বড়দিনে খ্রীষ্টকে একবার জানুন!
বড়দিন কখনই জগতের কোনো জাতীয় নেতাদের জন্ম হওয়া নয়,
বড়দিন কখনই ধর্মীয় কোনো গুরুদের জন্ম হওয়া নয়,
বড়দিন কখনই রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিদের জন্ম হওয়া নয়,
যারা তাদের জন্মের পর বড় বড় অর্জন করেছেন আর কিনা মৃত্যুবরণ করেছেন।
বড়দিন একেবারেই বিশেষ,
কারণ এটি এমন একজন ব্যক্তিকে স্মরণ করা,
যিঁনি নাসারতীয় যীশু খ্রীষ্ট,
যিনি ২০০০ বছরেরও আগে এ ভূবনে এসেছিলেন আর এখনো তিনি জীবিত আছেন।
তাঁর জন্মগ্রহণে - রাজাদের ভয়ে কাপিয়ে দিয়েছিল, রাজারা ক্রধে উত্তেজিত হয়েছিল।
তাঁর ফুঁতে - শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করছিল।
তাঁর কাপড়ের একটি কোনার স্পর্শে - ১২ বছরের ব্যাধি মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়েছিল।
তাঁর থুতুতে - জন্মান্ধের চোখ খুলে দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর প্রার্থনায় - ৫টি রুটি, ৫০০০ রুটিতে পরিণত হয়েছিল।
তাঁর দৃষ্টিতে - সাধারণ একজন মাছধরা জেলে ক্ষমতাশালী প্রেরিতশিষ্যে গঠন হয়েছিল।
তাঁর উপস্থিতে - মন্দ আত্মার বাহিনিরা বিরক্ত হয়েছিল, নিদারুণ যন্ত্রণা পেয়েছিল।
তাঁর সুবুদ্ধি এবং বিচক্ষণতায় - আইন প্রণয়নকারী পণ্ডিতব্যক্তিরা হতবুদ্ধি হয় পরিছিল।
তাঁর স্পর্শে - কুষ্ঠরুগী শুচি হয়েছিল।
তাঁর মৃত্যুতে - কবরের মুখ খুলে যায়, অনেক ঈশ্বরভক্তরা মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে উঠেছিল। তাঁর ক্ষত হওয়াতে - সমস্ত অসুস্থতা সুস্থ্য হয়েছিল।
তাঁর বলি-উৎসর্গে - মন্দিরের পরদা ছিঁড়ে ভাগ ভাগ হয়ে গিয়েছিল।
তাঁর কথায় - চারদিন মৃত থাকা ব্যক্তিটি জীবন ফিরে পেয়েছিল।
তাঁর ধমকে - সঙ্গে সঙ্গে ঝড় ও বাতাস থেমে গিয়েছিল, আবহাওয়া শাস্ত হয়েছিল।
তাঁকে মৃত্যু ধরে রাখতে পারিনি। তাঁর জীবন ছিল বলে নয়, কিন্তু তিনিই জীবন।
তাঁকে অসুস্থতা ধরে রাখতে পারেনি, তিনি আরোগ্য ছিলেন বলে নয়, কিন্তু তিনিই আরোগ্যকারী।
তাঁর উপর অন্ধকার ছাপ ফেলতে পারেনি, তাঁর আলোতে থাকার জন্য নয়, কিন্তু তিনিই আলো।
তাঁকে ক্রুশ ধরে রাখতে পারেনি, কারণ তিনি ক্রুশ ধরে রেখেছিলেন।
তাঁকে পিলাত ক্রুশে দিতে পারেনি, তিনিই আমাদের সমস্ত দুর্বলতা, অসুস্থতা, পাপচার তুলে নিয়েছেন।
যীশু বৈথলেহমে জন্মগ্রহণ করেছেন, যে স্থানটি পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রস্থল।
এতে স্পষ্টই প্রতিয়মাণ হয় যে যীশ খ্রীষ্টই সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর।
তাঁর জন্ম হওয়াতে সেই রাখালদের এবং সেই পণ্ডিতব্যক্তিদের মহা আনন্দ বয়ে এনেছিল।
এতে প্রমাণ হয়, তিনিই হলেন ধনবানদের, জ্ঞানীগুনিদের, ঈশ্বর এমনকি তিনি গরীব ও মূর্খদের ঈশ্বর।
তিনি এমন কোনো প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেননি যেখানে সবকিছুই স্বর্ণের।
কিন্তু স্বর্ণকে তাঁর খোঁজে সেই যাবপাত্রের কাছে আসতে তৈরি করেছিলেন,
যেখানে এই রাজার রাজা, প্রভুর প্রভু জন্ম হয়েছিল।
রাজা যীশু কিনা শলোমন রাজার থেকেও মহান ছিলেন,
যিনি এযাবৎ পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী রাজা হতে জানা যায়।
প্রভু যীশুকে যদি নবি-ই বলতে হয় তাহলে তিনি এলিয় নবির থেকেও মহান ছিলেন,
কারণ এলিও আগুন নামিয়ে এনেছিলেন কিন্তু যীশু নিজেই ছিলেন গ্রাসকারী আগুন।
মেষপালক যীশু ছিলেন রাখাল দায়ূদের থেকেও বড়, কারণ তিনি তাঁর মেষদের জন্য শায়িত হয়েছিলেন।
তিনি সেই প্রস্তর ছিলেন যার সম্পর্কে ঈশ্বর মোশীকে বলেছিলেন যাঁর উপর তাঁর গৌরব প্রবাহিত হবে।
তিনি হলেন গিদিয়োনের সেই যজ্ঞবেদি যা বিজয়ের প্রমাণ হিসাবে দূতের সামনে স্থাপন করা হয়েছিল।
তিনি হলেন সেই মেষ যা ঈশ্বর পাহাড়ে অব্রাহামকে দিয়েছিলেন যখন ইসহাককে হোমার্থ বলিদান করা থেকে থামিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি হলেন সেই গর্দভের হনূ অর্থাৎ গাধার চোয়ালের হাড় (যা যীশুকে প্রতিনিধিত্ব করে) যা শিমশোন সমস্ত পলেষ্টীয়দের হত্যা করতে ব্যবহার করেছিলেন।
তিনি সেই প্রস্তর যা মরুভূমিতে জল এনেছিল যখন মোশী ইস্রায়েলদের সামনে আঘাত করেছিলেন।
তিনি সেই প্রবাহিত জলস্রোত নদী যা নগরকে আনন্দিত করে।
তিনিই সেই শ্বাসপ্রশাস যা শুকনো হাড়গুলোকে বিশাল সেনাবহিনী হিসাবে তৈরি করেছিল যখন যিহিষ্কেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
তিনি হলেন মহাযাজক,
তিনি প্রেমিক,
তিনি যিহূদার সিংহ,
তিনি শান্তির রাজপুত্র,
তিনি কোনের প্রধান প্রস্তর,
তিনি ঈশ্বরের মেষশাবক,
তিনি পরাক্রমশালী পরামর্শদাতা,
তিনি আলোর পিতা,
তিনি জীবন্ত জলের নদী,
তিনি মশীহ,
তিনি জীবনের খাদ্য,
তিনি জগতের আলো,
তিনি পুনরুত্থান ও জীবন,
তিনি ভষ্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ,
তিনি শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল,
তিনি অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ,
তিনি সমস্ত বিশ্বাসের সুচনাকারী,
তিনি আলফা এবং ওমেগা (আদি ও শেষ),
তিনি মানবতার একমাত্র বিচারক,
তিনি মানুষ এবং ঈশ্বরের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী,
তিনি প্রকৃতপক্ষেই ঈশ্বর এবং তিনি বর্ণনাতীত,
মানবজাতির ইতিহাসে দু’টি সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা ছিল যীশু খ্রীষ্টের জন্ম এবং তাঁর মৃত্যু।
আমেন! আমেন!! আমেন!!!
Comments