“বাইবেলে বর্ণিত কোরবানির নিগুঢ়তত্ব”


দেখ খোদার ভেড়ার বাচ্চা, যিনি মানুষের সমস্ত গুনাহ্ দূর করেন

বন্ধুগণ ইঞ্জিল শরীফ অনুসারে ঈসা মসীহ্-ই হলেন সেই ভেড়ার বাচ্চা, কিন্তু কোন্ ভেড়ার বাচ্চা?

হলো সেই ভেড়ার বাচ্চা যার বিনিময়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর পুত্রের জীবন রক্ষা হয়েছে

হযরত ইব্রাহিম (আঃ) বলেছিলেন ভেড়ার বাচ্চা খোদা- যোগাবেন।

আমাদের
রক্ষার জন্য একটি মহা-কোরবানি হয়েছিল। সেই কোরবানির ভেড়া খোদা নিজেই  যুগিয়েছেন।

ঈসা মসীহ্ নিজেই তাঁর জীবনকে কোরবানী হিসাবে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তিনি তা করেছিলেনও। কিন্তু যেভাবে তিনি স্বেচ্ছায় নিজ প্রাণ দিয়েছিলেন সেই একইভাব আপন ক্ষমতা বলে তিনি তাঁর প্রাণ ফিরিয়েও নিয়েছিলেন। তিনি আবার জীবিত হয়ে উঠলেন। তাঁর পুনরুত্থানই প্রমাণ করে যে, তাঁর মৃত্যু পরাজয় ছিল না।

জীবনকে কোরবানী দেবার মধ্য দিয়ে ঈসা মসীহ্ হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণীকে পূর্ণ করেছিলেন যা তাঁর বংশধরদের উদ্দেশ্যে করেছিলেন।

বহু বছর আগেই সেই বাণীতে তিনি বলেছিলেন, . .  খোদা নিজেই কোরবানীর সেই ভেড়ার বাচ্চা যোগাবেন।

ইনি সেই ভোড়ার বাচ্চা যিনি মানুষের গুনাহের বোঝা বহন করেন।

তাঁর
সেই জীবন কোরবানি আজও মানুষকে তাদের গুনাহ্ থেকে নাজাত দান করতে সমর্থ, কারণ তা মৃত নয় বরং জীবিত শাশ্বত।

আমি আবারও বলছি . .
ঈসা মহিস্ ছিলেন কোরবানি জন্য খোদার প্রদানকৃত উপযুক্ত একটি মেষ।

যিনি
ছিলেন নিখুঁত নিষ্কলঙ্ক পবিত্র এবং কোরবানি হওয়ার জন্য উপযুক্ত বয়সের।

তিনি
নিজেই কোরবানি হওয়ার জন্য উপযুক্ত মেষ, ইমাম, মহান মহা-ইমাম।

তিনি
নিজেই আমাদের পক্ষে আমাদের জন্য চুড়ান্তভাবে কোরবানি হয়েছিলেন যেন আমাদের আর বারবার কোরবানীর পশু জবাই করতে না হয়।

তিনি
ছিলেন মহান মহা-ইমাম, যে ইমামদের একমাত্র এবং সবচেয়ে বড় কাজ ছিল বনি-ইস্রায়েলদের আনিত উৎসর্গ করার জন্য পশু জবাই দেওয়া।

ঈসা মসিহ্
নিজেই কোরবানির উপযুক্ত মেষ ছিলেন আর তিনি নিজেই কোরবানি হওয়ার জন্য একমাত্র মহান মহা-ইমাম ছিলেন।

তাই
তিনি তাঁর নিজেকে কোরবানির উৎসর্গের মাধ্যমে ইমামের কর্মটিও নিজেই সমাপ্ত করেছেন। তাই এখন আর কোনো ইমাম নাই যে বারবার পশু জবাই দেবে যা ইমামদের কর্ম ছিল।

ঈসা মহিস্-ই
কোরবানির মেষ এবং কোরবানির জন্য পবিত্র মহা-ইমাম ছিলেন।

আমরা
শুধু মন ফিরিয়ে সেই কালভেরির দিকে দৃষ্টি দেই এবং সেই মহা কোরবানি এবং সর্বপ্রধান মহান মহা-ইমামের কর্মকে বিশ্বাস করি।
আমেন! আমেন !! আমেন !!!
১৯ সিপারা : ইবরানী ৯:১১-২৮ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করলে এর গুরুত্ব জানা যাবে।

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?