খ্রীষ্টের উৎসবে পিছনে ফিরে সেই খ্রীষ্টকে দেখুন

যীশু খ্রীষ্টের জন্ম কখনই . .
কোনো জাতীয় নেতাদের মতো নয়,
কোনো ধর্মীয় গুরুদের মতো নয়,
কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো নয়।
কোনো বড় অর্জন করা সেই ব্যক্তিদের মতো নয়। 
যারা কিনা জন্মেছিলেন তাদের মৃত্যুতেই সব শেষ।

যীশু খ্রীষ্টের জন্ম হওয়া অত্যন্ত বিশেষ জন্ম, কারণ এই জন্ম তাঁরই জন্ম হওয়া সেই নাসারতীয় যীশু খ্রীষ্ট যিনি ২০০০ বছরেও আগে এ ভূবনে এসেছিলেন আর এখনো জীবিত আছেন।

তাঁর জন্মগ্রহণে - রাজাদের ভয়ে কাপিয়ে দিয়েছিল
তাঁর ফুঁতে - শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করলেন
তাঁর কাপড়ের একটি কোনার স্পর্শে - ১২ বছরের রোগ মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়েছিল
তাঁর থুতুতে - জন্মান্ধ চোখে দেখতে পেল
তাঁর প্রার্থনায় - ৫টি রুটি, ৫,০০০ রুটিতে পরিণত হলো
তাঁর দৃষ্টিতে - সাধারণ একজন মৎসজীবী ক্ষমতাশালী প্রেরিতশিষ্যে গঠন হলেন
তাঁর উপস্থিতে - মন্দ আত্মার বাহিনিরা যন্ত্রণা পেল
তাঁর সুবুদ্ধি এবং বিচক্ষণতায় - বহু বিধি-বিধান বিভ্রান্ত হয়েছিল।
তাঁর স্পর্শে - কুষ্ঠরুগী শুচি হয়েছিল।
তাঁর মৃত্যু - কবর খুলে গিয়েছিল এবং অনেকে মৃত্যু থেকে উঠে এসেছিল।
তাঁর ক্ষত - সমস্ত অসুস্থতা সুস্থ্য হয়েছিল
তাঁর উৎসর্গে - মন্দিরের পরদা ছিঁড়ে ভাগ ভাগ হয়ে গিয়েছিল।
তাঁর কথায় - মৃত মানুষটি (চার দিন মৃত থাকায়) জীবন ফিরে পেয়েছিল
তাঁর ক্ষমতায় - ঝড় ও বাতাস শাস্ত হয়েছিল

মৃত্যু তাঁকে ধরে রাখতে পারিনি, তিনি জীবিত থাকার জন্যে নয়, কিন্তু তিনিই জীবন।
অসুস্থতা তাঁকে ধরে রাখতে পারেনি, তাঁর সুস্থ্য থাকার জন্যে নয়, কিন্তু তিনিই সুস্থ্যকারী।
অন্ধকার তাঁর উপর ছাপ ফেলতে পারেনি, তাকে আলোতে থাকার জন্য নয়, কিন্তু তিনিই আলো।
ক্রুশ তাঁকে ধরে রাখতে পারেনি, কারণ তিনি ক্রুশ ধরে রেখেছিলেন।
পিলাত তাঁকে ক্রুশে দিতে পারেনি, কারণ তিনিই আমাদের সমস্ত দুর্বলতা, অসুস্থতা এবং পাপচার নিজেই তুলে নিয়েছেন।

যীশু বৈথলেহমে জন্মগ্রহণ করেছেন, যে স্থানটি পৃথিবীর একেবারে মধ্যস্থল।
এতে স্পষ্টই প্রমাণ হয় যে যীশ খ্রীষ্টই সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর।

তাঁর জন্ম সেই রাখালদের এবং সেই পণ্ডিতব্যক্তিদের মহা আনন্দ বয়ে এনেছিল।
এতে প্রমাণ হয় যে তিনিই হলেন ধনীদের এবং জ্ঞানীগুনিদের ঈশ্বর এবং গরীব এবং মূর্খদের ঈশ্বর।

তিনি এমন কোনো প্রসাদে জন্মাননি যেখানের সবকিছুই স্বর্ণের।
কিন্তু স্বর্ণকে তাঁর তালাশে সেই যাবপাত্রের কাছে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন যেখানে এই রাজার রাজা জন্ম হয়েছিল।

রাজা যীশু রাজা শলোমন রাজার থেকেও মহান ছিলেন, যিনি জগতের সবচেয়ে জ্ঞানী রাজা হতে দেখা গিয়েছে।

প্রভু যীশুকে যদি নবি-ই বলতে হয় তাহলে তিনি এলিয় নবির থেকেও মহান ছিলেন, কারণ এলিও আগুন নামিয়ে এনেছিলেন কিন্তু যীশু নিজেই সেই আগুণের শক্তি ছিলেন। 

রাখাল অর্থাৎ মেষপালক যীশু রাখাল দায়ূদের থেকেও বড় রাখল ছিলেন, কারণ তিনি তাঁর মেষদের জন্য শায়িত হয়েছিলেন।

তিনি সেই প্রস্তর ছিলেন যার বিষয়ে ঈশ্বর মোশীকে বলেছিলেন এর উপর তাঁর গৌরব প্রবাহিত হবে।তিনি হলেন সেই স্যাক্রিফাইস গিদিয়োন যা বিজয়ের প্রমাণ হিসাবে দূতের সামনে স্থাপন করা হয়েছিল।তিনি হলেন সেই মেষ যা ঈশ্বর পাহাড়ে অব্রাহামকে দিয়েছিলেন যখন ইসহাককে হোমার্থ বলিদান করা থেকে থামিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি হলেন সেই গর্দভের হনূ (এই কথাটা প্রতিবিধিত্ব করে) যা শিমশোন সমস্ত পলেষ্টীয়দের হত্যা করতে ব্যবহার করেছিলেন।
তিনি সেই প্রস্তর যা মরুভূমিতে জল এনেছিল যখন মোশী ইস্রায়েলদের সামনে আঘাত করেছিলেন।তিনি সেই প্রবাহিত জলস্রোত নদী যা নগরকে আনন্দ দেয়।
তিনিই সেই নিঃশ্বাস যিনি শুকনো হাড়গুলোকে বিশাল সেনাবহিনীর মতো করে তুলিছিলেন যখন যিহিষ্কেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

তিনি হলেন মহাযাজক, প্রেমিক, যিহূদার সিংহ, শান্তির রাজপুত্র, প্রধান কোনের প্রস্তর, ঈশ্বরের মেষশাবক, পরাক্রমশালী পরামর্শদাতা, আলোর পিতা, জীবন্ত জলের নদী, মশীয়, জীবনের খাদ্য, জগতের আলো, পুনরুত্থান এবং জীবন, ছাইয়ের সৌন্দর্য, তিনি ভারগ্রস্থদের জন্য প্রশংসার আবরণ, সমস্ত বিশ্বাসের সূচনাকারী, আলফ ও ওমেগা, মানবতার একমাত্র বিচারক, মানুষ এবং ঈশ্বরের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী।

প্রকৃতপক্ষে তিনিই ঈশ্বর এবং তিনি বর্ণনাতীত।

মানবজাতির ইতিহাসে দু’টি সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা ছিল যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এবং তাঁর মৃত্যু।

আমেন! আমেন!! আমেন!!! 

অনুবাদ : নথনিয়েল হাজরা

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?