ভবিষ্যতের জন্য চরম সত্য কথা যা ঘটতে যাচ্ছে
প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গীয় পিতার কাছে প্রার্থনায় বলেছেন, “তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ” (যোহন ১৭:১৭ পদ)। ঈশ্বরের বাক্য হলো বাইবেল আর
তাই এ বাক্য নিশ্চিত
সত্য।
যীশু
বলেছেন, “তোমরা যদি আমার বাক্যে
স্থির থাক, তাহা হইলে
সত্যই তোমরা আমার শিষ্য; আর
তোমরা সেই সত্য জানিবে
এবং সেই সত্য তোমাদিগকে
স্বাধীন করিবে” (যোহন ৮:৩১-৩২ পদ)
তাই
জগতের সবাইকে প্রভুর বাক্যের সেই সত্যে মুক্ত
অর্থাৎ স্বাধীন হতে আহ্বান জানানো
হচ্ছে।
নিচে
উল্লেখ করা বাইবেলের পদগুলো
একবার দেখার জন্য তুলে ধরা
হয়েছে যেন পাঠক দেখতে
পারেন যে কথাগুলো একেবারেই
সত্য।
আজকাল
খ্রীষ্টিয় মণ্ডলীতে যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয়
আগমন সম্পর্কে শিক্ষা খুব কমই দেখা
যায়। ফলে বেশীরভাগ খ্রীষ্টিয়ান
এ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন্। সময় এসেছে
এখন যেন আমরা প্রচার
করি, মণ্ডলীকে প্রস্তুত করি প্রভুর বাক্যের
মাধ্যমে।
১। খ্রীরীষ্টের
দ্বীতিয় আগমন আসন্ন - এমনকি
তাঁর আগমন আজকেও হতে
পারে
পাঠ করুন : ২ পিতর
৩:১-১৩ পদ
২। খ্রীষ্ট
কখন ফিরে আসবেন . . সেই
দিনের কথা এমনকি সেই
মুহূর্তের কথা কেউ জানে
না, কেউ বলতেও পারে
না, যেহেতু আজও তাঁর আগমন
হতে পারে, তাই আমাদের এখনই
প্রস্তুত থাকা অবশ্যই উচিৎ।
পাঠ করুন : মথি
২৪:৪২-৫১ পদে
প্রভু যীশু যুগান্তের চিহ্ন
তাঁর শিষ্যদের কাছে তুলে ধরেছিলেন,
বর্তমানে, জাতি দাঙ্গা, প্রাকৃতিক
বিপর্যয়, করোনার মতো বহু রকমের
মহামারী, ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রভুর দিনকে চিহ্নিত করে।
৩। বর্তমান
এই মণ্ডলী যুগ মুহূর্তে, চোখের
পলকে সমস্ত বিশ্বাসীদের যীশুর সঙ্গে স্বর্গে তুলে নেওয়া হবে
. . . সাত বছরের জন্য খ্রীষ্টের বিচার
সিংহাসনের সম্মুখে দাড়াবার জন্য নির্ধারিত ও
গচ্ছিত পুরুষ্কার গ্রহণ করতে আর মণ্ডলীতে
খ্রীষ্টের মণ্ডলীর বিবাহে (মণ্ডলী যীশু খ্রীষ্টের কনে)
এবং মিলনের অবস্থায় উপস্থিত হবার জন্য।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ৪:১-১১;
১৯:১-৮ পদ।
৪। যখন
যীশু সব বিশ্বাসীদের স্বর্গে
নিয়ে যাবেন ঠিক তক্ষুনি মহা
ট্রিবিউলেশন অর্থাৎ মহাদুঃখ- কষ্ট আরম্ব হবে।
যখন পৃথিবীর সব জায়গা থেকে
হাজার হাজার বিশ্বাসী অদৃশ্য হয়ে স্বর্গে যাবে
তখন পৃথিবীতে খুব গোলমাল হবে।
এ পৃথিবীতে এই
সাত বছর কালে অধিকাংশ
লোকেরা মহা ট্রিবিউলেশনের অর্থাৎ
মহাদুঃখ-কষ্টের সময় মারা যাবে।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ৫:১-১৯:২১ পদ।
৫। মহা
ট্রিবিউলেশন অর্থাৎ মহাদুঃখ-কষ্টের কালে অধার্মিক, ঈশ্বরনিন্দাকারী,
ঈশ্বরভক্তিহীনেরা যাদেরকে পশু এবং খ্রীষ্টারি
(খ্রীষ্টের শত্রু বা খ্রীষ্টবিরোধী) বলা
হয়, যারা সম্পূর্ণরূপে শয়তানের
ইচ্ছামত চলে। এদের দ্বারা
পরিচালিত হতে পৃথিবী মৈত্রী
বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার জন্য সমস্ত
জাতিকে নিয়ে এক-বিশ্ব
শাসন ব্যবস্থা অধীনে এক যুক্তরাজ্যের সৃষ্টি
করবে এবং এক অদ্ভুদ
আর অবাক হওয়ার মতো
যাদেরকে ভ্রান্ত নবি বলা হয়
যাদের দ্বারা পরিচালিত হতে পৃথিবী এক-বিশ্ব ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এক যুক্ত
ধর্মের সৃষ্টি কররে এক-বিশ্ব
ধর্মীয় ব্যবস্থার অধীন হওয়াতে।
এই খ্রীষ্টারি নিজেকে
ঈশ্বরের চেয়ে উচ্চে স্থাপন
করতে চেষ্টা করবে।
আশ্চর্য কাজ করার জন্য
সে শয়তানের থেকে শক্তি পাবে।
এসব আশ্চর্য কাজ দেখে পৃথিবীর
লোকেরা তাকে ঈশ্বর মনে
করে তার উপাসনা করবে।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ১৩:১-১৮:২৪ পদ।
মানুষ যখন ঈশ্বরের কথা
শুনবে না আর ঈশ্বরের
ইচ্ছামত চলবে না, তখন
ঈশ্বর মানুষের কাছে অন্যভাবে কথা
বলবেন।
তার মধ্যে একটি
হলো দুঃখ-কষ্ট। খ্রীষ্টারির
রাজত্বের সময় পৃথিবীতে এতো
বিপদ এতো কষ্ট হবে
যা এর আগে আর
কোনো দিনই হয়নি।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ৮ ও ৯
অধ্যায়, যেখানে সেই দুঃখ-কষ্টের
কথা লেখা আছে। মেষ
গর্জন, বিদ্যুৎ, ভূমিকম্প ও আগুন পড়ে
গাছপালা পুড়িয়ে ফেলবে।
সমুদ্রের মধ্যে পাহাড়ের মত বড় একটা
আগুন সমুদ্রের তিন ভাগের এক
ভাগ প্রাণী মেরে ফেলবে এবং
তিন ভাগের এক ভাগ জাহাজ
নষ্ট হয়ে যাবে আর
পোকা এত প্রচণ্ডভাবে কামড়াবে
যে মানুষ অসহ্য হয়ে মরতে চাইবে
কিন্তু মরবে না।
যুদ্ধ হয়ে পৃথিবীর তিন
ভাগের এক ভাগ মানুষ
মরে যাবে।
এই দুঃখ-কষ্ট
এতো ভাবে বেশী হবে
যে, পবিত্র বাইবেলে লেখা আছে যে
সেই কষ্টের দিনগুলো ঈশ্বর যদি কমিয়ে না
দিতেন তাহলে কেউই বাঁচত না।
পাঠ করুন : মথি
২৪:২২ পদ।
মানুষ এই সমস্ত দুঃখভোগ
করার সময়, মরার জন্য
পাহাড়-পর্বতকে তাদের উপর পড়তে বলবে
কিন্তু তবুও তারা সাহায্যের
জন্য ঈশ্বরের কাছে ক্রন্দন করবে
না।
৬। মহা
ট্রিবিউলেশন অর্থাৎ মহাদুঃখ-কষ্টের শেষে অর্থাৎ শয়তান
আর খ্রীষ্টারি যীশু খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার জন্য একত্র
হবে তখন যীশু খ্রীষ্ট
মিলেনিয়াম অর্থাৎ সহস্রবছরের (এক হাজার বছর)
রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর সাধু
অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী
ব্যক্তিদের সঙ্গে ফিরে আসেন, তিনি
এবার সেই ছোট্ট শিশুর
মতো হয়ে নয় কিন্তু
মহাক্ষমতায় ও গৌরবে রাজার
মতো হয়েই আসবেন। যিরূশালেম
থেকে শাসন করা হয়।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ১৯:১-১৬
পদ
৭। মিলেনিয়াম
অর্থাৎ এক হাজার বছরের
জন্য, শয়তানকে ধরে বেঁধে অতল
গহ্বর নামে একটা জায়গায়
ছুঁড়ে ফেলা হবে, যেখানে
সব মন্দ আত্মারা বন্দী
হয়ে থাকবে।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ২০:১-৩
পদ।
পবিত্র বাইবেলে বিভিন্ন স্থানে এমন কথা প্রকাশ
পায় যে সমস্ত মানুষ
যীশু খ্রীষ্টের উপাসনা করবে এমনকি জীব-জন্তু, গাছ-পালা যীশু
খ্রীষ্টকে পৃথিবীর রাজা হিসেবে মান্য
করবে।
সবাই শন্তিতে থাকবে,
কোনো অন্যায় থাকবে না। সবাই নিয়ম-কানুন মেনে চলবে।
৮। এক
হাজার বছর শেষ হলে,
শয়তানকে অতল গহ্বরে বন্দীদশা
থেকে আবার কিছু দিনের
জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে,
এর ফলে শয়তান আবার
যুক্ত জাতিগুলোকে ঠকাবে।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ২০:৩-৮
পদ।
৯। যুক্ত
জাতিগুলো ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং তাঁর খ্রীষ্টের
বিরুদ্ধে জেগে উঠবে।
এরা সবাই এক
হয়ে পবিত্র লোকদের আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।
কিন্তু তারা একেবারে ব্যর্থ
হবে।
ঈশ্বর স্বর্গ থেকে আগুন ফেলে
তাদের গ্রাস করবে এবং জগৎ
থেকে পাপ মুক্ত হবে।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ২০:৪-১০;
২পিতর ৩:১০-১৩
পদ।
১০। সমস্ত
কালের সমস্ত অবিশ্বাসীরা, যারা পাপ থেকে
উদ্ধার পায়নি, যারা যীশুকে তাদের
নিজেদের একমাত্র প্রভু এবং মুক্তিদাতারূপে বিশ্বাস
করতে প্রত্যাখ্যান করেছে, এরা তখন এই
কারণে তাদের কর্ম অনুযায়ী বিচারিত
হবার জন্য মহা শ্বেত
সিংহাসনের সম্মুখে দণ্ডায়মান হবে।
এদের সবাইকে শয়তান
ও ভ্রান্ত সেই পশু ও
ভণ্ড সব নবিদের সাথে তাদের অনন্তকালের
জন্য অবর্ণনীয় যন্ত্রণা ভোগ করতে জ্বলন্ত
অগ্নিশিখার হ্রদে নিক্ষেপ করা হবে যা
আগুন এবং গন্ধকে অনন্তকাল
জ্বলতে থাকে।
পাঠ করুন : প্রকাশিত
বাক্য ২০:১০-১৫
পদ।
যারা যীশু খ্রীষ্টকে
বিশ্বাস করে ঈশ্বরের সন্তান
হয়েছেন তাদের নাম জীবন পুস্তকে
লেখা রয়েছে। তাদের এই আগুনের হ্রদের
ভয় নাই।
এখন
চিন্তা করে দেখনু যারা
যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেনি,
সেই মহাদুঃখ-কষ্টের সময়
তাদের কী
অবস্থা হবে।
মহাক্লেশের
চেয়ে আগুনের হ্রদ আরও খারাপ
হবে। সেখানে
অনন্তকাল চিরকাল তারা শয়তানের ও
খ্রীষ্টারির সাথে দুঃখ-কষ্ট
ভোগ করবে। তখন আর যীশু
খ্রীষ্টকে উদ্ধারকর্তারূপে গ্রহণ করার কোনো সুযোগ
থাকবে না।
ঈশ্বর
সেই শেষ বিচার দিনের
ব্যাপারে আমাদের সতর্ক করেছেন, ঈশ্বর চান যেন সেই
দিনের জন্য সবাই প্রস্তুত
হয়। পৃথিবীর রেডিও-টেলিভিষণ, ইন্টারনেট অল-লাইনে এই
সতর্ক বার্তা দেওয়া উচিত। আর প্রত্যেক বিশ্বাসীর
উচিত এই দিনের ব্যাপারে
আরেকজনকে প্রস্তুত হতে বলা যেন
তারা রক্ষা পায়। রক্ষা পাওয়ার
একমাত্র উপায় আছে আর
তা হলো যীশুকে উদ্ধারকর্তা
হিসাবে জীবনে গ্রহণ করা। আপনি যদি
তাঁকে উদ্ধারকর্তা বলে গ্রহণ করেন
তবে আপনি প্রস্তুত হয়েছেন।
প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট যদি আজ আসেন
তবে হয়তো দেখা যাবে
অনেকেই অপ্রস্তুত।
আপনার
নিজের অবস্থা চিন্তা করুন, আপনি কি প্রস্তুত?
আপনার প্রিয়জনদের, আত্মীয় স্বজনদের, যাদের আপনি ভালোবাসেন তাদের
অবস্থা চিন্তা করুন, তারা কি যীশু
খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেছে?
যদি
না করে থাকে তবে
আজই তাকে প্রভুর কাছে
নত হতে অনুরোধ করুন।
২পিতর
৩:৯ পদে লেখা
আছে পাঠ করুন যে,
প্রেমময় ঈশ্বর চান না যে
একজনও অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট হয়,
তা তিনি কখনও চান
না। ঈশ্বর চান, সকলেই যেন
সুসমাচার শুনতে পায়। কেউ যদি
ঈশ^রের অনুগ্রহ ও
তাঁর পরিত্রাণ প্রত্যাখ্যান করে তাহলে সেই
পুরুষ বা নারী অবশ্যই
বিনষ্ট হবে।
আপনি
কি সেই দিনটির জন্য
প্রস্তুত আছেন? যখন ঈশ^র
পৃথিবীর উপরে তাঁর বিচার
বা শাস্তি পাঠাবেন? যদি এখনও প্রস্তুত
না হন, তাহলে এই
মূহূর্তে আপনি প্রভু যীশুকে
আপনার ব্যক্তিগত উদ্ধারকর্তা হিসাবে গ্রহণ করুন।
আসুন
প্রার্থনা করি : প্রিয়তম প্রভু, তোমার মহিমান্বিত পুনরাগমনের বিষয় জানলাম। আমাকে
আশির্বাদ কর যেন যথার্থরূপে
তোমার আগমনের জন্য নিজেকে, নিজের
পরিজনকে প্রস্তুত করতে পারি। যীশু
তোমার নামে চাই, আমেন!!
Comments