যারা কখনও সুসমাচার শোনেনি তাদের কী হবে?
যারা কখনও সুসমাচার শোনেনি তাদের কী হবে?
আমরা বুঝতে পারি যে প্রশ্নটি স্বাভাবিক কোনো প্রশ্ন নয়, আর এর উত্তর দিতেও তেমন আগ্রহ থাকে না।
তবে খ্রীষ্টিয়ানেরা প্রায়ই এমন প্রশ্ন শুনে থাকেন।
এ প্রশ্নটিকে অনেকে একটি আপত্তিকর প্রশ্ন বলেও মনে করুন।
খ্রীষ্টের সুসমাচার না শুনে, যীশু খ্রীষ্টের সাথে পরিচিত না হয়েই যারা মারা যান তাদের সম্পর্কে কী বলা যায়, তাদের কী হবে?
খ্রীষ্টের কথা যখন এই পৃথিবীর শত শত কৌটি মানুষের নাগালের বাইরে থেকে যায়, যীশু খ্রীষ্টকে নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছানো গেল না, পৌঁছানোর কোনো সুযোগই হলো না, তাদের কী হবে?
যারা ঈশ্বরকে জানেনি, খ্রীষ্টের সুসমাচার না জানতে পেরে যারা বিশ্বাস করতে পারেনি, তারা কি ঈশ্বরের প্রেম ও ঈশ্বরের ভালোত্ব, তাঁর মঙ্গলময়তা জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো?
ঈশ্বর যদি সত্য সত্যই প্রেমময়ই হয়ে থাকেন, এতই করুণাময় হয়ে থাকেন, তিনি যদি ভালো হয়েই থাকেন, তিনি যদি মানুষের উপযোগী হয়েই থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে এতো মানুষের ভাগ্যের সমাধান করবেন, যারা কখনই যীশু খ্রীষ্টের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায়নি বা এখনও পাচ্ছেন না?
যারা কিনা কখনই সুসমাচার শোনেনি, আর তাদের প্রতি ঈশ্বরের দোষারোপ করাটা একেবারেই নিষ্ঠুর, দয়ামায়াহীন আর অন্যায় হলো না?
এই মানুষেরা নিশ্চই নরকে যাবে না, তাই নয় কি?
না-কি পৃথিবীর সমস্ত মানুষেরা সুসমাচার শোনার সুযোগ পাওয়ার পর ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের আগমনের জন্য অপেক্ষা করবেন তাদের নরকে পাঠাতে?
এমন ধরনের প্রশ্ন খ্রীষ্টিয়ানদের কাছে বিরক্তিকর হলেও, তাদের জানতে চাওয়ার বিষয়টি কিন্তু কখনো এড়ানো যায় না।
এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে উপেক্ষা করলে ভালো ফল হয় না, কারণ এতে এই বোঝা যায় যে খ্রীষ্টিয়ানদের এতে আগ্রহ নাই বা তাদের কাছে এ প্রশ্নের কোনো ভালো উত্তর নাই।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে প্রশ্নটি যক্তিসঙ্গত, আর এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর কিন্তু ঈশ্বরের প্রকৃতি, তাঁর বৈশিষ্ট্য, তাঁর প্রকাশ, তাঁর গুণাগুণ জড়িয়ে, তাই উত্তর দেওয়া আমাদের দায়িত্ব আর আগ্রহ থাকতে হবে।
উত্তরটি হবে আমাদের প্রতিক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত।
এ ধরনের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করার অনেক উপায় আছে।
এ বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া ব্যক্তিকে আমাদের উৎসাহ সহকারে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে উত্তর দিতে বাইবেল কী বলে তার উপর কিছু আলোচনা করা যাক।
Comments