ঈশ্বর কি আছেন? আমরা কি তাঁকে জানতে পারি?

ঈশ্বর কি আছেন?

১। অনেকে ঈশ্বরে বিশ্বাসী  নন্। ঈশ্বর নাই বলে বিশ্বাস করেন।

অনেক এমনভাবে বাস করেন, এমন তাদের জীবন যেন ঈশ্বর নাই।
আবার অনেকে বলেন যে হয়তো-বা একজন ঈশ্বর আছেন,
কিন্তু তিনি নিজেকে মানুষকে জানাননি,
তিনি তার নিজেকে মানুষকে প্রকাশ করেননি।
মানুষকে জানানোর জন্য তাঁর নিজেকে গঠন করেননি।

যাহোক সবকিছুর আগে, সেই প্রশ্নের উত্তর দেব,
“কোনো ঈশ্বর আছেন কি না?”

যখন আমরা আমাদের চারপাশের সমস্ত জিনিসের দিকে তাকাই,
যখন আমরা আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুর দিকে দেখি, লক্ষ্য করি,
আমরা নিজেরা জিজ্ঞাসা করি,
নিজেকে প্রশ্ন করি, আমরা জানতে চাই,
“এ সমস্ত কোথা থেকে এলো?”
কীভাবে গাছপালা/পাহাড়পর্বত/নদীনালা/হ্রদ আর জীবজন্তু/প্রাণী,
এছাড়াও আরও অনেক কিছু হয়ে উঠলো?
কোথা থেকে . . এলো এসব।

বন্ধুগণ, এর সমস্ত কিছুই সেই সত্তার মধ্য দিয়েই এসেছে,
যাঁকে ঈশ্বর বা God বলা হয়।

হ্যাঁ, তাঁকে অবশ্যই মহান ক্ষমতা থাকতে হবে।
বাইবেলে ঈশ্বরের জন্য ব্যবহৃত শব্দের অর্থ Powerful.
অর্থ - পরাক্রান্ত, .অর্থ - শক্তিশালী, . . অর্থ - বলিষ্ঠ।
বাইবেলের অর্থে ঈশ্বর কার্যসাধক ও শক্তিবিশিষ্ট।

আমরা যখন আমাদের চারপাশের সমস্ত জিনিষগুলো দিকে তাকাই করি,
আরও ঘনিষ্ঠভাবে দেখি,
আমরা দেখি যে এর প্রত্যেকটি এক এক বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি/গঠন করা হয়েছে,
আর এটা হলো মহা পরিকল্পনারই এক একটি অংশ।

এখন প্রশ্ন হলো . .
কে এর, কে এই সমস্ত কিছু পরিকল্পনা করেছেন?
কে এমন আছেন/ছিলেন যিনি সর্বাত্মকভাবে
অর্থাৎ সর্বশক্তি নিয়োগ করে এমন ভেবেছিলেন?
এতে . . সর্বশক্তিপ্রয়োগ করার মতো কে আছেন?

এমন কাউকে হতে হবে যিনি নিশ্চয়ই খুবই জ্ঞানসম্পন্ন,
অত্যন্ত অভিজ্ঞ/বিচক্ষণ কেউ।

কোনো মানুষই এ ধরনের জ্ঞানস্পন্ন নন্।
কোনো মানুষই এ ধরনের যথেষ্ট বিচক্ষণ নন্।
একমাত্র ঈশ্বর-ই তা করতে পারতেন।

অবশ্যই এমন একজন ঈশ্বরকে থাকতে হবে যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন,
বা যিনি সবকিছুরই আকার দিয়েছেন।

২। এসব খুবই স্পষ্ট মনে হয়, ধারণা হয়।

তবুও অনেকে আছেন যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না।
তারা বলেন যে ঈশ্বর নাই।
এদেরকে . . Atheists/নাস্তিক বলা হয়।

এরা কীভাবে . . জানতে পারলো যে ঈশ্বর নাই?

যখন কেউ বলেন যে ঈশ্বর নাই,
তার মানে তিনি এটাই প্রকাশ করছেন যে তিনি সব জানেন।
তার ভাবনায় তিনি এটাও প্রকাশ করছেন/বলছেন যে তিনি বিশ্বের সবখানে আছেন।

তাই যদি না হয়, তাহলে তিনি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারলেন যে ঈশ্বর নাই?

ঈশ্বর হয়তো পৃথিবী থেকে দূরে,অথবা অন্য কোনো স্থানে কোনো নক্ষত্রে আছেন।
তবে ঈশ্বর নাই, এমন বলার কোনো মানে হয় না।

ঈশ্বর যে নাই তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনাকে সবকিছু জানতে হবে,
আর একই সময়ে সব জায়গাতেই থাকতে হবে।
এর মানে হলো আপনার নিজেকেই ঈশ্বর হতে হবে।

তাই বাইবেল, এসব নাস্তিককে বোকা/নির্বোধ বলে।

বোকা/নির্বোধ মনে মনে বলে, . .
“মুঢ় মনে মনে বলিয়াছে, ‘ঈশ্বর নাই’” (গীতসংহিতা ১৪:১ পদ)।

এর চেয়ে তাদের এটাই বলা বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে,
“আমি জানি না ঈশ্বর আছেন কি না।” 

আবার যিনি বলেন যে তিনি জানেন না, তিনি এও বলতে পারেন যে কেউ তা জানতে পারে না। 

তবে আমার বিশ্বাসে আমি বুঝি যে ঈশ্বরকে জানা একটা বড় সম্মান। 

অনেকে মনে করেন যে Evolution/বিবর্তন প্রমাণ করে যে বাইবেল সত্য নয়।
Evolution/বিবর্তন শিক্ষা দেয় যে হাজার হাজার বছর আগে শুরুতে কিছু একটা ছিল।
এই কিছু একটা-টা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় আর পরে কোনো মাছে,
পরে কোনো পশুতে আর এক পর্যায়ে একটা মানুষ হয়ে ওঠে।

কিন্তু, প্রশ্ন হলো সেই প্রথম সামান্য কিছুটা কোথা থেকে এলো?
এই সামান্য সেই কিছু একটার নিশ্চয়ই শুরুটা ছিল।
কে এটার শুরু করেছে, আর এটাকে চালিয়ে যাচ্ছে?

এর উত্তর হলো ঈশ্বর ‍বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শুরু করেছেন, আর তিনি এটাকে চালিয়ে যাচ্ছেন। 

আপনার যদি ঘরি থাকে তাহলে আপনি এর ভিতরের ছোটছোট চাকার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন।
যদি কেউ আপনাকে বলে যে কোনো দেশের এমন একজন মানুষ আছে,
যিনি একটা বাটির চারপাশে নানা রকমের টুকরো ঝাঁকিয়ে ঘড়ি তৈরি করেছেন,
আপনি কি তাকে বিশ্বাস করবেন?
আপনি জানেন, শুধুমাত্র একজন খুব জ্ঞানী ব্যক্তিই . . 
ঘড়ির অনেকগুলো টুকরো একসাথে রাখতে পারেন যাতে এটা কাজ করে।
এসব কখনই এককভাবে একটার মধ্যে নাড়াচাড়া করে একত্রিত হবে না! 

ঠিক এভাবেই আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না যে, এই বিস্ময়কর পৃথিবী ঈশ্বর ছাড়া একাকী অস্তিত্ব লাভ করেছে।


Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?