা করেন। সত্য হলো খ্রীষ্টিয়ান সৈনিকের কোমরবন্ধনী (soldier's belt)। এর দ্বারা বেষ্টিত হলে, সে শয়তানের চালাকি এবং মিথ্যাচারে দূর্বল হবে না। 

দ্বিতীয়তঃ হলো “ধার্মিকতার বুকপাটা পরিয়া” (the breastplate of righteousness) (ইফিষীয় ৬:১৪ পদ)। সচ্চরিত্র, ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি বাধ্যতা এইসবকে বুঝান হয়েছে। ধার্মিকতার জন্য সত্য জেনেও অনুসরণ না করলে যুদ্ধসজ্জায় ফাঁক তৈরি হয়। 

তৃতীয়তঃ উপযুক্ত পাদুকা। “শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া . .” (feet shod with the preparation of the gospel of peace) (ইফিষীয় ৬:১৫ পদ)। শান্তির সুসমাচার শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পায়ের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

চতুর্থতঃ “বিশ্বাসের ঢাল ও গ্রহণ কর” (taking the shield of faith) (ইফিষীয় ৬:১৬ পদ)। এর দ্বারা সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা হয়। বিশ্বাস বলতে পৌল বুঝিয়েছেন ঈশ্বরের উপর পূর্ণ নির্ভরশীলতা, এটাই হলো বিশ্বাসের উপাদান। পৌল একজন সৈনিকের জন্য যেসব অস্ত্রের কথা বলেন, এটি হলো তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। “এই সকল ছাড়া” (above all)  তিনি বলেন “বিশ্বাসের ঢাল ও গ্রহণ কর” (taking the shield of faith)। “অগ্নিবান নির্বাপিত” (fiery darts) জ্বলন্ত বর্শাকে ঢাল প্রতিহত করে, যার দ্বারা বুঝানো হয়েছে লোকের খুরধার চিহ্বা (sharp tongues), পাপাচার (impurity), স্বার্থপরতা (selfishness), সন্দেহ (doubt), ভয় (ভবধৎ), অসন্তোষ (disappointment) ইত্যাদি, এগুলোকে শয়তান ও তার বাহিনী জগতকে প্রজ্বলন ও ধ্বংসের জন্য তৈরি করে। পৌল জানাতেন যে কেবল ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসপূর্ণ নির্ভরশীলতা শয়তানের ঐ ধ্বংসাত্মক বর্শাকে প্রতিহত এবং নিশ্চিহ্ন করতে পারে।

পঞ্চমতঃ অস্ত্রটি হলো “পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ” (the helmet of salvation) (ইফিষীয় ৬:১৭ পদ), এই কথায় পাপের শাস্তি থেকে রক্ষায় জন্য ঈশ্বরের দান সেই পরিত্রাণই কেবল উল্লেখ করে না, কিন্তু এছাড়াও পাপের শক্তি থেকে নিরাপদ রাখতেও তার সাহায্য হয়। সুরক্ষিত করার আশা এবং অতীতের বন্ধন থেকে উদ্ধারের আত্মবিশ্বাস ছাড়া খ্রীষ্টিয়ানরা সহজেই দ্বন্ধে আক্রান্ত হতে পারে। দিয়াবল আমাদের হতাশ করার জন্য প্রলুব্ধ করবে, কিন্তু বর্তমান এবং ভবিষ্যতের উদ্ধারের আশা আমাদের ঈশ্বরের উপর ভরসা করে এবং তাঁর মধ্যে আনন্দিত করে।

ষষ্ঠতঃ শেষ কথা হলেও না বললেই নয় যে খ্রীষ্টিয়ানদের জীবনের অংশ হলো “আত্মার খড়গ” (the sword of the Spirit) (ইফিষীয় ৬:১৭ পদ)। যখন পৌল এই বাক্য লিখলেন তখন একজন যোদ্ধার জন্য তলোয়ার খুব দরকারি এবং উপকারি ছিল। ঈশ্বরের বাক্য গলিয়তের তরবারির মতো অন্য কিছুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যীশু মরুভূমিতে শয়তানের প্রতারনাকে শাস্ত্রের বাক্য দিয়ে প্রতিরোধ করেছিলেন (“লেখা আছে” পাঠ করুন: মথি ৪:১-১১ পদ)। এই ঘটনাটি আমাদের কাছে উৎসাহ এবং দৃষ্টান্তমূলক, ঈশ্বরের বাক্য জেনে ও বুঝে নিজেকে রক্ষা করার জন্য, যেন আমরা ছলনার দিনে শক্তভাবে দাঁড়াতে সক্ষম হই। শাস্ত্রের যুক্তি প্রতারনাকে প্রতিরোধ করতে শক্তিশালী যুক্তি। পাপের বিরুদ্ধেও? শাস্ত্রের কথা ভাবুন। বিশ্বাস সহকারে প্রতিদিন অব্যর্থ এই অস্ত্রটি পড়ৃন। জীবনের কঠিন সমস্যার সময় বেশি করে পড়ৃন। যুদ্ধে নামা কোনো সৈনিক তার সজ্জা ও অস্ত্র ফেলে যায় না। তার জীবন বেঁচে থাকে সমর সজ্জায়, যুদ্ধের সাজসজ্জায়। সুতরাং বিশ্বাসীর অভিজ্ঞতা অনুরূপ হতে হবে। প্রতিদিনের প্রতিকূলতা এবং দুষ্টতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসীর সব সময় সজাগ থাকতে হবে। আমাদের যুদ্ধ শেষ হবে না যতদিন মৃত্যু কিংবা খ্রীষ্ট তাঁর কাছে আমাদের তুলে না নেবে। 

দিয়াবল আপনার কাছ থেকে পালাবে যখন আপনি তাঁকে প্রতিরোধ করবেন।

যাকোব ৪:৭ পদ “অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে” 

যখন আপনি দিয়াবলকে সুযোগ দেন তখন ঘুরে ফিরে সমস্যা তৈরি হয়।

ইফিষীয় ৪:২৭ পদ “আর দিয়াবলকে স্থান দিও না”

বিশ্বাসীদের যে পবিত্র আত্মার দান ঈশ্বর দিয়েছেন, আপনি সেই দানের মধ্যেও সান্তনা পেতে পারেন। জগতে যত বড় শত্রুই আপনার বিরুদ্ধে প্রবল হোক না কেন এই দানগুলো তার বিরুদ্ধে পরাক্রমশালী, এমনকি স্বয়ং শয়তানের বিরুদ্ধেও।

১ যোহন ৪:৪ পদ “বৎসেরা, তোমরা ঈশ্বর হইতে এবং উহাদিগকে জয় করিয়াছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যবর্তী, তিনি জগতের মধ্যবর্তী ব্যক্তি অপেক্ষা মহান।”

শয়তানের পরিণতি

এক পক্ষে খ্রীষ্ট ও তাঁর অনুসারিরা এবং অন্য পক্ষে শয়তান ও তার বাহিনী, এই দু’পক্ষের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ চলছে; এসব কথা বাইবেল স্পষ্টভাবেই বলছে। এই তীব্র সমরের বা যুদ্ধের প্রমাণ হলো যীশু বিরুদ্ধে শয়তানের প্রতারণা (পাঠ করুন: মথি ৪:১-১১ পদ), এবং যীশু অনেকবার দিয়াবলের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছেন (পাঠ করুন: লূক ২২:৩১-৩৪ পদ)। 

শয়তানের চূড়ান্ত বিনাশ সম্পর্কে আদিপুস্তক ৩:১৫ পদে পূর্বেই বলা হয়েছে। সেখানে সতর্ক করে শয়তানকে বলা হয়েছে যে নারীর বংশ, খ্রীষ্ট যীশু, তার মাথা গুড়িয়ে দেবে।

গালাতীয় ৩:১৬ পদ “ভালো, অব্রাহামের প্রতি ও তাঁহার বংশের প্রতি প্রতিজ্ঞা সকল উক্ত হইয়াছিল। তিনি বহুবচনে ‘আর বংশ সকলের প্রতি’ না বলিয়া, একবচনে বলেন, “আর তোমার বংশের প্রতি” সেই বংশ খ্রীষ্ট।” 

প্রকাশিত বাক্য ২০ অধ্যায়ে আমরা পড়ি যে শয়তানকে এক হাজার বছরের জন্য বেঁধে রাখা হবে (প্রকাশিত বাক্য ২০ অধ্যায়ের ২ এবং ৩ পদগুলো) আর কিছুকাল মুক্ত থাকার পর আগুন ও গন্ধকের হ্রদে ফেলে দেওয়া হবে (প্রকাশিত বাক্য ২০:১০ পদ)। খ্রীষ্ট প্রকাশ করেন যে শয়তানের দূতদের পরিণতি এ রকমই হবে।

মথি ২৫:৪১ পদ “পরে তিনি বামদিকে স্থিত লোকদিগকেও বলিবেন, ওহে শাপগ্রস্ত সকল, আমার নিকট হইতে দূর হও, দিয়াবলের ও তাহার দূতগণের জন্য যে অনন্ত অগ্নি প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার মধ্যে যাও” 

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে শয়তানের রাজ্যের ধ্বংস ঘটবে। সে এবং তার সঙ্গি-সাথীরা, যাঁরা গর্জনকারী হিংস্র সিংহের মতো লোককে গ্রাস করতে ওৎপেতে থাকে তারা সহসা ছাড়া পাবে না। 

দৃশ্যতঃ যত প্রবল ও দূর্জয় প্রতিয়মান হোক না কেন এটা নিশ্চিত যে শয়তানের দিন সংক্ষিপ্ত। শাস্ত্র শয়তানের আসন্ন ধ্বংস নিশ্চিত করেছে। যখন সে অগ্নিহ্রদে (lake of fire) চিরতরে থাকবে তখন প্রসন্নতার দিন ফিরে আসবে।

 


Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?