কে সেই যীশু? তিনি খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের সেই প্রতিশ্রুত পুত্র, তিনি মুক্তিদাতা। প্রভু আমার ঈশ্বর আমার!

কে সেই যীশু?
তিনি খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের সেই প্রতিশ্রুত পুত্র,
তিনি মুক্তিদাতা।
প্রভু  আমার ঈশ্বর আমার।

ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তিনি সূর্য, চন্দ্র আর তারকা সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত বৃক্ষ আর তৃণ ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। তিনি পাখীদের, মাছ আর পশুদের সৃষ্টি করেছেন কিন্তু ঈশ্বরের সবচেয়ে সুন্দর ও চমৎকার কাজ ছিল মানুষ সৃষ্টিতে।

ঈশ্বর পুরুষ মানুষ সৃষ্টি করলেন আর যখন বুঝলেন মানুষের একাকী থাকা ভালো নয়, তিনি সেই পুরুষ মানুষের সঙ্গী আর তৃপ্তির জন্য স্ত্রীলোক গঠন করলেন। তিনি পুরুষ মানুষকে আদম বলে ডাকলেন আর স্ত্রীলোকটিকে আদমের মাধ্যমে হবা নামকরণ করা হলো।

আদম ও হবার বসবাসের জন্য এদন নামে একটি সুন্দর বাগান ঈশ্বর প্রস্তুত করলেন। কত দিনের জন্য তারা সেখানে সুখভোগে বসবাস করেছিল তা আমরা জানি না, কিন্তু আমরা জানি যতদিন তারা ঈশ্বরের বাধ্য ছিল আর যতদিন তারা পাপ করে নাই, ততদিন পর্যন্ত তারা অত্যন্ত সুখী ছিল।

বাগানে ঈশ্বর বিশেষ গাছ রেখেছিলেন যা-কিনা আদম ও হবার জন্য ছিল না। তারা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেই গাছের যত্ন নিতে পারত, কিন্তু ঐ গাছের ফল খাওয়া তাদের জন্য বারণ ছিল।

মানুষ মন্দকে জানুক তা ঈশ্বর চাননি, তিনি চাননি যেন তাঁর সন্তানেরা ঐ গাছের ফল ভোজন করুক। এমনকি আমরা চাই না যে আমাদের সন্তানেরা জানুক পাপ কী? তারা এ জগতের খারাপ জিনিষের অংশীদার হোক, এটাও আমরা চাই না। ঈশ্বর চাননি আদম ও হবা তাদের মধুর নিষ্কলঙ্কত্ব, নির্মলতা হারিয়ে ফেলুক। নিষ্কলঙ্কত্ব হলো বিশুদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা আর পবিত্রতা।

ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করার পূর্বে ঐশ্বরিভাবে একটি স্থান প্রস্তুত করেছিলেন যাকে স্বর্গ বলে। ঈশ্বর স্বর্গীয় সত্ত্বায় হাজার হাজার অনেককে গঠন করেছেন, যারা তাঁকে সেবা আর তাঁর আরাধনা করেন। এসব ঐশ্বরিক সৃষ্টি আমাদের কাছে দূতরূপে পরিচিত। এইসব মস্ত বড় বাহিনী যথাযথ শৃঙ্খলায় থাকে ঈশ্বরের আদেশে চলছে। এই দায়িত্বশীল দলের নায়ক মহা দূত ছিল - যাকে প্রধান স্বর্গদূত বলা হতো।

কিছুকালের জন্য একজন প্রধান দূত ছিলেন, যাকে তার গর্ব, অহংকার আর বিরোধিতার কারণে লূসিফর নামকরণ করা হয়েছিল।

লূসিফরকে সমর্থনের জন্য বহু দূূতগণকে সে নিজের পথে এনেছিল আর তারা একসঙ্গে সিংহাসনের ক্ষমতা দখল করতে গোপনে ছলচাতুরীপূর্ণ লড়াই শুরু করেছিল আর সে ক্ষমতা ও সিংহাসন একমাত্র ঈশ্বরেরই অধিকারে। এর পরিণতিতে ঈশ্বর লূসিফর আর সেসব দূতরা যারা বিদ্রোহ করেছিল তাদের স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করে শাস্তি দিয়েছিলেন। ঈশ্বর তাদের শাস্তি দানের জন্য একটি স্থান প্রস্তুত করেছিলেন। এই শাস্তির স্থান হলো আগুনের একটি ভয়ঙ্কর হ্রদ, যাকে নরক বলা হয়।

এদের পতিত হবার ফলস্বরূপ, লুসিফর, যে কিনা শয়তান, সে ঈশ্বরকে ঘৃণা করে আর ঈশ্বরের সুন্দর পৃথিবী নষ্ট করার চেষ্টা করে। এতে সে নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পুনরায় একটি পথ খুঁজছিল। সে বাগানে সাপের রূপ ধারণ করে ফিরে এসেছিল আর চতুরতায় ও ছলনায় হবাকে সদসদ্-জ্ঞানদায়ক বৃক্ষের ফল খাইয়ে প্রতারণা করেছিল। হবা আদমকেও ঐ ফল দিয়েছিল, যা সে নিজেও খেয়েছিল।

ঈশ্বর তাদেরকে এদন বাগান ত্যাগের আদেশের দ্বারা শাস্তি দিয়েছিলেন। তিনি তা করেছিলেন কারণ তিনি জানতেন যে জীবনবৃক্ষের ফল খাবার জন্য তাদেরকে প্রলুব্ধ করা হবে বা শয়তানের দ্বারা তারা পরীক্ষায় পড়বে আর এভাবে তারা চিরকাল পাপে জীবনযাপন করবে। আর ঈশ্বরের সঙ্গে কখনোই মানুষের সহভাগিতা পুনস্থাপন করা সম্ভব হবে না, যাকে তিনি তাঁর নিজের সঙ্গেই সহভাগিতার জন্য সৃষ্টি করেছিলেন।

তাদের অবাধ্যতায় পাপ করার জন্য ঈশ্বরের অভিশাপ প্রথম সেই পরিবারের প্রতি এসেছিল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত, সমস্ত বংশধরগণ, এই পৃথিবীর মানুষদের কাছ থেকে পাপস্বভাব নিয়ে, পাপ করার ইচ্ছা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই কারণে ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষা দিতে হয় না যে কেমন করে পাপ (মিথ্যাবলা, ঠকানো, অবাধ্যতা, বিরোধিতা) করতে হয়। একটি শিশু ধীরে ধীরে নিজের থেকেই কথা বলতে সক্ষম হওয়ার পরে এই পাপের বৈশিষ্ট্যটি শিশুটির মধ্যে প্রকাশ পায় না কিন্তু শিশুর মধ্যে এই পাপের বৈশিষ্ট্যটি এর বহু আগে থেকেই থাকে। পাপের আচরণ স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়। একজন পাপী পাপের আচরণ ছাড়া জীবনযাপন করতে পারে না। প্রতিটি মানুষ তাদের ভিতরে অবস্থিত এক পাপস্বভাব নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, আর সেই কারণে স্বভাবত তাদের আচরণ নিশ্চিতভাবে পাপজনক।

আদম ও হবার দুঃখ আর ঈশ্বরের দ্বারা তখন তাদের তাড়িয়ে দেওয়া ছাড়াও তাদের আবাসস্থান ছিল অত্যন্ত চমৎকার। যা-হোক, ঈশ্বর তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি একজন মানব শিশুকে পাঠাবেন, যিনি তাদের পাপের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে নিজেকে প্রদান করবেন।

হাজার হাজার বছর ধরে এই প্রতিজ্ঞার কথা বলা ছিল আর এমনকি পিতার থেকে পুত্রের কথা বলা ছিল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এবং বংশ পরম্পরায় এই পুত্রের আগমনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে যিনি তাদের পাপ তুলে নেবেন এবং পাপের বিচার থেকে সরিয়ে নেবেন আর তাদেরকে মুক্ত করবেন। তাঁর জন্য অপেক্ষা করাটা মানুষেরা প্রতিটি মূহুর্ত নিরুৎসাহিত হতেন, উৎসাহ হারিয়ে ফেলতেন। ঈশ্বর তাঁর ভাববাদিদের পাঠাতেন তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য, কিছুকাল অপেক্ষা করার জন্য, আশায় থাকার জন্য, বিশ্বাসে থাকার জন্য যেন নিরুৎসাহিত না হয়।

রোমীয় সম্রাটের জগৎ শাসনকালের সময়, উন্নিশ শতক বছরেও আগে, ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি পরিপূর্ণ করেছেন। প্রতিশ্রুতির সেই পুত্রটি হলেন যীশু, যার অর্থ মুক্তিদাতা। ঈশ্বর বলেছেন যে এই সেই শিশু, যিঁনি কিনা মরিয়মের মতো একজন কুমারীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন আর জগৎ সেই মুক্তিদাতার জন্য অপেক্ষায় ছিল। পবিত্র বাইবেল সাক্ষ্য দেয় যে, মরিয়মের কাছে একজন স্বর্গদূত এসে বলেছিলেন তাঁর গর্ভে অলৌকিক এক সন্তান জন্মিবে আর এই সন্তানটির কোনো জাগতিক পিতা থাকবে না। শিশুটিকে গর্ভে ধারণের সময় মরিয়ম বিবাহিতা ছিলেন না এমনকি কোনো পুরুষের সঙ্গেও তিনি সহবাস করেন নাই। কারণ এই শিশুটি ছিলেন ঈশ্বরের একান্ত নিজের পুত্র, যিনি জগৎ পত্তন থেকে ঈশ্বরের সাথেই ছিলেন আর মানুষের রক্তমাংসের দেহধারণ অবস্থায় একটি শিশুরূপে জন্মগ্রহণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

যীশু ৩৩ বছর ইস্রায়েলদের ভূমিতে জীবন-যাপন করেছেন। মানুষের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে তিনি ঈশ্বরের প্রেম প্রকাশ করেছেন। তিনি অসুস্থদের সুস্থ করেছেন, অন্ধদের দেখতে দিয়েছেন, খঞ্জদের হাঁটতে দিয়েছেন, বোবা, বধির আর কালাদের কথা বলতে ও শুনতে শক্তি দিয়েছেন। যারা মন্দ-আত্মাদের বশে ছিল, তিনি তাদের থেকে সেই মন্দ-আত্মা দূর করেছেন। যে মারা গিয়েছিল তাকে তিনি জীবন দিয়েছেন এছাড়াও আরো অন্যান্য চমৎকার অলৌকিক কার্য তিনি করেছেন। লোকেরা তাঁকে ভালোবেসেছে, তাঁকে বিশ্বাস করেছে আর তাঁর অনুসারী হয়েছে। কিন্তু লোকদের উপর তাঁর মহা ক্ষমতা দেখে ধর্মব্যবস্থাপকেরা ঈর্ষান্বিত হয়েছে ও শঙ্কিত হয়েছে আর সে কারণেই তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য খুঁজছিল।

একদিন এক প্রত্যূষে তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করল আর তাঁকে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরে নিয়ে আসা হলো। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়ে তাঁকে দোষী প্রমাণ করে অন্যায়ভাবে আর অনুচিত বিচারের পরে তাঁকে ক্রুশে হত্যা করার জন্য বিচারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যা কিনা রোমীয় পদ্ধতি অনুসারে ছিল সর্বোচ্চ নিন্দনীয় অপরাধীদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি।

তারা এতে মহা বিজয়ে উল্লাস করেছিল, কিন্তু তাদের সেই উল্লাস বেশিক্ষণ থাকেনি। কারণ তাঁর মৃত্যুর তিন দিন ও তিন রাত পরে, যীশু খ্রীষ্ট সেই মুক্তিদাতা মৃত্যু থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, কবর থেকে বের হয়ে এসেছেন আর তাঁর শিষ্যদের কাছে তিনি নিজেকে চল্ল্শি দিনের জন্য দেখিয়েছেন - যারা এই ঘটনার সাক্ষ্য অন্যদের কাছে বহন করেছেন। এরপরে তাঁকে স্বর্গে তুলে নেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি আজও আছেন।

কেন তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। কারণটা কি এই ছিল যে নিজেকে রক্ষা করার কোনো ক্ষমতা তাঁর ছিল না? তাঁকে মুক্ত করার জন্য তিনি স্বর্গের দূতগণদের ডাকতে পারতেন। তিনি ছিলেন সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের পুত্র। কিন্তু তিনি এক উদ্দেশ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। পাপের শাস্তিভোগের জন্য তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ঈশ্বরের দ্বারা, তাঁর নিজের পিতা দ্বারা বিচারিত হয়েছেন, যে বিচার আমাদের উপর করা হয়েছিল। তিনি ঈশ্বর আর মানুষের মধ্যে সহভাগিতা পুনস্থাপন করেছেন যা কিনা পাপের দ্বারা ভেঙে গিয়েছিল।

এটি কোনো রূপকথার গল্প নয়। আপনি যদি এই কথা পূর্বে না শুনে থাকেন তাহলে আপনার কাছে ঘটনাটা সম্পূর্ণভাবে বিস্ময়কর হতে পারে, কিন্তু এসব আমাদের কাছে - আমরা যারা এসব বিশ্বাস করি, এসব আমাদের জন্য এক সান্তনা ও স্বস্তি, আমাদের আনন্দ ও আমাদের শান্তি। আপনি যদি মনপরিবর্তন করেন এবং বিশ্বাস করেন যে যীশু ঈশ্বরের পুত্র এবং তিনি আপনার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন, আপনি আপনার পাপের জন্য ক্ষমা গ্রহণ করবেন আর অনন্তজীবন লাভ করবেন। যীশু আপনার মুক্তিদাতা হবেন। তিনি আপনাকে ভালোবাসেন। তিনি আপনার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি চান যেন আপনি তাঁকে ভালোবাসেন আর তাঁর জন্য জীবনযাপন করেন আর অন্যদের কাছে এই সত্য ঘটনা খুলে বলেন যা এতক্ষণ বলা হলো।

আপনি যদি এসব বিষয় প্রত্যাখ্যান করেন আর ঈশ্বরের প্রেম থেকে ফিরে চলে যান আপনি শাস্তি পাবেন। আপনার শাস্তি কেমন হবে? আপনার শাস্তি হবে আগুনের হ্রদে যা কিনা প্রস্তুত করা হয়েছে সেই শয়তানের জন্য আর তার অনুসারী দূতগণের জন্য। কিন্তু আপনি যদি মন ফিরান ও বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনার মৃত্যুর পরে ভয়ঙ্কর পরিণতি থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। “কারণ ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করিলেন যে, তিনি তাঁহার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।” যোহন ৩:১৬ পদ।

যদি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জীবন আর তাঁর মৃত্যুর বিবরণ পাঠ করার পর আপনি তাঁর অনুসারী হতে চান আর ঈশ্বরের মহা পরিবারের অধিকারী হতে চান, তাহলে আপনার মাথা নত করুন আর অত্যন্ত সহজ ও সরলভাবে এই প্রার্থনা করুন :

“স্বর্গীয় পিতা, আমি এখন তোমার কাছে এসেছি। আমি স্বীকার করি যে আমি একজন হারানো পাপী। আমি জানি আমি বহু ভুল করেছি আর পাপের বহু কর্ম আমি করেছি। আমি আমার নিজেকে পরিবর্তন করতে পারি না, কিন্তু তুমি আমাকে পরিবর্তন করতে পার। আমাকে সাহায্য করার জন্য তোমাকে চাই করি। কালভেরিতে আমার পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। আমার জন্য, আমার শাস্তিবহন করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। দয়া করে আমার পাপ তুলে নাও। আমাকে ঈশ্বরের সন্তান করে তোল। আমি তোমাকে আমার নিজের প্রভু আর আমার মুক্তিদাতারূপে গ্রহণ করছি। আমার সমস্ত জীবন তোমার জন্য আমি তোমাকে ভালোবেসেছি। আমার জীবন পরিবর্তন করে তোল আর আমাকে খাঁটি এবং পবিত্র করে তোল, যেমন তুমি। যীশুর নামে এই প্রার্থনা করি আমেন।”

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?