Posts

Showing posts from 2025

“মরিবার যোগ্য”

“মরিবার যোগ্য” আজ থেকে দুহাজার বছরেরও আগে মানুষ চিৎকার করে বলতে থাকল . . “মৃত্যুই এর উপযুক্ত শাস্তি” বাইবেলে লেখা আছে যে , . . যদি কোনো লোক মৃত্যুর শাস্তি পাবার মতো কোনো দোষ করে থাকে , তাকে হত্যা করে গাছে টাংগিয়ে রাখা হয়। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তার লাশ গাছে টাংগিয়ে রাখা চলবে না। সেই দিনেই তাকে কবর দিতে হবে , এটাই আদেশ। যাকে এভাবে গাছে টাংগিয়ে হত্যা করা হয় , . . সেই লোকটি ঈশ্বরের অভিশপ্ত। সম্রাট তাদের বললেন, তাহলে যাকে মসিহ্ বলে সেই যীশুকে নিয়ে আমি কি করব? তাদের চিৎকার . . “ উহাকে ক্রুশে দেও , উহাকে ক্রুশে দাও ”   সম্রাট আবাবো বললেন, “কেন, সে কি দোষ করেছে?   এতে তারা আরও বেশী চিৎকার . . ওকে ক্রুশের দেওয়া হোক। ভাববাদি যিশাইয় আগেই বলেছেন, তিনি কোনো অনিষ্ট করেননি কিংবা তাঁর মুখে কোনো ছলনার কথা ছিল না, তবুও দুষ্টদের সংগে তাকে কবর দেওযা হলো। প্রেরিতশিষ্য পিতর বলেছেন, কোনো পাপ যীশু করেননি, তাঁর মুখে কোনো ছলনার কথা ছিল না, লোকেরা তাঁকে যখন অপমান করেছে তখন তিনি তাদের ফিরে অপমান করেননি, কষ্টভোগের সময় প্রতিশোধ নেবার ...

পোপ সম্পর্কে কাথলিক শিক্ষায় যা বলে।

Image
লেটিন ভাষা থেকে “papa” শব্দটি এসেছে, যার অর্থ father.  আবার জানা যায় যে পোপ শব্দটি গ্রিক ভাষা “পাপাস” (Papas) থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ ”পিতা”।  আরেক অর্থে “pontiff” এর অর্থ সেতু প্রস্তুতকারক, এই জীবন এবং পরবর্তী জীবনের মধ্যে সংযোগকারী।  এরপর তার উপাধি হলো “vicar of Christ” অর্থাৎ খ্রীষ্টের প্রতিনিধি, নামত এবং সমগ্র মণ্ডলীর একজন পালক হিসাবে সার্বজনীন মণ্ডলীর উপর তার অধিকার ও ক্ষমতা আছে, এই একজনই যার ক্ষমতা আছে।  তিনি মণ্ডলীর প্রধান, প্রৈরিতিক রাজা, চাবিরক্ষক, বিশপদের প্রধান, পালকদের প্রধান, সত্যের সার্বজনীন শাসক, অভ্রান্ত শাসক, সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানদের পিতা, সার্বজনীন মণ্ডলীর গুরু, রাজা রাজাদের পিতা, সমগ্র জগতের শাসক,  ঈশ্বরের পুত্রের স্থলবর্তী, প্রৈরিতিকদের রাজার উত্তরসূরী, ভাটিকান নগরের সার্বভৌম ক্ষমতাধর, ইটালির আর্চবিশপ, পোপ যিনি খ্রীষ্টের প্রতিনিধি তিনি সাধু পিতরের উত্তরাধিকারী এবং মণ্ডলীর দৃশ্যত প্রধান।  তিনি খ্রীষ্টের স্থান গ্রহণ করেছেন। পোপেরা বলেন তাদের শিক্ষা, মতবাদ, মতধারা, প্রথা যাকিনা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা আছে যা জনগণকে পালনে রাজি হতে হয়।  যখন প...

ঈশ্বর কি মারা গেছেন?

  “ঈশ্বর কি মারা গেছেন? যীশুই ঈশ্বর আর তিনি মারা গেলেন, তার মানে কি আপনাদের ঈশ্বর মারা গেছেন?” যীশু ক্রুশে মারা গেলে তো ঈশ্বর মারা গেলেন?” এমন প্রশ্নের সম্মুখীন কি আপনি কখনো হয়েছেন? কীভাবে এমন প্রশ্নের উত্তর আপনি দিলেন? উত্তরটি নির্ভর করে আমরা কীভাবে মরা অর্থাৎ মৃত্যু শব্দের অর্থ বুঝতে পারি তার উপর। মরে যাওয়া মানেই আমাদের অস্তিত্ব চলে যাওয়া নয়। মৃত্যু হলো বিচ্ছেদ। দৈহিকভাবে মৃত্যু হলো প্রাণ-আত্মা দৈহিক দেহ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া। তাই, সে অর্থে হ্যাঁ, ঈশ্বর মারা গিয়েছিলেন, কারণ যীশু মানবরূপে ঈশ্বর ছিলেন এবং যীশুর প্রাণ-আত্মা তাঁর দেহ থেকে পৃথক হয়েছিলেন। “সিরকা গ্রহণ করিবার পর যীশু কহিলেন, ‘সমাপ্ত হইল’ পরে মস্তক নত করিয়া আত্মা সমর্পণ করিলেন।” যোহন ১৯:৩০ পদ)। যাহোক, যদি “মৃত্যু” দ্বারা আমরা “অস্তিত্বের অবসান” অর্থাৎ অস্তিত্বের শেষ বুঝাই, তাহলে, না, ঈশ্বর মারা যাননি। সে অর্থে ঈশ্বরের “মৃত্যু” হওয়ার অর্থ হলো তিনি অস্তিত্ব নিবৃত্ত করেছেন, এবং পিতা বা পুত্র বা পবিত্র আত্মা কেউই অস্তিত্বহীন হবেন না। পুত্র, ত্রিত্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি, দেহ ত্যাগ করেছিলেন তিনি অস্থায়ীভাবে পৃথিবীতে বাস করেছিলেন, ক...