আমাদের সব কাজই কি জঘন্য?
আমি কি তোমার জন্মদিন পালন করি নাই?
আমি কি গুণগান, প্রসংশা করি নাই?
আমি কি পুরাতন কাপড় বাদ দিয়ে তোমার জন্মদিনে নতুন জামাকাপড় পরি নাই?
আমি কি গুডফ্রাইডে উপবাস করি নাই?
আমি ইস্টার সানডে পালন কি করি নাই?
আমি কি প্রভুর ভোজে, প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করি নাই?
আমি কি সাক্রামেন্ট পালন করি নাই
আমি কি সভা-সমিতিতে যোগদান করি নাই?
আমি কি দরিদ্রদের সাহায্য করি নাই?
আমি কি ভালো ভালো কাজের আরো কতো কী আছে তা কি করি নাই?
আমি কি তোমার জন্য কিছু বাদ দিয়েছি করতে?
এই যদি আপনার জিজ্ঞাসা হয়, . . যীশু স্পষ্টই বলবেন যে তিনি কখনই আপনাকে চিনেন নাই . .
মথি ৭:২২-২৩ পদ।
২ করিন্থীয় ৫:১০ পদে সাধু পৌল বলেছেন যে . .
আমাদের প্রত্যেকের খ্রীষ্টের সামনে বিচারের জন্য দাঁড়াতেই হবে আর আমাদের জীবন তাঁর সামনে মেলে ধরা হবে।
এই নশ্বর দেহে বাস করার সময় আমরা ভালো কি মন্দ যা করেছি তার উপযুক্ত ফল আমদের পেতে হবে।
অনেক আগেকার একটা কাহিনী . .
চীন দেশের রাজার একটি সংগীত দল যারা বাদ্যযন্ত্র বাজায় সেরকম অর্কেস্ট্রোর একজন সদস্য ছিল।
ইনি প্রভাবশালী একজন বন্ধুর মাধ্যমে রাজার সংগীত দলের সদস্য হয়েছিলেন।
ইনি দাবি করতেন যে তিনি খুব চমৎকারভাবে বাঁশী বাজাতে পারেন।
আসলে বাঁশীতে সঠিক কীভাবে ফুঁ দিতে হয় তাও তিনি জানতেন না।
যখন এই সংগীতদল সমবেতভাবে বাজনা বাজায় তখন তিনি এমন ভাব করেন,
এমন ভঙ্গি করেন যেন উনি একজন দক্ষ বাঁশীবাদক।
এভাবে বেশ কিছুদিন চলছিল।
একদিন রাজা ঘোষণা দিলেন যে তিনি প্রত্যেকের সংগীত যন্ত্রের সুর আলদা আলদাভাবে শুনতে চান।
এই লোকটি সংঘাতিক ভয়ে তাড়াতাড়ি বাশিবাজানো শেখার একটা একটা পাঠ নেওয়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেল।
তিনি ভাবলেন, যেদিন তার পালা আসবে ঐদিন যে তার অসুখ হয়েছে বলে চালিয়ে দেবেন।
কিন্তু উনি জানতেন যে মহারাজের চিকিৎসক তার অসুস্থতার রিপোর্ট দেবেন।
লোকটা চাচ্ছেন না যে রাজার কাছে তার চালাকিটা ধরা পরে যাক।
শেষ পর্যন্ত এই ঠকবাজ লোকটা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন।
উনি রাজার সম্মুখীন হতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
বন্ধুগণ . .
আপনি সত্যিকার খ্রীষ্টিয়ানদের সাথে মিসে তাদের মতো সবকিছু ঠিকঠাক করছেন বলে মনে করছেন।
কেউ বুঝতে পারছেন না আপনার আসল আত্মিক অবস্থা, . . কিন্তু . .
এমন একদিন আসছে যেদিন পৃথিবীতে যে যা করেছে তার জবাবদিহি করার জন্য প্রত্যেককে হিসাব দিতে ডাকা হবে।
যারা এ জগতে থাকতে তাদের হারানো অবস্থা বুঝতে পারেন নাই, ঈশ্বরের দিকে মন ফিরান নাই,
প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহণ করেন নাই, পরিত্রাণপ্রাপ্ত হন নাই,
নতুন জন্ম লাভ করেন নাই, তাদের প্রত্যেকে ঈশ্বরের শুভ্র সিংহাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহণ করেন নাই, পরিত্রাণপ্রাপ্ত হন নাই,
নতুন জন্ম লাভ করেন নাই, তাদের প্রত্যেকে ঈশ্বরের শুভ্র সিংহাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে।
যেখানে তাদের সম্পর্কে জীবন পুস্তকে যেভাবে লেখা আছে সে অনুযায়ী তাদের বিচার হবে।
প্রকাশিত বাক্য ২০:১২ পদে লেখা আছে যে . .
শেষ বিচারে সমস্ত ক্ষুদ্র কি মহান (রাজা-বাদশা, ধর্মগুরু, চোর দস্যু) সবাই ঈশ্বরের সামনে দাড়ানো, আর কতকগুলো পুস্তক খোলা হলো, এর সঙ্গে জীবনপুস্তক খোলা হলো,
সেই পুস্তকগুলোতে প্রত্যেকের কাজের বিষয় যা যা লেখা ছিল সেই অনুসারে তাদের বিচার হলো।
সেই পুস্তকগুলোতে প্রত্যেকের কাজের বিষয় যা যা লেখা ছিল সেই অনুসারে তাদের বিচার হলো।
কিন্তু যারা ঈশ্বরের প্রতি মন ফিরিয়েছেন, যীশু খ্রীষ্টের উপর যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছেন,
এমন বিশ্বাসীরা সেই বিচারসভার সামনে দাঁড়াবেন না,
তারা খ্রীষ্টের বিচারাসনের পাশে দাঁড়াবেন।
আপনার সঠিক বিশ্বাসীদের মতো বিশ্বাস নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি পাপ থেকে ঈশ্বরের দিকে মন ফিরিয়েছেন, যীশুকে আপনার মুক্তিদাতারূপে বিশ্বাস করেছেন,
তাঁকে আপনার প্রভু বলে গ্রহণ করেছেন আর তখন স্বর্গে যাবার ব্যাপারে কোনো বিচার হবে না।
তাঁকে আপনার প্রভু বলে গ্রহণ করেছেন আর তখন স্বর্গে যাবার ব্যাপারে কোনো বিচার হবে না।
যখন কেউ এ জগতে জীবন থাকতেই জীবন্ত ঈশ্বরের দিকে মন ফিরিয়ে খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তা হিসাবে হৃদয়ে গ্রহণ করেছেন তখনই এর সমাধান হয়ে গেছে।
ঐ বাজনদারের মতো অনেকে আছেন যারা . .
. . পাদ্রী/পুরোহিতদের তোষামোতের মাধ্যমে মণ্ডলীর একজন সদস্য হয়েছেন,
. . এভাবে বিশ্বাসীদের সাথে মিসে গিয়ে তাদের সাথে আমেন! আমেন! বলছেন,
. . গান করছেন, পর্ব পালন করছেন।
. . মাণ্ডলিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকছেন . .
. . আর ভাবছেন আমিও তাদের মতই একজন, আমার মতো ওরাও।
সাধু পৌল লিখেছেন, “আমাদের প্রত্যেককে খ্রীষ্টের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে।”
মনে রাখবেন জীবনের হিসাব-নিকাশ দেওয়া থেকে পালিয়ে যাবার কোনো সুযোগ নাই।
এ কারণে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে ব্যক্তিগতভাবে একান্ত নিজের উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর সেই সাথে আমাদের এমনভাবে জীবনযাপন করা উচিত যাতে প্রভুর সম্মুখীন হতে লজ্জা পেতে না হয়।
বড়দিন উৎসব হলো
৪০ দিন উপবাস হলো
পা-ধোয়ানো হলো
প্রভুর ভোজ হলো
ইস্টার সানডে উদ্যাপন হলো
“সুসমাচার” উপলব্দি করতে পেরেছি তো?
Comments