সামাজিক যোগাযোগে, আড্ডায় কিছু কিছু খ্রীষ্টিয়ানদের আচরণ?
নিঃসন্দেহে একটা দৃষ্টান্ত দিয়ে একটা কথা বলতে হয় যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের এলোমেলো পোস্ট, লাইক, কথাবার্তা, বিরূপ মন্তব্য, এমনকি সামনাসামনি আড্ডায় তাদের কথাবার্তায় একটুতে তর্কে জড়িয়ে যাওয়ায়, তাদের হাবভাব আচারণে তাদের অনেকের অপবিত্র জীবনযাপনের অবস্থায় অবাক হতে হয়, অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়, বিব্রত হতে হয়, এমনকি তাদের জন্য সমস্যায়ও পড়তে হয় অনেক।
আর এটা নিশ্চিত যে তাদের কারণে আমাদের এই সমাজে প্রকৃত খ্রীষ্টের অনুসারীদের বহু কষ্টে আর যন্ত্রনায় জবাব দিহিতায় থাকতে হয়।
এ ধরণের অস্বভাবিক আচরণে বিভিন্ন সমস্যায় থাকা অনেকেই তাদের খ্রীষ্টিয়ান বলে পরিচয় দিয়ে আসছেন, কারণ তারা তাদের সুযোগ ও মর্জি অনুযায়ী গির্জায় যান, প্রার্থনা সভাসমিতিতে যোগ দেন, কিন্তু তাদের কথাবার্তা, চিন্তা মনোভাব, ধরনধারণে দেখা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত বদলাতে পারেনি। তাদের নিজেদের পাপ ক্ষমার জন্য নিজেদের পরিচালিত করার জন্য তারা কখনও খ্রীষ্টকে তাদের হৃদয়ে প্রভু বলে স্থান দেননি, একজন নতুন মানুষ হতে কখনও চেষ্টা করেনি (২ করিন্থীয় ৫:১৭ পদ)। এভাবে তারা তাদের ইচ্ছাতেই চলছেন তো চলছেন, পাপই করে আসছে এবং অখাদ্যকুখাদ্য গ্রহণ, জঘণ্য সব কাজকর্ম, অশ্নীল কথবার্তায় তারা নিজেদের খ্রীষ্টিয়ান বলে দাবি করছে। খুব লজ্জার বিষয় হয়ে দাড়ায় যখন অন্যেরা খ্রীষ্টিয়ানদের নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করার সুযোগ পায়। এতে খ্রীষ্টের প্রকৃত অনুসারী যারা তারা বিরক্ত হয়ে উঠেন।
যাহোক, বিষয়টা সমস্ত ধর্মের সমস্ত লোকদেরই নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত যে ধর্মের ধর্মমতে সকলে এখনও পাপ বন্ধনে আবদ্ধ। কেউ কেউ আছেন যারা নিজেদের সাধু ও ধার্মিক দেখাতে এখনও ধর্মীয় লেবাসের নীচে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন। ফরিশীরা যেমন ছিল। যীশু বলেন, “তাহা বাহিরে দেখিতে সুন্দর বটে, কিন্তু ভিতরে মরা মানুষের অস্থি ও সর্বপ্রকার অশুচিতা ভরা” (মথি ২৩:২৭,২৮ পদ)।
যীশু খ্রীষ্টের অনুসারী হওয়াটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। বিষয়টা কোনো সমাজ, জাত বা জাতিগত সিদ্ধান্ত নয়। এটা কোনো “খ্রীষ্টিয়ান জাত বা জাতের” তেমন কোনো বিষয় নয়। প্রত্যেকটা জাত বা জাতির ব্যক্তিগত ব্যাপার আছে যারা খ্রীষ্টকে ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরাই প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান বা “অনুসারী”। আমি কথাটা এভাবে বোঝাতে চাচ্ছি যে আমেরিকার কালচারকে কখনো খ্রীষ্টিয় কালচার বলে আখ্যা দেওয়া যাবে না, এখানকার অনেকের পোষাকআষাক দেখে, তাদের হাবভাব আচরণ দেখে এটাকে কখনো খ্রীষ্টিয় আচরণ বলা যাবে না।
আমি তাদেরকে উৎসাহিত করতে চাই তারা যেন খ্রীষ্টের অনুসারীদের জীবন যাত্রার ধরন ও আত্মিকতা জেনে নেয়। ঈশ্বর বলেন, আমরা পবিত্র হতে পারি এবং মানব সমাজে ধার্মিকতায় জীবনযাপন করতে পারি।
আমাদের প্রত্যেকের ‘জারনি টু আন্ডারষ্ট্যান্ডিং’ বইটি পাঠ করা উচিত কারণ এই বইটি আমাদের সাহায্য করবে তাদের চিনতে, তাদের জানতে যারা শুধু নামে খ্রীষ্টিয়ান এবং এখনও পাপে মোহগ্রস্থ, আবার অনেকে যারা ক্রুশারোপিত ও পুনরুত্থিত যীশু খ্রীষ্টের শক্তির দ্বারা নিজেদের জীবন রূপান্তরিত করেছেন।
শেষ কথায় আমি এটাই বলতে চাই, আমি অনুরোধ করি যেন আমরা একে অন্যের কথা শুনি। হ্যা, একে অন্যে সম্মূখীন হয়ে সত্যিকারার্থে একে অন্যের বিশ্বাস পরীক্ষা করি। প্রেমের আত্মিকতায় আর বুঝেশুনে একজন অন্যের প্রশ্নের জবাবদিহি করি।
আমাদের ধর্মীয় নেতাদের চারিত্রীক দোষের কারণে সাধারন মানুষদের বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয়, আর মণ্ডলীর সাধারণ সদস্যদেরও একই সমস্যায় জন্য পালকদেরও লজ্জায় পড়তে হয়।
আত্মিক বৃদ্ধি হয়নি বলে পৌল বলেছেন . .
“এমনকি, এখনও তোমাদের শক্তি হয় নাই, কারণ এখনও তোমরা মাংসিক রহিয়াছ, বাস্তবিক যখন তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও বিবাদ রহিয়াছে, তখন তোমরা কি মাংসিক নও, এবং মনুষ্যের রীতিক্রমে কি চলিতেছ না” ১ করিন্থীয় ৩:৩ পদ
আরো পাঠ করুন: ১ করিন্থীয় ৫:১-৫ পদ।
Comments