“মরিবার যোগ্য”

“মরিবার যোগ্য”

আজ থেকে দুহাজার বছরেরও আগে মানুষ চিৎকার করে বলতে থাকল . .
“মৃত্যুই এর উপযুক্ত শাস্তি”

বাইবেলে
লেখা আছে যে, . .
যদি কোনো লোক মৃত্যুর শাস্তি পাবার মতো কোনো দোষ করে থাকে,
তাকে হত্যা করে গাছে টাংগিয়ে রাখা হয়।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তার লাশ গাছে টাংগিয়ে রাখা চলবে না।
সেই দিনেই তাকে কবর দিতে হবে, এটাই আদেশ।
যাকে এভাবে গাছে টাংগিয়ে হত্যা করা হয়, . .
সেই লোকটি ঈশ্বরের অভিশপ্ত।

সম্রাট তাদের বললেন, তাহলে যাকে মসিহ্ বলে সেই যীশুকে নিয়ে আমি কি করব?

তাদের চিৎকার . .
উহাকে ক্রুশে দেও, উহাকে ক্রুশে দাও

 সম্রাট আবাবো বললেন,
“কেন, সে কি দোষ করেছে?

 এতে তারা আরও বেশী চিৎকার . .
ওকে ক্রুশের দেওয়া হোক।

ভাববাদি যিশাইয় আগেই বলেছেন,
তিনি কোনো অনিষ্ট করেননি কিংবা তাঁর মুখে কোনো ছলনার কথা ছিল না,
তবুও দুষ্টদের সংগে তাকে কবর দেওযা হলো।

প্রেরিতশিষ্য পিতর বলেছেন,
কোনো পাপ যীশু করেননি, তাঁর মুখে কোনো ছলনার কথা ছিল না,
লোকেরা তাঁকে যখন অপমান করেছে তখন তিনি তাদের ফিরে অপমান করেননি,

কষ্টভোগের সময় প্রতিশোধ নেবার ভয়ও দেখানি, বরং
যিনি ন্যায়বিচার করেন সেই ঈশ্বরের উপর তিনি সব বিচারের ভার দিয়েছিলেন।

তাহলে কী দোষ যীশু করেছিলেন যে তাঁকে তারা বারবার পাথর তুলে মারতে চেয়েছিল?

তাদের বিচারে যীশু বড়ই পাপ করেছিলেন,
মানুষের দৃষ্টিতে তিনি ঈশ্বরের অভিশপ্ত ছিলেন,
মৃত্যুদণ্ড অপরাধীর মতো ক্রুশে টাংগিয়ে মারার মতো পাপ তিনি করেছিলেন।

কী তাঁর দোষ? কী তাঁর পাপ?
কী কারণে তাঁকে মারতে চেয়েছিল?
কী কারণে তিনি ঈশ্বরের অভিশপ্ত ছিল?

প্রথম কারণ . . তিনি নিজেকে বিশ্রামবারের কর্তা বলায়। (মথি ১২:; লূক :)
প্রথম কারণ . . তিনি পাপের ক্ষমা করেন বলে। (মথি :; মার্ক :-১২)
প্রথম কারণ . . তিনি ঈশ্বরের সমান হওয়া দাবি করার। (যোহন :১৮)

যীশু সমজগৃহে পবিত্র শাস্ত্র খুলে তাঁর নিজের সম্পর্কে সেই ভাববাণী পাঠ করলেন

“ঈশ্বর আমাকে নিযুক্ত করেছেন, যেন আমি দীনদুঃখীদের কাছে সুসমাচার প্রচার করি, তিনি আমাকে বন্দীদের কাছে স্বাধীনতার কথা, অন্ধদের কাছে দেখতে পাবার কথা ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন। যাদের উপর জুলুম হচ্ছে, তিনি আমাকে তাদের মুক্ত করতে পাছিয়েছেন। এছাড়া তিনি আমাকে ঘোষণা করতে পাঠিয়েছেন যে, এখান তাঁর অনুগ্রহ দানের বৎসর ঘোষণা করা হবে।

তিনি পাঠ শেষ করে সবাইকে বললেন, “শাস্ত্রের এই কথা আজ পূর্ণ হলো।

উপস্থিত অনেকেই তাঁকে বিশ্বাস করলেও, অনেকেই অনেকেই যীশু কথা শুনের রাগে জ্বলতে লাগল। তারা লাফিয়ে উঠে, দল বেঁধে তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে পাহাড়ের কিনারায় নিয়ে গেল যেন তাঁকে নিচে ফেলে দিতে পারে।

মূল এসব কারণে তখনকার মানুষেরা যীশু খ্রীষ্টের উপর অসস্তষ্ট ছিল।
তারা পাথর তুলে যীশুকে বারবার মরতে চেয়েছিল।
ধর্মগুরুরা, পুরহিতরা যীশু উপর চরমভাবে অসন্তষ্ট ছিল।

কেউ তাকে তাদের চোখের সামনে আর জীবিত থাকতে চায়নি।
তিনি তখনকার ধর্মকর্মের বিরুদ্ধে, কুসংস্কারের বিরুধে কথা বলেছেন।
নেতাদের যীশুর প্রতি ক্ষোপ ছিল।

যীশু, মন্দির এলাকায় ব্যবসায়ীদের গুরু, ভেড়া, পায়রা বিক্রি করা পোদ্দারদের টেবিল আর টাকাপয়সা সব টেবিল উল্টাইয়ে দিলেন।

যীশুর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,
তোমরা পিতার গৃহকে হাট-বাজার কর না।

নেতারা উল্ট অভিযোগ,
“এদের বার করে দেবার অধিকার কি তোমার আছে? কী অধিকারে তুমি এসব করছ?

যীশুর শিক্ষা, প্রচার ও আশ্চর্য কাজে অনেকেই তার দিকে ভীর করেছে, তাঁকে বিশ্বাস করেছে, এতে তখন ধর্মগুরুদের থেকে যীশুকে অনেকে বিশ্বাস করছে।

জুলুম ও অন্যায় বিচার করে যীশুকে হত্যা করা হয়েছিল।

আজ অনেকে কাছে যীশু মৃত।
অনেকের হৃদয় মন্দির জগতের অসরাতায় পূর্ণ, যীশুর স্থান নেই।
পাপের ক্ষমার কোনো ব্যবস্থা নেই।
যীশু-ঈশ্বরের কোনো স্থান নেই।

আগামী রবিবার নিউ-ইয়র্ক স্থানী একটি মণ্ডলীতে আমার প্রচারের সংক্ষিপ্ত বিষয়।

 

 

 

 

 

 

 

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?