খ্রীষ্ট কি আপনার প্রভু? Is Christ Your Lord?


অনুবাদ এবং মূল লেখক : বিশিষ্ট প্রচারক A. W. Pink

খ্রীষ্ট আপনার ‘মুক্তিদাতা’ কি না প্রশ্ন সেটা নয়, কিন্তু প্রশ্ন হলো তিনি কি সত্য সত্যই আপনার প্রভু?


তিনি যদি আপনার প্রভু না হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চিত বলা যায় যে তিনি আপনার মুক্তিদাতা নন্। যারা যীশু খ্রীষ্টকে তাদের প্রভুরূপে গ্রহণ করতে পারেনি কিন্তু তাঁকে এখনো তাদের শুধু মুক্তিদাতারূপে মনে করছেন, তারা ভুল পথে চলছেন এবং তারা বিভ্রান্ত। তারা চোখ বন্ধ করে কাদাবালির উপর পুতে থাকা খুটির উপর ভর করে আছেন। আজ অনেকেই জীবনের সঠিক লক্ষ্যে প্রতারিত হচ্ছেন, বিভ্রান্ত হচ্ছেন আর সেজন্য তারা যদি তাদের হারানো জীবনের অর্থাৎ পাপে থাকায় ঈশ্বরবিহীন জীবনের উপযুক্ত মূল্য খতিয়ে না দেখেন তাহলে অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে এই লেখাটি পাঠ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

‘খ্রীষ্ট কি আপনার প্রভু?’ প্রশ্নটি যখন আপনাকে করা হচ্ছে, তখন জানতে চাচ্ছি না যে, “আপনি নাসরতীয় যীশুর ঈশ্বরত্বে বিশ্বাস করেন কি না?” কারণ মন্দ আত্মা পাওয়া লোকেরাও এরকম বিশ্বাস করেন (মথি ৮:২৮-২৯ পদ), আর এই বিশ্বাস সত্বেও তারা ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছেন। খ্রীষ্টের ঈশ্বরত্বে আপনি জোড়ালোভাবে প্রমাণ দেখাতে পারেন, যুক্তি দেখাতে পারেন, তবুও আপনি কিনা আপনার পাপেই রয়েছেন। আপনি পরম শ্রদ্ধায় তাঁর বিষয়ে বলতে পারেন, আপনি আপনার প্রার্থনায় তাঁকে তাঁর স্বর্গীয় খেতাবে ভূষিত করতে পারেন, তবুও কিনা আপনি পরিত্রাণবিহীন অবস্থায় থাকতে পারেন। যারা ঈশ্বরের ব্যক্তিত্বকে অবজ্ঞা করছেন, অগ্রাহ্যে ঘৃণায় তাঁর ঐশ্বরত্বকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন সেজন্যে আপনিও তাদের ঘৃণা করতে পারেন, তবুও কিনা ঈশ্বরের জন্য আপনার আত্মিক প্রেম নাই।

‘খ্রীষ্ট কি আপনার প্রভু?’ প্রশ্নটি যখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আমরা এই বুঝাতে চাই, তিনি কি আপনার হৃদয় সিংহাসন দখল করে আছেন, তিনি কি সত্যিকারে আপনার জীবনকে কর্তৃত্ব করছেন?

“আমরা প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি” (যিশাইয় ৫৩:৬ পদ) যা আসল স্বভাব অনুযায়ী চলার কথা বলে দেয়। পরিবর্তন হবার আগে প্রত্যেকে নিজের সুখ ও সন্তুষ্টির জন্য নিজে নিজের ইচ্ছামত কাজে, সেই আচরণে জীবনযাপন করে, এরকম কথা আগেই লেখা আছে “প্রতিটি মানুষ তাহার নিজের দৃষ্টিতে যাহা ভাল বোধ হইত তাহাই করিত” কী কারণে? কারণ “তৎকালে ইস্রায়েলের মধ্যে রাজা ছিল না” বিচারকর্তৃগণ ২১:২৫ পদ। আমাদের ইচ্ছা এই নির্দিষ্ট বিষয়টি পাঠকদের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া। যতক্ষণ না খ্রীষ্ট আপনার রাজা হন, “যিনি যুগপর্য্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্যে একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই সমাদর ও মহিমা হউক। আমেন” (১তীমথিয় ১:১৭ পদ); “মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর সর্ব্বশক্তিমান; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন!” প্রকাশিত বাক্য ১৫:৩ পদ), যতক্ষণ না আপনি তাঁর রাজদণ্ডের প্রতি প্রণত হন, যতক্ষণ না তাঁর ইচ্ছায় আপনার জীবনের ক্ষেত্রে তিনি যদি আপনার কর্তৃত্বকারী না হন - আপনি আত্ম-কর্তৃত্বে, নিজ শাসন, নিজ পরিচালনায়, নিজের আধিপত্য ও ক্ষমতা বিস্তার করে নিজেকে জাহির করছেন, আর এভাবেই আপনাকে খ্রীষ্টকে মেনে নিতে অস্বীকার করা হচ্ছে।

পবিত্র আত্মা যখন কারোর জীবনে তাঁর অনুগ্রহের কাজ শুরু করেন, তিনি প্রথমে পাপের বিষয়ে নিজেকে অপরাধী বলে স্বীকার করেন। পবিত্র আত্মা আমাকে পাপের আসল ও ভয়ঙ্কর স্বভাব প্রকাশ করেন, পাপের ধরন দেখান। তিনি আমাকে উপলব্দি করান বা আমাকে বুঝতে দেন যে এটা একটা বিদ্রোহচারণ অবস্থা, ঈশ্বরের ক্ষমতার অস্বীকার করা, তাঁর বিপরীতে আমার ইচ্ছাকেই স্থান দেওয়া। তিনি আমাকে প্রকাশ করেন যে এটা আমার “নিজের পথে” চলতে থাকা হয় “আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি, প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (যিশাইয় ৫৩:৬ পদ), আমার নিজের ইচ্ছামত কাজে বা নিজের আচরণে থাকতে আমাকে আনন্দ দেয়, আমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। তিনি আমার চোখ দু’টো খুলে দিয়ে আমাকে দেখান যে সারা জীবন আমি কী এবং কীভাবে তাঁর বিরোধীতা করেছি, ঈশ্বরের সম্মানে কতো অযত্ন করেছি, তাঁর ইচ্ছার বিষয়ে কেমন ও কতো না সম্পর্কবিহীন অবস্থায় আছি, আমাকে নিদারুণ মানসিক বা শারীরিক যন্ত্রণা ও আতঙ্কপূর্ণ করে আর আমাকে বিস্মিত করায় যে সেই পবিত্র পবিত্র পবিত্র জন এখনো আমাকে নরকে নিক্ষেপ করেনি। পাঠক, আপনি কি এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে কখন গিয়েছেন? যদি না হয়? তাহলে ভয়ের অত্যন্ত গুরুতর কারণ হলো আপনি এখনও আধ্যাত্মিকতায় মৃত

রূপান্তরিত হওয়া সত্যিকারে পরিবর্তীত হওয়া, মুক্তির কারণে অন্য দিকে, ভিন্ন অবস্থা ধারণ করা হলো খ্রীষ্টেতে পাপ থেকে ঈশ্বরে প্রতি ফেরা। এই হলো ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিরোধিতার সমস্ত অস্ত্র ফেলে দেওয়া, তাঁর প্রতি কোনো ঘৃণা করা, অবজ্ঞা করা আর তাঁর কর্তৃত্বকে অবজ্ঞা করা থেকে ক্ষান্ত দেওয়া। রূপান্তরিত হওয়া, অসৎ পথ থেকে ঈশ্বরের পথে আসা এই রকম বর্ণনা নতুন নিয়ম দেয় : “প্রতিমাগণ হইতে ঈশ্বরের দিকে ফিরিয়া আসিয়াছ, যেন জীবন্ত সত্য ঈশ্বরের সেবা করিতে পার” (১থিষলনীকীয় ১:৯ পদ) - আমাদের স্নেহ, প্রেম ও ভালোবাসায়, আমাদের হৃদয় অন্তর ও মন গঠন করার ক্ষমতায় আমাদের জীবনের কর্তৃত্বের ক্ষমতায় সর্বোৎকৃষ্টতায় থাকা। রূপান্তরিত, পরিবর্তন হওয়া হলো সঠিক মুখোমুখির লক্ষ্যে পুরোপুরি সেই দিকে ঘুরে দাড়ান, হৃদয় ও অন্তরের ইচ্ছায় পাপ, আত্ম (নিজের ইচ্ছায় থাকা) আর জাগতীকতা পরিত্যাগ করা। আসল, খাঁটি আর আন্তরিক রূপান্তরিত হওয়া সব সময়ই স্পষ্ট সাক্ষ্য দ্বারা হয় “প্রভু তোমার জন্য আমাকে কি করিতে হইবে” (প্রেরিত ৯:৬ পদ কেজেভি)। এটি প্রভুর পবিত্র ইচ্ছার প্রতি আমাদের নিজেদের একটা খোলাখুলি অর্থাৎ অকপট সমর্পন। আপনি কি আপনার নিজের নিজেকে তাঁর প্রতি বশ্যতাস্বীকার করেছেন? “আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ^রের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ^রের কাছে সমর্পণ কর” (রোমীয় ৬:১৩ পদ)

অনেকে আছেন যারা নরক থেকে মুক্তি চান, কিন্তু তাদের অনেকে তাদের একগুঁয়েমি থেকে, তাদের নিজের পথে থাকা থেকে, জাগতীক ভোগবিলাসী জীবনযাত্রা থেকে মুক্ত হতে চান না। কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা নয় তাদের নিজেদের শর্তে থাকা অবস্থায় তাদের রক্ষা করা। মুক্তি পেতে হলে, অবশ্যই তাঁর (ঈশ্বরের) শর্তাবলীতে সমর্পীত হতে হবে।
           
তাঁর বিধেয় শর্তাবলী শুনুন : “দুষ্ট আপন পথ, অধার্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক; এবং যে সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিয়া আইসুক, তাহাতে তিনি তাহার প্রতি করুণা করিবেন; আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসুক, কেননা তিনি প্রচুররূপে ক্ষমা করিবেন” (যিশাইয় ৫৫:৭ পদ)। খ্রীষ্ট বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেহ আপনার সর্বস্ব ত্যাগ না করে (যেসব আমার বাধা), সে আমার শিষ্য হইতে পারে না” (লূক ১৪:৩৩ পদ)। মানুষের অবশ্যই ফিরতে হবে “অন্ধকার হইতে জ্যোতির প্রতি, আর শয়তানের কর্তৃত্ব হইতে ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসে” যেন তাদের আগে “পাপের মোচন ও পবিত্রকৃত লোকদের মধ্যে অধিকার প্রাপ্ত হয়।” (প্রেরিত ২৬:১৮ পদ)

“অতএব খ্রীষ্ট যীশুকে, প্রভুকে, যেমন গ্রহণ করিয়াছ, তেমনি তাঁহাতেই চল; (কলসীয় ২:৬ পদ)। বাইবেলের এ কথা খ্রীষ্টিয়ানদের প্রতি পরামর্শ, যীশু খ্রীষ্টের শক্তিতে চলতে যেভাবে তাঁকে গ্রহণ করতে শুরু করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে তারা শুরু করেছিল? তারা খ্রীষ্টের প্রতি সমর্পিত হয়ে, নিজেদেরকে যীশু খ্রীষ্টের ইচ্ছায় আনুগত্যস্বীকারের মাধ্যমে, তাদের নিজেদের ইচ্ছামত কাজ করা বা সেই আচরনে বিরত থাকার মাধ্যমে “যীশু খ্রীষ্টকে সেই প্রভু”-রূপে গ্রহণ করে। যীশু খ্রীষ্টের কর্তৃত্ব এখন তার নিজ অধিকারে থাকে। তাঁর আদেশ এখন তাদের জীবন চালানোর ক্ষমতা হয়ে থাকে। তাঁর প্রেম তাদের এখন আনন্দে উৎফুল্লে সম্পূর্ণভাবে তাঁর আদেশ পালনে বাধ্য থাকার ইচ্ছা জাগায়। তারা “ঈশ্বরের ইচ্ছাক্রমে আপনাদিগকেই প্রথমে প্রভুর এবং আমাদের উদ্দেশ্যে প্রদান করিল” (২করিন্থীয় ৮:৫ পদ)। আমার প্রিয় পাঠক, আপনার এভাবে হয়েছে কি? করেছেন কি এভাবে? আপনার জীবনে কি এসব প্রমাণ করে? আপনি কি এসবে এর সংস্পর্শে এসে আর কখনও আপনার নিজের সন্তুষ্টির জন্য নিজের ইচ্ছামত কাজে বা আচরণে জীবনযাপন করছেন না তা দেখাতে পারেন? (২করিন্থীয় ৫:১৫ পদ)।

প্রিয় পাঠক, এই আসল বিষয়ের ক্ষেত্রে কোনো ভুল নেই : রূপান্তর/পরিবর্তন হওয়াই হলো মূল বিষয় যা সেই পবিত্র আত্মা উৎপন্ন করে যা সঠিক। এটা সেই জীবনের ক্ষেত্রে খ্রীষ্টের রাজাসন অধিষ্ঠিত করা। আর এ ধরণের রূপান্তর বা পরিবর্তন প্রকৃতপক্ষে খুবই কম। বহু লোকদের শোচনীয় করে তুলতে তাদের প্রচুর “ধর্ম” আছে। তাদের নিজেদের জানা প্রতিটি পাপ তারা পরিত্যাগ করতে অমত করে - আর তারা যতক্ষণ না তা না করে তাদের জীবনে সত্যিকারে কোনো শান্তি নেই। তারা কখনই “খ্রীষ্ট যীশুকে প্রভু হিসাবে গ্রহণ” করেনি (কলসীয় ২:৬ পদ)। তাদের শক্তি হওয়ার জন্য “সদাপ্রভুতে যে আনন্দ” তারা কি সেরকম  করেছিল? (নহিমিয় ৮:১০ পদ)। কিন্তু তাদের মুখের উচ্চারিত কথা না হলেও তাদের হৃদয়ের ভাষা আর জীবন হলো “আমাদের ইচ্ছা নয় যে, এ ব্যক্তি আমাদের উপরে রাজত্ব করে” (লূক ১৯:১৪ পদ), এরকম অবস্থা কি আপনার?

দয়া অনুগ্রহের সবচেয়ে অলৌকিকতা হলো যে বিধি-ব্যবস্থা মানে না এমন বিরোধীতাকে পরিবর্তনে গড়ে তুলে একটি সক্রিয় কর্মতৎপর ও দৃঢ় আনুগত্যসম্পন্ন অধীনের কাছে নিয়ে যায়। এটা একটা হৃদয়ের পুনরুজ্জীবিত হওয়া অর্থাৎ পুনরায় নতুন করে তোলে, এর ফলে তার প্রিয় বিষয়ের অধীনে থাকাটা ঘৃণাসহকারে পরিত্যাগ করেন, যেসব বিষয় তিনি পূর্বে ভালোবাসতেন, একসময় যে বিষয়গুলো তার কাছে একঘেয়ে, ক্লান্তিকর, বিরক্তকর, অসন্তোষকর ছিল এখন তা তার জন্য প্রফুল্ল ও মনোরম (২করিন্থীয় ৫:১৭ পদ)। তিনি অত্যন্ত আনন্দে “আন্তরিক মানুষের ভাব অনুসারে ঈশ্বরের ব্যবস্থায় আমোদ” (রোমীয় ৭:২২ পদ) করেন। তিনি আবিস্কার করেন যে “খ্রীষ্টের আদেশ দুর্বহ নয়,” (১যোহন ৫:৩ পদ) আর জানতে পারছেন যে “তাহা পালন করিলে মহাফল হয়” (গীতসংহিতা ১৯:১১ পদ)। এ বিষয়ে কি আপনার কোনো রকমের অভিজ্ঞতা আছে? অবশ্যই হবে যদি আপনি যীশু খ্রীষ্টকে সেই প্রভু রূপে গ্রহণ করেন।

কিন্তু যীশু খ্রীষ্টকে প্রভুরূপে গ্রহণ করতে মানুষের কোনো প্রকার চাপ বা কোনো রকমের শক্তির সাহায্য ছাড়াই হয়। যারা আত্মিভাবে নবজীবন লাভ করেনি এটাই হলো তাদের শেষ কাজ যা তাদের করার ইচ্ছা। খ্রীষ্ট যদি আপনার হৃদয় সিংহাসনে বাস করেন তাহলেই আপনার হৃদয় অবশ্যই অলৌকিক পরিবর্তন আসবে। আর এই পরিবর্তন কেউ করতে পারেন না কিন্তু ঈশ্বর পারেন তাঁর বাক্য ও আত্মার কার্যের মাধ্য দিয়ে (১করিন্থীয় ১২:৩ পদ), সেই কারণে “সদাপ্রভুকে অন্বেষণ কর, যাবৎ তাঁহাকে পাওয়া যায়” (যিশাইয় ৫৫:৬ পদ)। “তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (যিরমিয় ২৯:১৩ পদ) পাঠক, আপনি হয়তো বিগত বছর ধরে প্রকাশ্যে নিজেকে খ্রীষ্টিয়ান বলে স্বীকার করতে পারেন আর হয়তো সম্পূর্ণ আন্তরিকতায় আপনার স্বীকারোক্তি থাকতে পারে। কিন্তু ঈশ্বর যদি আপনাকে আজকের এই লেখটি পাঠ করার মাধ্যমে দেখিয়ে দেন যে আসলেই আপনি কখনই আর সত্যিকারে “যীশু খ্রীষ্টেকে প্রভু বলে গ্রহণ” করেনি, যদি এখন আপনার নিজের প্রাণে ও বিবেকে উপলব্ধি করেন যে আপনি এখনও পর্যন্ত নিজেস্ব স্বভাবে পরিচালিত হচ্ছেন, আপনি এখনই হাটু গেরে নতজানু হয়ে ঈশ্বরের কাছে আপনার নিজের স্বভাবে নিজের ইচ্ছায় থাকা, তাঁর বিরুদ্ধে আপনার বিদ্রোহ আচরণ এবং তাঁর বাক্যের প্রতিবাদ করার কথা স্বীকার করুন, আর তাঁর কাছে আর দেরি না করে এসব বিষয়ে বিনতি প্রার্থনা করুন, আপনি যেন আপনার নিজেকে সম্পূর্ণভাবে তাঁর ইচ্ছায় ও তাঁর অধীনে থাকতে, তাঁর সেবা কজে, তাঁর ভালোবাসা ও অনুরাগী দাসরূপে, কার্যে ও সত্যে যোগ্যতা লাভ করতে পারেন।


Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?