কাথলিক মণ্ডলীর কতোকগুলো শিক্ষা যা বাইবেলে কোথায়?


কাথলিক মণ্ডলীর দাবি, বাইবেলভিত্তিক তাদের ধর্ম। তবুও প্রশ্ন থেকে যায় যে তাদের বিশেষ বিশেষ কতকগুলো শিক্ষা, বিশ্বাস ও অনুশীলন বাইবেলে কোথায়। তারাও স্বীকার করেন যে তাদের মণ্ডলীর শিক্ষা শুধুমাত্র বাইবেলের ভিত্তিতে নয়। প্রামাণিক দ্বিতীয় ভাটিকান মহাসভার দলিলসমূহ এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ রাখেনি : “অতএব এর দ্বারা এটাও বুঝানো হচ্ছে যে, মণ্ডলী শুধু পবিত্র বাইবেল থেকেই সব প্রকাশিত সত্য সম্বন্ধে তার নিশ্চয়তা টানে না। এই কারণে বাইবেল এবং ঐতিহ্য (tradition) উভয়কেই সমান ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে গ্রহণ ও মান্য করা উচিত” (ঐশ প্রত্যদেশ বিষয়ক ধর্মতাত্বিক সংবিধান, দ্বিতীয় অধ্যায় ৯, ৩৪৪ পৃষ্ঠা, প্রকাশক, কাথলিক বিশপ-সম্মিলনী, ১ কাকরাইল রোড, ঢাকা)।

ঈশ্বরের বাক্য কখনও সাধারণ বা গুরুত্বহীন হতে পারে না। ভাটিকান নিজেও দাবি করতে পারে না যে তার সমস্ত শিক্ষা একমাত্র বাইবেলের উপর। যদিও অনেক কাথলিক সমর্থিত যুক্তির ব্যক্তিরা এ ধরনের দাবি করেন। 

“ব্যাপ্টিস্টরা বিশ্বাসরা কোনো মানুষকে অনুসরণ করে না, মানুষের তৈরি কোনো ধর্মমত অনুযায়ী সেই পথে চলে না। ব্যাপ্টিস্টরা খ্রীষ্টকে এবং একমাত্র তাঁকেই তাদের কর্তা এবং নেতারূপে তাঁর অনুসরণ করে, তার কথামতো চলে। মানুষের জীবনের জন্য এবং মানুষের বিবেকবিবেচনার জন্য পবিত্র শাস্ত্রের কর্তৃত্ব ছাড়া অন্য কোনো কর্তৃত্ব গ্রহণ করে না বাইবেল বিশ্বাসী ব্যাপ্টিস্টরা। এরা মার্টিন লুথার, ক্যালভিন কিংবা অন্য যেকোনো সংষ্কারককে (Reformer) অনুসরণ করে না। এরা সংষ্কারসাধন বা সংশোধন (Reformer) থেকেও পুরানো এবং এই এক কারণে এরা প্রটেস্টান্ট নয়। 

যদি আপনি ১তীমথিয় ৪:১ পদ; ২তীমথিয় ৩:৫; ৪:৩ পদ আর এর সাথে ২ করিন্থীয় ১১:১৩ পদগুলো পাঠ করেন তাহলে দেখবেন সাধু পৌল আমাদের এই বলে সতর্ক করেছেন যে পবিত্র আত্মা সুপষ্টভাবে বলেন যে বিশ্বাসীদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাস থেকে সরে পড়রে, শাস্ত্রীয় সত্যগুলো থেকে সরে পড়বে, নানা মতবাদে সায় দেবে। এদের মধ্যে বহু পালক, প্রচারক ও খ্রীস্টিয় শিক্ষকেরা থাকবে যারা বিকৃত সুসমাচার প্রচার করবে, আর যেহেতু অধিকাংশ মণ্ডলীর মধ্যে কোনো প্রচার বাধা থাকবে না, তাই তারা সত্যগুলোর সংগে আপোষ করে সহজেই চলতে থাকবে। এরা ভণ্ডামীর সঙ্গে মিথ্যা শিক্ষা দিয়ে থাকে। এদের বিবেক অসার হয়ে গেয়ে আর তারা ভালো ও মন্দের, সত্যের ও মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারে না। 

এইজন্য আমরা অনুরোধ করছি যে বাইবেল থেকে, যা আত্মিক বিষয় প্রশ্নের একমাত্র অধিকার আছে, যা কাথলিক বন্ধুরা তাদের শাস্ত্রীয় আজ্ঞাধীন থেকে নিচে দেওয়া বিষয়গুলো আমাদের জানাবেন :

১। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ আছে যে - কুমারী মরিয়মের কাছে প্রার্থনা করা উচিৎ বা ঈশ্বরকে ছড়াও অন্য কারোর কাছে প্রার্থনা করেছে বলে বাইবেলে প্রমাণ আছে?

২। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ আছে যে - মরিয়মকে ঈশ্বরের মা বলে ডেকেছে?

৩। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ আছে যে - মরিয়মকে স্বর্গের মাতা বলা হয়েছে?

৪। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ আছে যে - মরিয়ম পাপবিহীন ছিলেন ও পাপবিহীন গর্ভধারণ করেছিলেন।

৫। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - প্রেরিতশিষ্য পিতরের কোনো স্ত্রী ছিল না।

৬। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - পিতর রোমের বিশপ ছিলেন।

৭। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - পিতর তার দায়িত্ব পালনে ও ক্ষমতার ব্যবহারে একজন কাথলিক পোপের ভূমিকায় ছিলেন?

৮। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - আদি মণ্ডলীগুলো পিতরের দ্বারা পোপীয় প্রথানুযায়ী বা পোপের রীতিতে (papal fashion) পরিচালিত হতো?

৯। বাইবেলে কোথায় আমরা পাই যে - রোমের সম্প্রসারণ ও তৈরি করা ধর্মগত আচার পালন ও উপাসনানুষ্ঠান মতাদির প্রচলিত রীতি নতুন নিয়ম মণ্ডলীগুলো পরিচালনা করে? 

১০। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - খ্রীষ্টের পরিচর্যাকারীদের (পালকদের) কুমারীবর্তীতার, অবিবাহিত জীবনের প্রয়োজন অর্থাৎ বিবাহ করা নিষেধ আছে।

১১। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - আদি মণ্ডলীতে সিস্টারদের (nuns) বর্ণনা আছে?

১২। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - সাধু পিতর হতে উত্তরাধিকারসূত্রে পোপ খ্রীস্টের প্রতিনিধি। বাইবেলে কোথায় বলে যে প্ররিতশিষ্য কোনো উত্তরাধিকারীরূপে তাদের উপর ক্ষমতা গৃহীত হয়?

১৩। বাইবেলে কোথায় আছে যে - পৈরিতিকের (apostolic) পর পর আগমনের জন্য নির্ধারিত বিধি দত্ত হয়েছে? পালক ও পরিচারকের রীতি বা আদর্শ রয়েছে, কিন্তু পৈরিতিকত্বে অগ্রসরণের নীতি কোথায় রয়েছে?

১৪। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - মণ্ডলীর জন্য প্রধান কর্মকেন্দ্র (headquarter) রোমে হতে হবে?

১৫। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - একজন ব্যক্তি সমস্ত মণ্ডলীর মস্তক?

১৬। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - ঈশ্বর মণ্ডলীগুলোর জন্য বিশেষ যাজকত্ব (Priesthood) স্থাপন করেছেন যা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের থেকে যাজকত্ব পৃথক করে রাখে?

১৭। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - এই ধরণের যাজকীয় কার্যকারী আদি (নতুন নিয়ম) মণ্ডলীতে বর্ণনা দেয়?

১৮। বাইবেলে কোথায় বলে যে - মল্বীষেদকের রীতি অনুযায়ী পরবর্তীতে নতুন নিয়মে যাজকদের অভিষিক্ত হয়েছে?
(কারণ যীশু পুরোহিত প্রথা পরিবর্তন করেছিলেন। ঈশ্বর শপথ করেছিলেন যে যীশু লেবীয় প্রথা থেকে মল্কীষেদকের প্রথায় যাজকত্ব পরিবর্তন করবেন-চিরকালের জন্য।

“কারণ শাস্ত্রে তো তাঁর বিষয়ে এই কথা বলা হয়েছে, ‘তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক” (ইব্রীয় ৭:১৭, গীত ১১০:৪)

“কিন্তু যীশু তাঁর যাজকত্ব পদে অভিষিক্ত আছেন স্থায়ীভাবে; কারণ, তিনি চিরায়ত।” (ইব্রীয় ৭:২৪ পদ) “সেইজন্য তাঁর মাধ্যমে যারা ঈশ্বর-সান্নিধ্য উপস্থিত হয়, তাদের চিরকালের জন্যে রক্ষা করতে তিনি সক্ষম; কারণ তাদের জন্যে মধ্যস্থতা করতে তিনি সব সময় জীবিত আছেন” (ইব্রীয় ৭:২৫ পদ) (এই কথাগুলো নেওয়া হয়েছে - ‘মেষ পালকের যষ্ঠি’ পুস্তকের পৃষ্ঠা ৯/বিভাগ ছ ১;  ছ ১,১ - শেষের দিনগুলি; ১) যীশু পুরোহিত প্রথা পরিবর্তন করেছিলেন)

১৯। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - পুরহিতরা পাপ ক্ষমা করতে পারেন।

২০। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - মণ্ডলী দণ্ডমোচন (indulgence) করতে শিক্ষা দেয়?

২১। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - প্রভুর ভোজে দ্রাক্ষারস শুধুমাত্র পুরহিতরাই নিতে পারবে। বাইবেলে আমরা কোথায় পাই যে দ্রাক্ষারস (আঙ্গুরের রস) ছাড়াই শুধু রুটি দিয়ে খ্রীষ্টিয়ানদের প্রভুর ভোজ হয়েছে?

২২। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - রোমান খ্রীষ্টযাগ এর অস্তিত্ব ছিল।

২৩। বাইবেলে আমরা কোথায় কাথলিকদের কোনো খ্রীষ্টযোগ, মিসা, প্রভুর স্মরণ-উৎসব (mass) পরিচালিত হওয়ার বিষয় এমনকি তার একটি উদাহরনও আমরা দেখতে পাই? খ্রীষ্ট যদি সেই ধরণের মিসা (mass) স্থাপন করে থাকেন আর যদি তা খ্রীষ্টিয়ানদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয় যেমন রোম দাবি করে, তাহলে কেন প্রেরিত পুস্তকে আর নতুন নিয়মের পত্রগুলোতে তার একটিও উদাহরণ উল্লেখ নেই?     

২৪। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - পুরহিতদের ক্ষমতা আছে রুটি ও দ্রাক্ষারসকে যীশু খ্রীষ্টের দেহ, রক্ত এবং আত্মায় রূপান্তরিত করার।

২৫। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - ৭টি সাক্রামেন্ট আছে। পৌল বা অন্য কেউ আদি মণ্ডলীর নেতারা ৭টি সাক্রামেণ্ট বলতে - দীক্ষাস্নান, হস্তার্পণ, খ্রীষ্টপ্রসাদ, পুনর্মিলন, রোগীলেপন, যাজকত্ব ও বিবাহের শিক্ষা দিয়েছিল। বাইবেলে মণ্ডলীতে সাতটি পুণ্য হস্তার্পণ সংস্কারাদির হস্তারর্পণ (sacrament of confirmation), এই ধরণের কর্ম বা ব্যবহার কোথায় পাই। বাইবেলে কোথায় মণ্ডলীগুলোতে বা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপসংস্কারাদি যেমন - গলা আর্শীবাদ, জল আশীর্বাদ, ছবি আর্শীর্বাদ, তালপত্র আর্শীবাদ, মূর্তি আর্শীবাদ, শিশু আর্শীবাদ, রোগী আর্শীবাদ, ব্যক্তি আর্শীবাদ, বিভিন্ন বস্তু আর্শীবাদ (অস্তিম তৈলাভিষেক, অনুলেপনের ব্যবহার) ইত্যাদি দেখতে পাই।

২৬। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - জপমালা, রোজারি (rosary) প্রার্থনা, মালা প্রার্থনা ছিল?

২৭। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - খ্রীষ্ট এবং তাঁর প্রেরিতশিষ্যরা মূর্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন।

২৮। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - শুচ্যগ্নিস্থান/মধ্যস্থানের (purgatory) অস্তিত্ব আছে। বাইবেলে কোথায় মৃত্যুর পর আত্মাগুলো ছোটখাট পাপ থেকে মুক্ত বা পূর্ণ শুদ্ধির প্রয়োজনে শুচ্যগ্নিস্থান আছে বলে লেখা আছে বা এই ধরণের পাপমোচনের শিক্ষা দেয়? পারগেটরি হলো রোমান ক্যাথলিক ধর্মমত যা খ্রীষ্টিয়ানরা মৃত্যুর পরে একটি স্থানে পাপের জন্য ভোগ করতে যায়, যা জগতে থাকতে মোচন হয়নি। অন্যভাবে বলা যায় মৃত্যুর পর যে স্থানে বা যে অবস্থায় আত্মার পাপক্ষালন বা পাপমোচন, পূর্ণ শুদ্ধি হয়, স্বর্গ ও নরকের মাঝামাঝি একটি স্থান, যেখানে প্রত্যেককে যেতে হবে, তাদের পাপমোচনের জন্য। কিন্তু এসব বিষয় বাইবেলে কোথায়?

২৯। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - মৃত ব্যক্তি জীবিতদের জন্য মধ্যস্থতা অর্থাৎ বিনতি, মিনতি করতে পারে?

৩০। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - একজনেরও বেশী মধ্যস্থকারী আছে।

৩১। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - আমাদের মৃতদের জন্য প্রার্থনা করা উচিৎ।

৩২। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - আদি মণ্ডলী মৃত ব্যাক্তিদের সাধুরূপে শনাক্ত করতে পারে এবং তারা তাদের কাছে প্রার্থনা করতে পারে?

৩৩। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - কোনো প্রকার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে মৃত ব্যক্তিদের হাড়ের ব্যবহার মণ্ডলীগুলোতে করা উচিৎ?

৩৪। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - শুক্রবার দিন উপবাস থাকা উচিৎ।

৩৫। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - পোপ অভ্রান্ত

৩৬। বাইবেল কোথায় প্রমাণ করে যে - জলে বাপ্তিস্ম মূল পাপ ধৌত করে এবং একজনকে খ্রীষ্টিয়ানস্বরূপ, ঈশ্বরের সন্তানস্বরূপ রূপান্তরিত করে এবং স্বর্গরাজ্যের অধিকারী হয়।

৩৭। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - বাপ্তিস্ম ছাড় যে শিশু মৃত্যুরবণ করে তার “লিম্ব” (Limbo)-তে স্থান হয়। আর প্রমাণ করে কি যে - “লিম্ব” নামে এমন কোনো স্থান আছে। (ক্যাথলিকদের মতে লিম্ব হলো সেই স্থান যেখানে পুরাতন নিয়মের ধার্মিক এবং বাপ্তিস্ম না হওয়া শিশুদের মৃত প্রাণগুলো আটক রাখা হয়েছিল যতক্ষণ না খ্রীষ্ট পুনরুত্থিত হন)। এসব বিষয় বাইবেলে কোথায়? 

৩৮। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - যীশু এবং তাঁর প্রেরিতশিষ্যেরা কোলের শিশুদের বাপ্তাইজিত করেছেন এবং শিশুদের বাপ্তইজিত করতে অনুমোদন দিয়েছেন যে শিশু কিনা খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করতে একদম ছোট শিশু।

৩৯। বাইবেলে কোথায় প্রমাণ করে যে - রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীর ক্ষমতা আছে জলে ডুবিয়ে বাপ্তাইজিত করার পরিবর্তে জল ছিটিয়ে বাপ্তাইজিত করার, কিংবা আমাদের মুক্তিদাতা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আদেশ এবং শিক্ষার পরিবর্তন করার। 

উপসংহার

আপনি যদি রোমান কাথলিক হয়ে থাকেন, অনুগ্রহপূর্বক এই বুঝবেন না যে আমরা আপনাকে ঘৃণা করি। পক্ষান্তরে, আমরা আপনাদের অত্যন্ত ভালোবাসি যেন আমরা রোমে/ভাটিকানের বিষয়ে সেই সত্য প্রচার করি সেজন্য আপনি যেন এর ভূল দেখতে পারেন এবং খ্রীষ্টেতে বাইবেল ভিত্তিক বিশ্বাসে ফিরে আসতে পারেন। ঈশ্বরের কাছে আমাদের আকাঙ্ক্ষা প্রার্থনা হলো এই যে আপনি যেন মুক্তি পেতে পারেন। পাপের ক্ষমা ও অনন্ত জীবন হলো সেই একটি দান যা কালভেরীতে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা কৃত হয়েছে, আর তিনি আজকে সেই নৈবেদ্য আপনাকে দিচ্ছেন। এটি সেরকম কিছুই নয় যা আপনি নিজের চেষ্টায় অর্জন করতে পারেন। একজন পাপীরূপে, আপনি কখনও ঈশ্বরের দয়া-অনুগ্রহ যথেষ্ট পরিনামে অর্জন করতে পারেন। এটি এমন কিছুই নয় যে কোনো মণ্ডলী আপনার জন্য অর্জন করে দিতে পারে। এটি এমন কিছুই নয় যে কোনো মাণ্ডলিক আচার অনুষ্ঠানিক বা পদ্ধতির মাধ্যমে যোগার করতে পারেন, যেমন ঠিক বাপ্তিস্ম, বা হস্তারর্পণ সংষ্কার। পরিত্রাণ হলো যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে বিনামূল্যে ঈশ্বরের অনন্ত অনুগ্রহ, আর তিনি সর্বদা প্রস্তুত আর প্রতিটি পাপীর গ্রহণ করার যোগ্যতা রয়েছে যিনি মনপরিবর্তন ও বিশ্বাসের দ্বারা তাঁর কাছে আসবে। বাইবেল বলে আপনি জানতে পারেন আপনার অনন্ত জীবন ঠিক এখনই, আজকেই।

“আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, আর সেই জীবন তাঁহার পুত্রে আছে। পুত্রকে যে পাইয়াছে সে সেই জীবন পাইয়াছে; আর যে ঈশ্বরের পুত্রকে পায় নাই সে জীবন পায় নাই। তোমরা যাহারা ঈশ্বরের সেই পুত্রের নামে বিশ্বাস করিতেছ, আমি তোমাদিগকে এই সকল বিষয় লিখিলাম, যেন তোমরা জানিতে পার যে তোমরা অনন্ত জীবন পাইয়াছ” ১যোহন ৫:১১-১২ পদ।

“কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; আর ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই সেই দান; কর্মের ফল নয়, পাছে কোন মানুষ শ্লাঘা (আত্মপ্রশংসা) করে।” ইফিষীয় ২:৮-৯ পদ।

“আর যদি অনুগ্রহ দ্বারা হয়, তবে তাহা আর কর্মের ফলে হয় নাই, নতুবা, অনুগ্রহ আর অনুগ্রহ থাকিল না, কিন্তু যদি তাহা কর্মসমূহে হইয়া থাকে, তাহা হইলে অনুগ্রহ আর অনুগ্রহ রহিল না; নতুবা কর্ম আর কর্ম থাকিল না” রোমীয় ১১:৬ পদ।

“হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব। আমার যোঁয়ালি আপনাদের উপরে তুলিয়া লও, এবং আমার কাছে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে। কারণ আমার যোঁয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু “ মথি ১১:২৮-৩০ পদ।

আমরা যদি এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যেগুলোতে আপনাকে খুব ভালোভাবে বুঝাতে সাহায্য করতে পারি বা আপনার যদি ভালো বাইবেল বিশ্বাসী মণ্ডলী খুজে বের করতে সাহায্যের প্রয়োজন হয়, অনুগ্রপূর্বক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দ্ধিধা করবেন না।

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?