মানুষ নরদেবতা নয় কিন্তু মানুষ।

 মানুষ নরদেবতা নয় কিন্তু মানুষ।

মানুষ যে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট তা আমাদের পবিত্র বাইবেল জানায়।
মানুষ কখনই বিবর্তনের কোনো দুর্ঘটনার ফসল নয় কিন্তু চিরন্তন ঈশ্বরের একটি সৃজনশীল বিস্ময়।
মানুষ ক্রমান্বয়ে বিবর্তিত হয়ে উচ্চস্তরের নগ্ন বনমানুষ হয়নি কিন্তু পরিপল্পনাকারী স্বয়ং ঈশ্বরের হাতে গড়া।
মানুষ সহজাত প্রবৃত্তির দ্বারা পরিচালিত অত্যন্ত বুদ্ধিমান পশু নয় কিন্তু মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে অন্যন, অদ্বিতীয় সৃষ্টি।
ঈশ্বর বললেন, “এস আমরা আমাদের প্রতিমূর্তিতে ও সাদৃশ্যে মানুষ সৃষ্টি করি। তারা যাবতীয় পশু, সমুদ্রের মৎস্যকুল, আকাশের পাখি, ভূচর সরীসৃপ এমনকি সমস্ত পূথিবীর তত্ত্বাবধান করবে”
তখন ঈশ্বর আপন সাদৃশ্যে মানুষ সৃষ্টি কররেন।
ঐশ্বরিক সাদৃশ্যে মানুষকে সৃষ্টি করলেন।
নর ও নারীরূপে তাদের তিনি গড়লেন
আদিপুস্তক ১:২৬-২৭ পদ।
যেহেতু মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট, সেহেতু তার বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের অধিকার আছে।
সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে মানুষই হলো অনেকাংশে ঈশ্বরের সদৃশ্য।
সে সৃষ্টির মুকুট ও প্রভু, সে বিবর্তনের পদ্ধতিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে সম্প্রতি উৎপাদিত বস্তু নয়।
মানুষ ঈশ্বরের অধীন কিন্তু সৃষ্টি মানুষের অধীন।
ঈশ্বরের সৃষ্টির যত্ন আর তত্তাবধান করার জন্য, তার উপরে কর্তৃত্ব করার জন্য এবং স্রষ্টার সঙ্গে কাজ করার জন্য ঈশ্বর তাকে নিয়োগ করেছেন।
মানুষ ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্ট, সুতরাং গুনগতভাবে তাঁর থেকে ভিন্ন।
মানুষ ঈশ্বর নয়, এমনকি তাঁর অংশও নয়।
সে নরদেবতা নয় কিন্তু মানুষ।
সে ঈশ্বর দ্বারা গঠিত কিন্তু সৃষ্টির অবশিষ্টাংশ অপেক্ষা ভিন্ন, কারণ সে ঈশ্বরের নিজ প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট।
ঈশ্বর তার উপর নির্ভর শীল নয়, কিন্তু মানুষ সর্বদা তাঁর উপর নির্ভরশীল থাকবে।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে মানুষ আজ ঈশ্বরের সত্যকে তারা মিথ্যায় রূপান্তরিত করেছে।
সৃষ্টিকর্তা মহিমাময় ঈশ্বরের উপাসনা না করে তারা নিজের তৈরি এবং ঈশ্বরের সৃষ্ট বস্তুরই পুজা করছে।
রোমীয় ১:২৬ থেকে ৩২ পদের কিছু ব্যাখ্যা . .
এই জন্য যা খুশী সব রকমের নোংরা কাজ করতে ঈশ্বর তাদের ছেড়ে দিলেন।
তাই এমনকি তারা স্বাভাবিক আচরণ ছেড়ে নোংড়া পাপে লিপ্ত হয়।
এভাবে তারা যখন জীবন্ত ঈশ্বরকে সম্পূর্ণ ত্যাগ করে, এমনকি তাঁকে স্বীকৃতি দেয় না, তখন ঈশ্বরও তাদের ছেড়ে দিলেন, যেন তাদের মনের নোংড়া চিন্তা অনুযায়ী তারা সব রকমের মন্দ কাজ করে।
তাদের জীবন সব রকমের দুষ্টতা, পাপ, লালসা, কলুষতা, হিংসা, খুন, দ্বন্দ্ব, ছলনা, অন্যের ক্ষতি করার স্পৃহায় ভরে গেল। তারা কুৎসা রটনাকারী, ঈশ্বর বিদ্বেষী নির্বোধ, অহৎকারী আ দাম্ভিক।
তারা পাপ করার জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজে বেড়ায়, সব সময় মা-বাবার অবাধ্য হয়।
তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেরা বোকা সাজে, নিজেদের দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখে না, তারা নিষ্ঠুর ও নির্দয়।
তারা ভালো করেই জানে যে এই সমস্ত পাপের ফল স্বরূপ ঈশ্বর মৃত্যুদণ্ড নিরূপণ করেছেন, তবু তারা নিজেরা সেই পাপ যথেচ্ছভাবে করে আর অপরকে তা করতে উৎসাহ দেয়। মন্দ কাজ করে।
যার দরুণ তাদের পাপের উপযুক্ত ফল তারা অন্তর আত্মায় পায়।

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?