আপনি বিশেষ একজন
এই পৃথিবীতে আপনি বিশেষ একজন, আপনার মতো আর কেউ নন্।
শুরু থেকে আপনার মতো আর কেউ হতে পারেনি। আপনার হাসি, চোখ, নাক, চুল, হাত, আপনার কণ্ঠের মতো আর কেউ নন্ . . . আপনি অপূর্ব!
আপনার হাতের এমন লেখা কারোর হয় না, আপনার খাবারের রুচি, সংগীত, চিত্র, ভ্রমণ উপভোগ করার তুলনা কারোর হয় না। আপনি যেভাবে দেখেন অন্যেরা সেভাবে দেখেন না।
এমন কেউ নেই যে আপনার মতো হাসেন, আপনার মতো কাঁদেন; আর আপনার হাসি ও কাঁন্নায় যা সৃষ্টি হয় তা অন্য কারোর অট্টহাস্যে ও শোকদুঃখে কখনো কোনো সময়ই তেমন আকৃষ্ট করে না।
আপনি যেভাবে অনুপ্রাণিত হন্ ও প্রেরণায় সাড়া দেন, কেউ সেভাবে সাড়া দেন না। আপনি অসাধারণ!
সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে আপনিই একমাত্র যার যোগ্য, দক্ষ ও সমর্থে আপনি নিজেই। হ্যাঁ, আপনার ভালোর মধ্যে কেউ থাকবেন যিনি একটি বিষয়ে গুণধর, বিশ্বে এমন কেউ নেই আপনার মতো দক্ষতায়, ধারণায়, কল্পনায়, সাধ্যতায় ও অনুভূতিতে মেলানো যায়। অনেক বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে একটি বাজালে সুর উচ্চে উঠে, কিন্তু একসঙ্গে বাজালে বাঁশির সুরের তুলনা হয় না। আপনিই একমাত্র!
অনন্ত অনাদিকাল ধরে আপনার মতো কেউ দৃষ্টি দেন না, কথা বলেন না, হাঁটেন না, আপনার মতো কেউ চিন্তাও করেন না। আপনি অন্যতম! আপনি ভিন্ন, অন্যরকম।
আর সমস্ত অসাধারণত্বের দরুণ তা হয় মহামূল্য, হয় তা মস্ত যোগ্যতা। আপনার এই অসাধারণ মূল্য বা যোগ্যতার দরুণ অন্যদের অনুকরণ করার প্রয়োজন হয় না। আপনি নিজেই নিজেকে স্বীকার করেন, আপনার অপর অনন্য বৈশিষ্ট্যকে শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন।
অপূর্ব আপনি, আপনি অসাধারণ, আপনিই একমাত্র, আপনি অন্যতম আর আপনার শুরু সত্য সত্যই বুঝতে পারা যায় যে আপনার এই বিশেষত্ব ও বৈশিষ্ট্য কোনো ঘটনা-দুর্ঘটনায় নয়। আপনি শুরুতে দেখতে পান যে ঈশ্বর আপনাকে বিশেষ কারণে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। আপনার জন্য অবশ্যই একটি কর্ম রয়েছে যা অন্য কেউই সেরকম ভাবে করতে পারেন না। হাজারো প্রার্থীদের মধ্যে শুধু একজনই থাকেন যিনি একেবারেই আলাদা।
আপনিই সেইজন কারণ . . . আপনি বিশেষ একজন!
ঈশ্বর তিনি তাঁর মতো করেই আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। (আদিপুস্তক ১:২৭)
“তুমিই আমার অন্তর সৃষ্টি করেছ; মায়ের গর্ভে তুমিই আমার দেহের অংশগুলো একসংগে বুনেছ। আমি তোমার প্রশংসা করি, কারণ আমি ভীষণ আশ্চর্যভাবে গড়া; আশ্চর্য তোমার সব কাজ, আমি তা ভাল করেই জানি” গীত ১৩৯:১৩,১৪ পদ।
“হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক। গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়” গীত ১৩৯:১৭-১৮ পদ।
Comments