বিবাহ বিচ্ছেদ এবং পুনবিবাহ (Divorce and remarriage)



বিবাহ
বিচ্ছেদ এবং পুনর্বিবাহ বিষয়টি আজ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় একটা বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে, অনেকে বিষয়ে তর্ক করতে দেখা যায়।

এখন অনেককে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে দেখা যায়, আবারো বিবাহ করতেও দেখা যায়।

পাস্টর এবং প্রচারকেরা বিষয়ে শিক্ষা দিতে যেন ভয় পাচ্ছেন।

বিবাহ সম্পর্কে কথা বলায় কারণে যোহন বাপ্তাইজকের মস্তক ছিন্ন হয়েছিল।

মার্ক :১৭-২৮ পদ।

যারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে আবারো বিবাহ করেছেন, ওনাদের কোনো শাস্তি আমি দাবি করছি না, কিন্তু তার চেয়ে এখানে ঈশ্বরের সত্য বাক্য দাবি করছি।

আমাদের অবশ্যই অবিবাহিত এবং বিবাহিতদের শিক্ষা দেওয়া উচিত দেখাতে যে ঈশ্বরের কোনো উপায়ে- বিবাহ বিচ্ছেদ নাই।

যদি দম্পত্তিরা বাইবেল অনুসরণ করেন তারা কখনো বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবেন না।

স্বামী এবং স্ত্রীকে তালাক দেওয়া বা পরিত্যাগ করার বিষয়ে বাইবেলের শিক্ষা কী?

ঈশ্বরের নিজের কথা . . 

আমি স্ত্রীত্যাগ ঘৃণা করি মালাখি :১৬ পদ। 

স্ত্রী যদি ব্যাভিচারও করেন, কিন্তু প্রভু আমাদের ক্ষমা করতে শিখিয়েছেন, আমাদের প্রেমে থাকতে শিক্ষা দিয়েছেন।

বিবাহ বিচ্ছেদ কোনো সমাধান নয়।

আমরা পরষ্পর ক্ষমা করবো কারণ প্রভু আমাদের সমস্ত পাপের জন্য অনন্ত বিনাশ থেকে রক্ষা করেছেন।

আমরা আমাদের পাপের জন্য ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাই, আর প্রভুর প্রার্থনায় যেমন বলি, 

“. . যেমন আমরাও আপন আপন অপরাধীদিগকে ক্ষমা করিয়াছি

বিবাহ নিমন্ত্রণ পত্রে লেখা থাকে . .

“. . ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক” মথি ১৯: পদ।

বিবাহ অনুষ্ঠানে পালক মশাই উচ্চরণ করেন . . 

ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত বহুবংশ হও . . ”

বর বধু পালকের উপস্থিতিতে মণ্ডলীর সামনে তারা অনেক অনেক প্রতিজ্ঞা করেন, প্রতিশ্রুতি দেন যা আমরা বিবাহিতরাও মুহূর্তে স্বরণ করতে পারি যেখানে আমাদের জন্য পিতা ঈশ্বরের আশির্বাদ চাওয়া হয়েছিল।

ঈশ্বর যখন দুজনকে এক করেন অর্থাৎ একাঙ্গ ঘোষণা করেন - তখন তিনি মৃত্যু পর্যন্ত এই পরিবারের বন্ধন অটুট রাখেন।

পৃথিবীতে খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য (সমস্ত মানুষের জন্য) ঈশ্বরের আইন যাকিনা বাইবেলে লেখা আছে আর চার্চের শাসন ব্যবস্থা যাকিনা ঈশ্বরের বাক্যে প্রতিষ্ঠিত।

রাষ্ট্রের আইন একইভাবে গুরুত্বসহ পালনীয়।

খ্রীষ্টিয়ান বিবাহ প্রথমত ঈশ্বরের আইন এবং রাষ্ট্রের আইনের সমন্বয়ে হয়ে থাকে।

খ্রীষ্ট মণ্ডলী বিবাহ প্রদান করেন কিন্তু বিচ্ছেদ ঘটায় না, কারণ সে অধিকার বা ক্ষমতা প্রভু তাঁর মণ্ডলীকে দেননি।

ঈশ্বর কখনই চান না যে এই স্বামী স্ত্রী পৃথক হোক, তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটুক।

ঈশ্বরের নিজের কথা - “আমি স্ত্রীত্যাগ ঘৃণা করিমালাখি :১৬ পদ।

এখানে ঈশ্বর স্ত্রী ত্যাগের বিষয় খুবই স্পষ্ট আর পরিষ্কার বলেছেন যে এসব তিনি ঘৃণা করেন।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ, দ্বন্ধ-কলহ থাকতে পারে কিন্তু এর সমাধান কিন্তু তালাক নয়, একে অপরকে পরিত্যাগে নয়।

স্বামী স্ত্রীর একসঙ্গে থেকেই সমস্ত বিরোধ, দ্বন্ধ-কলহ সমস্যার সমাধান করতে হবে যেন ঈশ্বরের গৌরব হয়।

কারোর তালাক দেওয়ার ইচ্ছা হলে তিনি আদালতে যান, আর আদালতের আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালাক হয়।

ঈশ্বরের স্বর্গীর প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ খ্রীষ্টের দেহমণ্ডলী আদালতের নিয়মে নয় কিন্তু ঈশ্বরের বিধিতে চলে।

খ্রীষ্টিয়ান পুরুষ নারীর বৈবাহিক সম্পর্ক ঈশ্বরের একমাত্র পরিকল্পনা সুসমাচারে প্রতিষ্ঠিত।

আমি বিশ্বাস করি খ্রীষ্টিয় মণ্ডলী কখনো একজনের দুই স্ত্রী বা দুই স্বামী রাখার অনুমতি দেবেন না।

কারণ স্বামী স্ত্রীর ত্যাগপত্রের ব্যবস্থা মণ্ডলী করে না।

যারা তালাক নিয়েছেন তারা আদালতের মাধ্যমে তালাক নিয়েছেন।

তাদের তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের পরা তারা উভয়ই যদি আবরো অন্য কাউকে বিবাহ করেন, তাদের দুই স্ত্রী বা দুই স্বামী- থেকে গেল।

কারণ হলো তাই যে কোনো খ্রীষ্টিয় মণ্ডলী তালাক ঘটনা না বা বিবাহ বিচ্ছেদের আয়োজন করেন না।

আবার আদালতের মাধ্যমে তালাকপ্রাপ্তরা যদি আবার অন্য কোনো পুরুষ বা মহিলাকে বিবাহ করেন সরকারী কোনো বিবাহ-রেজিস্টারের মাধ্যমে তারা উপয়ই ব্যভিচারে লিপ্ত হলেন - পবিত্র শাস্ত্র যেভাবে বলে।

স্বামী স্ত্রীর বন্ধন এটি আমৃত্যু অর্থাৎ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, এই বন্ধন মৃত্যু ছাড়া ছিন্ন হয় না।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে থাকেন তাহলে তিনি এই বন্ধন থেকে মুক্ত হলেন, তিনি আবারো বিবাহ করতে পারেন, নচেৎ ব্যভিচার করা হয়।

কারণ যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন সধবা স্ত্রী ব্যবস্থা দ্বারা তাহার কাছে আবদ্ধ থাকে; কিন্তু স্বামী মরিলে সে স্বামীর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত হয়। সুতরাং যদি সে স্বামী জীবিত থাকিতে অন্য পুরুষের হয়, তবে ব্যভিচারিণী বলিয়া আখ্যাত হইবে; কিন্তু স্বামী মরিলে সে ব্যবস্থা হইতে স্বাধীন হয়, অন্য স্বামীর হইলেও ব্যভিচারিণী হইবে না রোমীয় :- পদ।

স্বামী জীবিত থাকিতে যদি কোনো স্ত্রী অন্য পুরুষের সংগে সংসার করেন তাহলে তা হবে ঈশ্বরেরর বিধান অনুযায়ী ব্যভিচার।

একইভাবে স্ত্রী জীবিত থাকতে স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে সংসার করে তাহলে সেটাও ব্যভিচার।

মনে রাখতে হবে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্তÍ

যদি চলিয়া যায়, তবে সে অবিবাহিতা থাকুক, কিম্বা স্বামীর সহিত সম্মিলিতা হউক- আর স্বামীও স্ত্রীকে পরিত্যাগ না করুক   করিন্থীয় :১১ পদ।

প্রভু যীশু, স্ত্রী পরিত্যাগ এবং পুনর্বিবাহ সম্পর্কে কিছু বলেছেন

আর ফরীশীরা তাঁহার নিকটে আসিয়া পরিক্ষাভাবে তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, যে সে কারণে কি আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করা বিধেয়? তিনি উত্তর করিলেন, তোমরা কি পাঠ কর নাই, সৃষ্টিকর্তা আদিতে পুরুষ স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে নির্মাণ করিয়াছিলেন, আর বলিয়াছিলেন, “এই কারণ মনুষ্য পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীকে আসক্ত হইবে, এবং সে দুই জন একাঙ্গ হইবে”? সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, একাঙ্গ। অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক মথি ১৯:-১২ পদ

যিহূদীদের ধর্মীয় নেতারা এসে যীশুকে প্রশ্ন করেছিল - স্ত্রীকে তালাক, স্ত্রীকে পরিত্যাগ করা কি আইন সম্মত কি না

যীশু ঈশ্বরের আইন বলেছেন, ঈশ্বর দুজনকে একাঙ্গ করেছেন”,

এটা ঈশ্বরের কর্ম, ঈশ্বরের আশির্বাদ তাই ঈশ্বর যা যোগ করেছেন মানুষ তা বিয়োগ না করুক।

ঈশ্বর সব সময়ই স্বামী এবং স্ত্রী এর তালাক এর বিপক্ষে, ঈশ্বর দুজনের একাঙ্গের পক্ষে, ঈশ্বর চান এই বন্ধন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকুক।

যীশু তাদের আরো বললেন,

তোমাদের অন্তঃকরণ কঠিন বলিয়া মোশি তোমাদিগকে আপন আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিবার অনুমতি দিয়াছিলেন, কিন্তু আদি হইতে এরূপ হয় নাই মথি ১৯: পদ।

মোশীর ব্যবস্থায় স্ত্রী পরিত্যাগের বিধান ছিল।

যিহূদী নেতারা রেফারেন্সইটাই তুলে ধরেছে।

মোশীর ব্যবস্থায় কেন স্ত্রী ত্যাগের বিষয় বলা আছে তার ব্যাখ্যা যীশু দেন, তা হলো - যিহূদীদের অন্তর কঠিন সেজন্য কিন্তু ব্যবস্থার পূর্বে শুরু থেকে এই স্ত্রী ত্যাগের অনুমতি ছিল না, সেকথা যীশু যিহূদী নেতাদের স্বরণ করিয়ে দেন।

যীশু আরো বললেন,

আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, ব্যভিচার দোষ ব্যতিরেকে যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সেও ব্যভিচার করে মথি ১৯: পদ।

যীশু একটা কারণ উল্লেখ করে তিনি যিহূদীদের বলেছেন - যদি কোনো স্ত্রী ব্যভিচার করে তাহলে স্বামী ব্যভিচারী স্ত্রীকে তালাক দিতে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে, আর এই একটা কারণ ছাড়া ডিভোর্সের আর কোনো কারণ নাই।

যদি কোনো স্ত্রী বা স্বামী ব্যভিচারে ধরা পরে আর উপযুক্ত প্রমাণে প্রমাণিত যে তিনি ব্যভিচারী, ক্ষেতে অবশ্যই কোনো প্রকার গুজবে বিশ্বাস করা যাবে না।

যদি একজন স্বামী বা স্ত্রী একে অপরকে ক্ষমা করতে না পারে, অনুতাপ করার যথেষ্ট সুযোগ দেওয়ার পরেও কোনো পরিবর্তন না থাকে, অন্তর কঠিন পাপে স্বেচ্ছায় জীবন কাটাতে ইচ্ছুক।

যদি আর কোনোভাবেই কেউ কারো সঙ্গে আর সংসার করতে রাজি না থাকে, আর এক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে সেকেন্ড সময় থাকা অবধি যদি মন পরিবর্তন হয়, অবশ্যই তা ঈশ্বরের গৌরবের জন্য তা বন্ধ করার জন্য যত্নশীল থাকা একান্ত প্রয়োজন।

অতএব তোমরা আপন আপন আত্মার বিষয়ে সাবধান হও, এবং কেহ আপন যৌবনকালীন স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা না করুক মালাখী :১৫ পদ।

ঈশ্বর এখানে স্বামী এবং স্ত্রীর বিবাহের কথা স্মরণ করে এটা বলেছেন তোমরা নিজ আত্মার বিষয়ে সতর্ক হও কেননা যা করতে যাচ্ছ তা খুবই দুঃখজনক আর ঈশ্বর ঘৃণার কাজ।

ঈশ্বরের সন্তান হিসাবে এটি করা আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।

সেজন্য সতর্ক হয়ে প্রার্থনাপূর্বক সিন্ধান্ত নেওয়া উচিত।

ঈশ্বর বলেছেন যে স্ত্রী এবং স্বামীর ডিভোর্স/তালাক হওয়াটা বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতারণা কারণ স্বামী স্ত্রী বিবাহের সময় খ্রীষ্টিয় চার্চে ঈশ্বরের সম্মুখে, পরিবার পরিজনদের সম্মুখে সমস্ত মণ্ডলীর সম্মুখে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন যে, - সুখে দুঃখে এক সংগে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ঈশ্বরের গৌরবের জন্য বৈবাহিক জীবন কাটাবেন।

কিন্তু যখন কোনো পক্ষ ডিভোর্সের/তালাকে সিদ্ধান্ত নেয় এটা অপর পক্ষের আর ঈশ্বরের সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন যার পরিণতি কিন্তু ভয়ানক।  

তাই আপনি অনুশোচনা, অনুতপ্ত আর অনুতাপের মন নিয়ে সকল সমস্যায় ঈশ্বরের গৌরব করুন, সমস্যার সমাধান করুন, ডিভোর্সে, তালাকের সিদ্ধান্ত থেকে মন পরিবর্তন করুন।

যে কেহ আপনার স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া আর এক জনকে বিবাহ করে, সে ব্যাভিচার করে; এবং যে কেহ স্বমীত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে লূক ১৬:১৮ পদ।

কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল” . . আর উক্ত হইয়াছিল, “যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাহাকে ত্যাগপত্র দিউক, কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ ব্যভিচার ভিন্ন অন্য কারণে আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাহাকে ব্যভিচারিণী করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে  মথি :২৮,৩১-৩২ পদ।

সাধু পৌল স্ত্রী পরিত্যাগ এবং পুনর্বিবাহ সম্পর্কে বলেছেন।

অথবা হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা কি জান না Ñ কারণ যাহারা ব্যবস্থা জানে, আমি তাহাদিগকে বলিতেছি, Ñ মনুষ্য যত কাল জীবিত থাকে, তত কাল পর্যন্ত ব্যবস্থা তাহার উপর কর্ত্তৃত্ব করে? কারণ যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন সধবা স্ত্রী ব্যবস্থা দ্বারা তাহার কাছে আবদ্ধ থাকে; কিন্তু স্বামী মরিলে সে স্বামীর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত হয়। সুতরাং যদি সে স্বামী জীবিত থাকিতে অন্য পুরুষের হয়, তবে ব্যভিচারিণী বলিয়া আখ্যাত হইবে; কিন্তু স্বামী মরিলে সে ব্যবস্থা হইতে স্বাধীন হয়, অন্য স্বামীর হইলেও ব্যভিবারিণী হইতে না রোমীয় :- পদ

পাঠ করুন : করিন্থীয় :১০-১৬ ৩৯ পদ।

একজন প্রভুতে বিশ্বস্ত মণ্ডলীর পালক কখনো কোনো তালাকপ্রাপ্তকে পুনরায় বিবাহ দেবেন না।

তিনি প্রভুর আদেশে বিশ্বস্ত থাকেন, কিন্তু আদালতের বিচ্ছেদ হয়েছে বলে ঈশ্বরও যে সেই বিচ্ছেদ গ্রাহ্য করলেন, তা পালক মশায় মেনে নেবেন না বলে আমি বিশ্বাস করি।

কারণ পালক প্রভুর আদেশে বাধ্য, তিনি জানেন ঈশ্বর যা যোগ করেছেন মানুষ তা বিয়োগ না করুন।

তাই দুই কিংবা ততোধিক স্ত্রী থাকা কোনো ব্যক্তির কখনো অভিষিক্ত পালক বা প্রচারকের যোগ্যতা থাকে না।

পালকের অন্যান্য অনেক যোগ্যতার সাথে এই একটি বিশেষ যোগ্যতা হলো তিনি কেবল একজন স্ত্রীর স্বামী।

যদি কেহ অধ্যক্ষ পদের আকাক্সক্ষী হন, তবে তিনি উত্তম কার্য্য বাঞ্ছা করেন। অতএব ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ্য অনিন্দনীয়, এক স্ত্রীর স্বামী . . . ”  তীমথিয় :- পদ।

স্বামী স্ত্রীর জন্য ঈশ্বরের আশির্বাদ . .

সূর্যের নিচে ঈশ্বর তোমাকে অসার জীবনের যত দিন দিয়াছেন, তোমরা সেই সমস্ত অসার দিন থাকিতে তুমি আপন প্রিয়া স্ত্রীর সহিত সুখে জীবনযাপন কর, কেননা জীবনের মধ্যে, এবং তুমি সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হইতেছ, তাহার মধ্যে ইহাই তোমার অধিকার উপদেশক : পদ

বিবাহ বিচ্ছেদ করাটা পাপ, আবার তারা (স্বামী বা স্ত্রী) জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কাউকে বিবাহ করাটাও পাপ।

তবে কেউ যদি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে থাকেন এবং এখনো পর্যন্ত পুনঃ বিবাহ করেননি, তাদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে আর না বিবাহ করাই ভালো। আর কেই যদি পনঃ বিবাহ করে থাকেন তাহলে তাদের ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চেয়ে বর্তমান স্বামী বা স্ত্রীর সাথে সংসার করা ভালো। তবে তালাক দেওয়া স্ত্রী যদি আর কখনো বিবাহ না করে থাকেন তাহলে তার ভরণপোষন দেওয়া ভালো।  

পিতা ঈশ্বর ক্ষমা প্রার্থীদের ক্ষমা করেন, এবং তাদের আশির্বাদ করেন।

 




Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?