মণ্ডলীর শুরু হয় কখন থেকে? পঞ্চাশত্তমীর দিনে? When did the Church start? Is it the day of Pentecost?

মণ্ডলীর শুরু অর্থাৎ মণ্ডলী স্থাপন হওয়া সম্পর্কে অনেকে অনেকভাবে চিন্তা করেন . . . 

-  অনেকে বলেন মণ্ডলী অব্রাহামের সময়ে প্রথম স্থাপিত হয়েছিল।
-  অনেকে বলেন মণ্ডলী যীশু খ্রীষ্টের তাঁর পরিচর্যার সময়ে স্থাপন করেছিলেন।
-  আবার অনেকে বলেন, যীশু পুনরুত্থিত হওয়ার পরে সেই পঞ্চাশত্তমীর দিনে পবিত্র আত্মার অবতরণের সময় স্থাপিত হয়েছিল।
পবিত্র শাস্ত্রের কিছু যুক্তিসঙ্গত কারণে এবং শাস্ত্রের কয়েকটি অংশের প্রমাণস্বরূপ আমি বিশ্বাস করি যে মণ্ডলী অব্রাহামের সময়ে স্থাপিত হয়নি, শুরু হয়নি পঞ্চাশত্তমীর দিনে কিন্তু এর আগেই জগতে যীশুর জীবনকালে, তাঁর নিজের প্রচার-পরিচর্যার সময়ে তিনি তাঁর মণ্ডলী স্থাপন করেছেন।
১৫টি কারণ কেন  কীভাবে পঞ্চাশত্তমীর দিনের (Day of Pentecost) আগেই যীশুর মণ্ডলীর অস্তিত্ব ছিল।

১। যীশু বলেছেন . . . “আমি আপন মণ্ডলী গাথিব”  "I will build my church" (মথি ১৬:১৮ পদ) 

এ কথা তিনি তাঁর পার্থিব পরিচর্যার সময়ে বলেছিলেন এবং তাঁর এ জগতে থাকার সময়েই মণ্ডলী গেঁথে তোলার প্রতিজ্ঞা।

২। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই প্রেরিতশিষ্যেরা ছিলেন এবং মণ্ডলীতে প্রেরিতশিষ্যেরা ছিলেন এবং প্রেরিতশিষ্যদের কার্য ছিল মণ্ডলীর কার্য। 

“আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমত: প্রেরিতগণকে, দ্বিতীয়ত: ভাববাদিগণকে, তৃতীয়ত: উপদেশকগণকে স্থাপন করিয়াছেন” - ১করিন্থীয় ১২:২৮ পদ।

আর তিনিই (যীশু) কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন . . ” - ইফিষীয় ৪:১১ পদ ।

আমরা দেখতে পাচ্ছি যীশু তাঁর প্রচার-পরিচর্যার সময়ই তিনি তাঁর মণ্ডলীর সূচনা করেছিলেন, তিনি ১২ জনকে প্রেরিতশিষ্য আহ্বান করেছিলেন . .

“সেই সময়ে তিনি একদা প্রার্থনা করণার্থে বাহির হইয়া পর্বতে গেলেন, আর ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিতে করিতে সমস্ত রাত্রি যাপন করিলেন” - লূক ৬:১২ পদ।

১৩ পদ - “পরে যখন দিবস হইল, তিনি আপন শিষ্যগণকে ডাকিলেন, এবং তাঁহাদের মধ্য হইতে বারো জনকে মনোনীত করিলেন, আর তাঁহাদিগকে ‘প্রেরিত’ (apostles) নাম দিলেন” 

মণ্ডলীতে যাদেরকে প্রথম রাখা হয়েছিল তারা ছিলেন প্রেরিতশিষ্যেরা আর তা-কিনা পঞ্চাশত্তমীর দিনের ঠিক তিন বছর আগেই হয়েছিল। 

এখনো ঐ শিক্ষানুসারে মণ্ডলীতে পালক ও প্রচারক থাকেন।

৩। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই মণ্ডলীর একটি নিয়মানুবর্তীতা, মণ্ডলীর একটি শৃঙ্খলা ছিল। মণ্ডলীতে শিষ্যদের অধিকার খ্রীষ্টের পার্থিব পরিচর্যার সময়ে দেওয়া হয়েছিল।

“আর যদি সে তাহাদের কথা অনাম্য করে, মণ্ডলীকে বল; আর যদি মণ্ডলীর কথার অমান্য করে, সে তোমার নিকটে পরজাতীয় লোকের ও করগ্রাহীর তুল্য হউক”  - মথি ১৮:১৭ পদ;  এবং ১৫-১৯ পদ পাঠ করুন।

এখনো ঐ মথি লিখিত সুসমাচারের শৃঙ্খলানুযায়ী মণ্ডলীগুলো পরিচালিত হয়।

৪। ইব্রীয় ২:১২ পদটি পাঠ করলে দেখতে পাই যীশু মণ্ডলীর মধ্যে প্রশংসা গান করেছেন। এটিই একমাত্র সময় যখন যীশু গান করেছেন, যতদুর জানা যায় আর লক্ষ্য করা যায় যে প্রভুর ভোজের অনুষ্ঠানে এটা হয়েছিল।
 
“তিনি বলেন, আমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে তোমার নাম প্রচার করিব, মণ্ডলীর মধ্যে তোমার প্রশংসা-গান করিব।

“পরে তাঁহারা গীত গান করিয়া বাহির হইয়া জৈতুন পর্বতে গেলেন” - মার্ক ১৪:২৬ পদ ।

“পরে তাঁহারা গীত গান করিয়া বাহির হইয়া জৈতুন পর্বতে গেল” - মথি ২৬:৩০ পদ।

এটা হয়েছিল পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই, আর এমনকি এখনো ঐ অনুসারে মণ্ডলীতে প্রশংসা গান করা হয়।

৫। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই তাদের আলোচনা সভা ছিল, ছিল মাণ্ডলিক কার্যকারী সভা, যে সভায় যিহূদার স্থলে একজন প্রেরিত মনোনীত করেছিল। 

পাঠ করুন : প্রেরিত ১:১৫-২৬ পদ 

পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই শিষ্যদের কার্যকারী সভা ছিল, আর এমনকি এখনো মণ্ডলীতে ঐ অনুসারে কার্যকারী সভা করা হয়। 

৬। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই মণ্ডলীর জন্য সুসমাচার প্রচারের কার্যক্রম ছিল, প্রেরিতশিষ্যদের প্রতি আদেশ ছিল সুসমাচার প্রচার করার জন্য।  

“এই বারো জনকে যীশু প্রেরণ করিলেন, আর তাঁহাদিগকে এই আদেশ দিলেন - তোমরা পরজাতিগণের পথে যাইও না, এবং শমরীয়দের কোন নগরে প্রবেশ করিও না; বরং ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষগণের কাছে যাও। আর তেমারা যাইতে যাইতে এই কথা প্রচার কর, স্বর্গ-রাজ্য সন্নিকট হইল’ - মথি ১০:৫-৭ পদ।

“তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজিত কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি” - মথি ২৮:১৮-২০ পদ ।

আর তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা সমুদয় জগতে যাও, সমস্ত সৃষ্টির নিকটে সুসমাচার প্রচার কর” - মার্ক ১৬:১৫ পদ।

পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই প্রেরিতশিষ্যদের প্রতি এই মহান কার্যভার (Great Commission) ছিল। আর এখনো মণ্ডলীতে এমনকি মণ্ডলী থেকেই প্রচার করা হচ্ছে।

৭। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই মণ্ডলীর বাপ্তিস্ম দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই বিশ্বাসীদের বাপ্তাইজিত করা ছিল। 

“তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজিত কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি” - মথি ২৮:১৮-২০ পদ।

“তখন যিরূশালেম, সমস্ত যিহূদিয়া, এবং যর্দনের নিকটবর্তী সমস্ত অঞ্চলের লোক বাহির হইয়া তাঁহার নিকটে যাইতে লাগিল; আর আপন আপন পাপ স্বীকার করিয়া যর্দন নদীতে তাঁহার দ্বারা বাপ্তাইজিত হইতে লাগিল” - মথি ৩:৫-৬ পদ ।

“প্রভু যখন জানিলেন যে, ফরীশীরা শুনিয়াছে, যীশু যোহন হইতে অধিক শিষ্য করেন এবং বাপ্তাইজত করেন” - যোহন ৪:১ পদ ।

২ পদ - “কিন্তু যীশু নিজে বাপ্তাইজিত করিতেন না, তাঁহার শিষ্যগণই করিতেন”

পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই বাপ্তাইজিত করার ক্ষমতা শিষ্যদের ছিল। আর এখনো ঐ অনুসারে বিশ্বাসীদের বাপ্তাইজিত করা হচ্ছে।

৮। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই তাদের প্রভুর ভোজ অনুষ্ঠানের রীতি ছিল যা-কিনা পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগে থেকেই করা হতো।  

“আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, এখন অবধি আমি এই দ্রাক্ষাফলের রস আর কখনও পান করিব না, সেই দিন পর্যন্ত, যখন আমি আপন পিতার রাজ্যে তোমাদিগকে সঙ্গে ইহা নূতন পান করিব। পরে তাঁহারা গীত গান করিয়া বাহির হইয়া জৈতুন পর্বতে গেলেন” - মথি ২৬:২৯-৩০ পদ ।

৯। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই স্বর্গের চাবি শিষ্যদের অর্থাৎ খ্রীষ্টের মণ্ডলীতে দেওয়া হয়েছিল।

পাঠ করুন : মথি ১৬:১৮-১৯ পদ 

১৯ পদ - “আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলো দিব; আর তুমি পৃথিবীতে যাহা কিছু বদ্ধ করিবে, তাহা স্বর্গে বদ্ধ হইবে, এবং পৃথিবীতে যাহা কিছু মুক্ত করেবে, তাহা স্বর্গে মুক্ত হইবে।”

১০। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই অভিষিক্ত হওয়ার অনুষ্ঠান ছিল।

“পরে তিনি পর্বতে উঠিয়া, আপনি যাঁহাদিগকে ইচ্ছা করিলেন, নিকটে ডাকিলেন; তাহাতে তাঁহারা তাঁহার কাছে আসিলেন। আর তিনি বারো জনকে নিযুক্ত করিলেন, যেন তাঁহারা তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন, ও যেন তিনি তাঁহাদিগকে প্রচার করিবার জন্য প্রেরণ করেন” - মার্ক ৩:১৩-১৪  পদ।

১১। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই তাদের মণ্ডলীর একজন কোষাধ্যক্ষ ছিল।
 
“যিহূদার কাছে টাকার থলী থাকাতে কেহ কেহ মনে করিলেন, যীশু তাহাকে বলিলেন, পর্ব্বেও নিমিত্ত যাহা যাহা আবশ্যক কিনিয়া আন, কিম্বা সে যেন দরিদ্রদিগকে কিছু দেয়” - যোহন ১৩:২৯ পদ ।

আর ঐ অনুসারে এখনো মণ্ডলীতে একজন কোষাধ্যক্ষ থাকেন।

১২। পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগেই ১২০ জন সদস্যরূপে মণ্ডলীর একটি ভূমিকা ছিল।

সেই সময় এক দিন - যখন অনুমান এক শত কুড়ি জন এক স্থানে সমবেত ছিলেন, তখন পিতর ভ্রাতৃগণের মধ্যে দাঁড়াইয়া বলিলেন” - প্রেরিত ১:১৫ পদ ।

১৩। ১২০ জন সদস্যদের মণ্ডলীতে পরবর্তীতে কমবেশ তিন হাজার লোক পঞ্চাশত্তমীর দিনে যুক্ত হয়েছিল।
“তখন যাহারা তাঁহার কথা গ্রাহ্য করিল, তাহারা বাপ্তাইজিত হইল; তাহাতে সেই দিন কমবেশ তিন হাজার লোক তাঁহাদের সহিত সংযুক্ত হইল। আর তাহারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগিতায়, রুটি ভাঙ্গায় ও প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকিল।” - প্রেরিত ২:৪১-৪২ পদ ।
পঞ্চাশত্তমীর দিনে কমবেশী ৩,০০০ লোক খ্রীষ্টের মণ্ডলীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। কোনো একটা কিছু যদি আগে থেকেই না থেকে তাকে তাহলে আপনি তার সঙ্গে কিছুই সংযুক্ত করতে পারবেন না। (প্রেরিত ২:৪১ পদ)।

এভাবে বলতে পারি যে আমি আজ ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছি আর এতে এই ইঙ্গিত করে বা এই বলা যায় যে আমার আগে থেকেই ব্যাংক একাউন্ট ছিল, যাতে আগের কিছু টাকা জমা থাকার সাথে এই ৫ হাজার টাকা সংযুক্ত হয়ে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেল। এই দৃষ্টিতে তিন হাজার লোক পঞ্চাশত্তমীর দিনে মণ্ডলীতে যুক্ত হলো তাহলে আমাদের এই বিশ্বাস করতে হয় যে পঞ্চাশত্তমীর দিনের আগে থেকেই মণ্ডলী ছিল।

১করিন্থীয় ১২:২৮ পদ “আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমতঃ প্রেরিতগণকে, দ্বিতীয়তঃ ভাববাদিগণকে, তৃতীয়তঃ উপদেশকগণকে স্থাপন করিয়াছেন।” এবং ইফিষীয় ৪:১১ পদে, “আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন।”, আমি বিশ্বাস করি, আর আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে খ্রীষ্টের নিজের পার্থিব পরিচর্যার সময়ই সেই সঠিক সময় ছিল যখন যীশু তাঁর মণ্ডলী গঠন করেছেন বা স্থাপন করেছেন । তিনি মণ্ডলীতে ১২জন প্রেরিতশিষ্যদের দিয়ে নিজের মণ্ডলী গঠন করেছেন। মণ্ডলীতে তাদেরকে দিয়েই স্থাপন করা হয়েছে। যীশু পর্বতে গেলেন এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে রাত কাটালেন। পরের দিন সকালে তিনি তাঁর শিষ্যদের একত্র হতে ডাকলেন এবং তাদের মধ্য থেকে বারো জনকে মনোনীত করলেন আর তাদের নাম দিলেন ‘প্রেরিত’ (apostles)। এভাবে তিনি তাঁর মণ্ডলী শুরু করলেন। মার্ক ৩:১৩-১৪ পদে বলা আছে যে, “পরে তিনি পর্বতে উঠিয়া, আপনি যাঁহাদিগকে ইচ্ছা করিলেন, নিকটে ডাকিলেন; তাহাতে তাঁহারা তাঁহার কাছে আসিলেন। আর তিনি বারো জনকে নিযুক্ত করিলেন, যেন তাঁহারা তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন, ও যেন তিনি তাঁহাদিগকে প্রচার করিবার জন্য প্রেরণ করেন।” লূক ৬:১২-১৩ পদ, “সেই সময়ে তিনি একদা প্রার্থনা করাণার্থে বাহির হইয়া পর্বতে গেলেন, আর ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিতে করিতে সমস্ত রাত্রি যাপন করিলেন। যখন দিবস হইল, তিনি আপন শিষ্যগণকে ডাকিলেন এবং তাঁহাদের মধ্য হইতে বরো জনকে মনোনীত করিলেন, আর তাঁহাদিগকে ‘প্রেরিত’ নাম দিলেন।” সাধু পৌল প্রেরিতদের স্থাপিত হওয়া মণ্ডলীকে মর্যাদা দিয়েছেন, যে মণ্ডলীর প্রধান কোণস্থ প্রস্তর স্বয়ং খ্রীষ্ট-ই। ইফিষীয় ২:১৯-২০ পদ “অতএব তোমরা আর অসম্পর্কীয় ও প্রবাসী নহ, কিন্তু পবিত্রগণের সহপ্রজা এবং ঈশ্বরের বাটীর লোক। তোমাদিগকে প্রেরিত ও ভাবাদিগণের ভিত্তিমূলের উপরে গাঁথিয়া তোলা হইয়াছে; তাহার প্রধান কোণস্থ প্রস্তর স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশু।” 


আলোচনা এটাই যে  যীশু সেই বারোজন প্রেরিতশিষ্যদের নিয়েই যীশু তাঁর মণ্ডলী শুরু করেছিলেন আর সেখান থেকেই খ্রীষ্টের দেহরূপ মণ্ডলীর শুরু।   

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?