ঈশ্বর ভগ্নচূর্ণদের মূল্য দেন। God Values Broken Things. Psalms 34:18; 51:17
সাধারণত কোনো কিছু ভেঙ্গে গেলে তার কোনো মূল্য থাকে না।
এসব ভাঙ্গা জিনিষের সবসুদ্ধ ফেলে দিতে হয়।
অনেক জিনিষ রয়েছে যেমন প্লেট, বাটি, গ্লাস, বোতল, আয়না, এ ছাড়াও সখের অনেক কিছুই থাকে যা অনেকে সময় কোনো কিছুতে ঘষা লেগে, আঘাত লেগে দাগ লেগে যায়, নষ্ট হয়ে যায়, ভেঙ্গেও যায়।
এমনকি ফার্নিচারও ভেঙ্গে যায়, কাপড় ছিড়ে যায় আর এসব বিক্রী করতে গেলেও মূল্য পাওয়া যায় না।
কিন্তু আত্মিক ক্ষেত্রে সেভাবে নয়।
ঈশ্বর ভগ্ন জিনিষের নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য দেন - বিশেষভাবে ভগ্নচূর্ণ মানুষের।
ঈশ্বর ভগ্ন জিনিষের নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য দেন - বিশেষভাবে ভগ্নচূর্ণ মানুষের।
“সদাপ্রভু ভগ্নচিত্তদের নিকটবর্তী, তিনি চূর্ণমনাদের পরিত্রাণ করেন” গীতসংহিতা ৩৪:১৮ পদ
“ঈশ্বরের গ্রাহ্যবলি ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর, তুমি ভগ্ন ও চূর্ণ অন্তঃকরণ তুচ্ছ করিবে না” গীতসংহিতা ৫১:১৭ পদ।
ঈশ্বর জানেন যে কীভাবে গর্বিত, আত্ম-অহংকারী, দাম্ভিক এবং দেমাকিদের বাধা দিতে হয়, প্রতিরোধ করতে হয়, কীভাবে তাদের আটকাতে হয় তা তিনি জানেন।
কিন্তু যিনি বিনয়ী, নম্র, নিরহংকারী, যিনি তার কৃতকর্মের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত, পাপবোধে পীড়িত ঈশ্বর তাকে প্রতিরোধ করেন না, বাধা দেন না।
কিন্তু যিনি বিনয়ী, নম্র, নিরহংকারী, যিনি তার কৃতকর্মের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত, পাপবোধে পীড়িত ঈশ্বর তাকে প্রতিরোধ করেন না, বাধা দেন না।
“ঈশ্বর অহংকারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন” (যাকোব ৪:৬ পদ)।
আমাদের অনেক কিছুতে ভগ্ন, জীর্ণ, অকেজো দুর্বলতা রয়েছে যা ঈশ্বরের করুণা, সমেবেদনা এবং তাঁর ক্ষমতাতে পুনর্বিচারের জন্য প্রার্থনা করতে হয়।
আর তাই আমাদের জীবনের জন্য ঈশ্বরের চমৎকার ও ভালো উদ্দেশ্যে আমাদের ভগ্ন হতে হয় - ভগ্নচূর্ণ অন্তঃকরণে, ভগ্ন আত্মায় এমনকি দেহের ভগ্নেও।
পাঠ করে দেখুন : ২করিন্থীয় ৪:৬-১৮ পদ
তাই বলি, আপনি . .
ঈশ্বরকে কী দেবেন?
ঈশ্বরকে কী দেবার আছে আপনার?
ঈশ্বরের কী নাই, যে আপনি তাঁকে দেবেন?
সবই তো তাঁর!!!
ঈশ্বরকে কী দেবার আছে আপনার?
ঈশ্বরের কী নাই, যে আপনি তাঁকে দেবেন?
সবই তো তাঁর!!!
স্বর্ণ বলেন, রৌপ বলেন, সমস্ত ধনসম্পত্তি তো ঈশ্বরের।
. . “রৌপ্য আমারই, স্বর্ণও আমারই, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন” হগয় ২:৮ পদ “
. . “রৌপ্য আমারই, স্বর্ণও আমারই, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন” হগয় ২:৮ পদ “
পৃথিবীর সমস্ত কিছু, এমনকি জগতে যারা বাস করেন সবই তো ঈশ্বরের নিজের -
. . “পৃথিবী ও তাহার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুরই; জগৎ ও তন্নিবাসিগণ তাঁহার” গীতসংহিতা ২৪:১ পদ
. . “পৃথিবী ও তাহার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুরই; জগৎ ও তন্নিবাসিগণ তাঁহার” গীতসংহিতা ২৪:১ পদ
সমস্ত পশু পাখী তো ঈশ্বরের।
. . আমিই ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর। . . কেননা বনের সমস্ত জন্তু আমার, সহস্র সহস্র পর্বতীয় পশু আমার। আমি পর্বতগণের সমস্ত পক্ষীকে জানি, মাঠের প্রাণী সকল আমার সম্মুখবর্তী” হিতা ৫০:৭,১০-১২ পদ।
. . আমিই ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর। . . কেননা বনের সমস্ত জন্তু আমার, সহস্র সহস্র পর্বতীয় পশু আমার। আমি পর্বতগণের সমস্ত পক্ষীকে জানি, মাঠের প্রাণী সকল আমার সম্মুখবর্তী” হিতা ৫০:৭,১০-১২ পদ।
আপনার ধন, মেধা, কর্ম ও ক্ষমতার কোনো কিছুতেই আপনার নিজেস্ব বলে গর্ব করার কিছুই নেই যে আপনি এসব ঈশ্বরকে দেবেন বলে আপনি মনে করেন যে এসব তার নাই।
কীসে আপনার এতো গর্ব এতো বড়াই এতো দেমাক, এতো অহংকার কীসে?
তবে হ্যা আপনার এমন কিছু রয়েছে যা ঈশ্বরের নাই।
আর সেটাই সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বর চাইছেন আপনার কাছ থেকে।
আপনার ভগ্নচূর্ণ অন্তরই ঈশ্বরের জন্য একমাত্র গ্রহণযোগ্য উৎসর্গ।
ঈশ্বর নত এবং নম্র মনকে তুচ্ছ করেন না।
দায়ূদের মেধা/ধন, ক্ষমতা থাকা সত্বেও তিনি ঈশ্বরকে দিতে তার একমাত্র ভগ্নচূর্ণ অন্তরকেই যোগ্য বলে বিবেচনা করেছিলেন।
“ঈশ্বরের গ্রাহ্যবলি ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর, তুমি ভগ্ন চূর্ণ অন্তঃকরণ তুচ্ছ করিবে না।” গীতসংহিতা ৫১:১৭ পদ)।
আপনার ভগ্নচূর্ণ অন্তঃকরণ কারোর কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও ঈশ্বরের কাছে তা গ্রহণযোগ্য।
কীসে আপনার এতো গর্ব এতো বড়াই এতো দেমাক, এতো অহংকার কীসে?
তবে হ্যা আপনার এমন কিছু রয়েছে যা ঈশ্বরের নাই।
আর সেটাই সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বর চাইছেন আপনার কাছ থেকে।
আপনার ভগ্নচূর্ণ অন্তরই ঈশ্বরের জন্য একমাত্র গ্রহণযোগ্য উৎসর্গ।
ঈশ্বর নত এবং নম্র মনকে তুচ্ছ করেন না।
দায়ূদের মেধা/ধন, ক্ষমতা থাকা সত্বেও তিনি ঈশ্বরকে দিতে তার একমাত্র ভগ্নচূর্ণ অন্তরকেই যোগ্য বলে বিবেচনা করেছিলেন।
“ঈশ্বরের গ্রাহ্যবলি ভগ্ন আত্মা; হে ঈশ্বর, তুমি ভগ্ন চূর্ণ অন্তঃকরণ তুচ্ছ করিবে না।” গীতসংহিতা ৫১:১৭ পদ)।
আপনার ভগ্নচূর্ণ অন্তঃকরণ কারোর কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও ঈশ্বরের কাছে তা গ্রহণযোগ্য।
“কেননা যদি আগ্রহ থাকে, তবে যাহার যাহা আছে, তদনুসারে তাহা গ্রাহ্য হয়; যাহার যাহা নাই, তদনুসারে নয়” ২ করিন্থীয় ৮:১২ পদ।
যদি কারোর দেবার ইচ্ছা থাকে তবে তার যা আছে সেই হিসাবেই তার দান ঈশ্বর গ্রহণ করেন, তার যা নয় সেই হিসাবে নয়।
ভগ্নঅন্তর ছাড়া - আপনার আর কিছু নেই তাঁকে দেবার।
ভগ্নহৃদয় হলো - আপনার একমাত্র দেবার যোগ্যতা।
ভগ্নচূর্ণ অন্তকরনই - ঈশ্বর গ্রহণ করেন।
ভগ্নহৃদয় হলো - আপনার একমাত্র দেবার যোগ্যতা।
ভগ্নচূর্ণ অন্তকরনই - ঈশ্বর গ্রহণ করেন।
পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্তদের - ঈশ্বর গ্রহণ করেন।
এসব ঈশ্বরের নেই কিন্তু আপনার আছে যা তিনি সাদরে গ্রহণ করতে অপেক্ষায় আছেন।
এসব ঈশ্বরের নেই কিন্তু আপনার আছে যা তিনি সাদরে গ্রহণ করতে অপেক্ষায় আছেন।
“আমি কি লইয়া সদাপ্রভুর সম্মুখে উপস্থিত হইব, ঊর্ধ্বস্থ ঈশ্বরের সম্মুখে প্রণত হইব? আমি কি হোমবলি লইয়া, একবর্ষীয় গোবৎসদিগকে লইয়া তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইব? সহস্র সহস্র মেষে ও অযুত অযুত তৈলপ্রবাহে কি সদাপ্রভু প্রসন্ন হইবেন? আমি আপন অধর্মের নিমিত্ত কি আপনার প্রথমজাত পুত্রকে দিব? আমার প্রাণের পাপ প্রযুক্ত কি শরীরের ফল দান করিব? হে মনুষ্য, যাহা ভালো, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ার অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?” মীখা ৬:৬-৮ পদ।
ঈশ্বর আপনার ভগ্নচূর্ণ হৃদয় তিনি অগ্রাহ্য করেন না।
কারণ তিনি সেটার পুরোটাই চান আপনার কাছ থেকে।
আর সেটাই তাঁকে দেবার জন্য আপনার উপযুক্ত দান।
আমেন ! আমেন!! আমেন!!!
কারণ তিনি সেটার পুরোটাই চান আপনার কাছ থেকে।
আর সেটাই তাঁকে দেবার জন্য আপনার উপযুক্ত দান।
আমেন ! আমেন!! আমেন!!!
Comments