কবরটি শূণ্য তাই ভক্তি শ্রদ্ধাঞ্জলি পূজার্চনার স্থান এটা নয়।


কবরটি শূণ্য তাই ভক্তি শ্রদ্ধাঞ্জলি পূজার্চনার স্থান এটা নয়।
কোনোভাবেই তীর্থযাত্রীদের তীর্থস্থান এটা নয়, কঙ্কাল হয়ে কেউ এখানে বেঁচে নেই।
যীশু জীবিত থাকাকালে তখনকার সময় মৃতদের কবর শ্রদ্ধা জানানো একটি বিষয় ছিল।
লোকেরা নবিদের কবরের কাছে মাঝে মাঝে এসে মিলিত হতো আবেগাপ্লুত হয়ে ভক্তি শ্রদ্ধায় সম্মান জানাতো ঠিক আজকালকার মতো।
কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো একেবারে উলটো যে আগেকার যিহূদী খ্রীস্টিয়ানরা এরকম কোনো কিছুই তারা করত না।
কবর জিয়ারাত, ভক্তিভরে মৃতদের স্বরণে তাদের কবর শ্রদ্ধায় পূজায় প্রার্থনায় প্রদক্ষিত করার মতো কিছুই তারা করত না, তেমন কোনো চর্চা তাদের ছিল না।
এমনকি যীশুর করবে পূজা ভক্তিশ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর কবরের ঘোষণা দেওয়ার জন্য কোনো সভা অনুষ্ঠান, আয়োজন সেই প্রথম খ্রীষ্টিয়ানদের ছিল না।
এসব শুরু হয় দুই থেকে তিনশ বছর পরে ছাড়া আগে নয়, কিন্তু এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এসব করা চলে আসেছে।
যীশুর কবর কখনো প্রথম খ্রীষ্টিয়ানদের কোনো তীর্থস্থান ছিল না শুধুমাত্র প্রমাণ যুক্তি দিয়ে পুনরুত্থিত যীশুর শূণ্য কবরটির সত্যতা প্রমাণ করা ছাড়া।
খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা শূণ্য কবরটি দেখিয়ে দিতেন যে - . .
. . “আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট উঠেছেন, তোমরা দেখ তিনি করবে নাই, তিনি জীবিত, তিনি পুনরুত্থিত
কবরটি কখনো শ্রদ্ধা দেখানো হয়নি, তীর্থযাত্রীদের কোনো তীর্থস্থান এটা ছিল না, কারণ করবটি ছিল শূণ্য!!
শিষ্যদের আনন্দ ছিল, উল্লাস ছিল যে যীশু খ্রীষ্ট জীবিত, তাদের গর্ব ছিল যে তিনি জীবিত।
খ্রীষ্ট উঠেছেন এটাই শিষ্যদের মুখে মুখে, তাদের আলোচনার বিষয় এটাই, প্রচার ছিল তাই।
তাদের খ্রীষ্ট জীবিত হয়েছেন, এটাই শিষ্যদের বিশ্বাসের বিষয় ছিল।
যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমিই পুনরুত্থান জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে সে মরিলেও জীবিত থাকিবে” (যোহন ১১:২৫ পদ)
মরলেও জীবিত (পুনরুত্থান) হওয়ার কথাটা যীশু বলেছেন।
গ্রিক ভাষায় Anastasis শব্দের অর্থ উঠে দাঁড়ানো (পুনরুত্থান)
খ্রীষ্টিয়ানদের কাছে এর অর্থ আমাদের মৃত দেহগুলো উঠে দাঁড়াবে এবং কবরগুলো থেকে বের হয়ে আসবে।
এটা হবে একটা অত্যন্ত আনন্দের সময় যা সামনে অপেক্ষায়।
অনেক মহৎ মহৎ ব্যক্তিগণ জগতে ছিলেন।
এসব ব্যক্তিগণ জগতে অনেক অনেক ক্ষেত্রে বিখ্যাত ছিলেন, খ্যাতিমান ছিলেন কিন্তু এনারা সবাই মৃত্যুবরণ করেছেন
তাদের হাড়গোড় কবরে এখনো পড়ে আছে।
প্যারিসের পরিত্যাক্ত স্থানে যান, সেখানে বাধানো ন্যাপোলিয়ানের কবর দেখবেন। তার দেহাবশেষ সেখানে এখনো আছে।
লন্ডনে যান দেখবেন, সেখানে ব্রিটিস সম্রাজ্যের বিখ্যাত বিখ্যাত দক্ষ রাষ্ট্রশাসকদের এবং রাজাদের জাঁকালো সমাধি রয়েছে, যা তাদের দেহ ধারণ করে আছে। তাদের হাড়গোড় ধুলাবালি মাটির সাথে মিশে আছে।
জর্জ ওয়াসিংটনের শায়িত স্থান হলো মাউন্ট ভারনন্-, তাকে বলা হতোযুক্ত রাষ্ট্রের পিতা।তার দেহ সেই গোরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত।
জগতের একের পর এক বিখ্যাতরা তাদের স্থানে শায়িত রয়েছে।
কনফুসিয়ান (চীনদের মহৎ গুরু)
. . খ্রী: পূ: ৪৭৯, ৭২ বছর বয়সে মারা যান।
গৌতমবুদ্ধ (বৌদ্ধ ধর্মের স্থাপক)
. . খ্রী: পূ: ৪৮৩, ৮০ বছর বয়সে মারা যান।
নবিজী, (ইসলাম ধর্মের স্থাপক)
. . ৬৩২ খ্রী: :, ৬৩ বছর বয়সে মারা যান।
কাল মার্ক (অতীতে কমুনিয়জমের মহান চিন্তাবিদ)
. . ১৮৮৩ খ্রী: : ৬৪ বছর বয়সে মারা যান।
এসব বিখ্যাত ব্যক্তিদের সমাধি হয় আর তাদের দেহ সেখানেই শায়িত।
কিন্তু জগতের একটি মাত্র স্থানের একটি মাত্র কবর শূণ্য, কবরটি খালি পরে আছে।
যে কবরটি যিরূশালেমে, কালভেরির পাদদেশে, যেখানে প্রভু যীশুকে শায়িত করা হয়েছিল।
আজ বিশ্বের সব দেশেই প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে স্বরণ করা হচ্ছে, যীশু মরেছিলেন তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল, তিনি তিন দিনে পুনরুত্থিত হয়েছেন
যীশু নিজের সম্পর্কে বলেছেনওআমি পুনরুত্থান জীবন
- হেরদ তাঁকে হত্যা করতে পারেনি।
- পিলাত তাঁর কোনো দোষ খুঁজে পায়নি।
- মৃত্যু তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
- মৃতেরা তাকে ধরে রাখতে পারেনি।
- কবর তাঁকে আটকিয়ে রাখতে পারেনি।
- ঘুষ দিয়ে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানকে আটকানো যায়নি।
- এই হলো আমার রাজা!
- এই হলো আমার মৃত্যুঞ্জয়ী প্রভু যীশু খ্রীষ্ট!
মিথ্যা অপবাদে খ্রীষ্টের সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া যায়নি।
মিথ্যাবাদী বলে, হামলা করে খ্রীষ্টিয়ানদের দমানো যায়নি।
মিথ্যাচারে খ্রীষ্টের সুসমাচারকে আটকানো যায়নি।
খ্রীষ্ট পুনরুত্থিত না হয়ে থাকলে, আমাদের বিশ্বাস মিথ্যা, প্রচারও বৃথা।
পবিত্র শাস্ত্রের কথামত খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করলেন, কবরপ্রাপ্ত হলেন, আর তিন দিনের দিন তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন।
যীশুকে ক্রুশে হত্যায় তারা মনে করেছিল, শত্রুর চির বিদায় হলো, কিন্তু তারা ভূল বুঝেছে, তারা বিভ্রান্ত, তার বুঝলো না . .

তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী প্রভু!
তিনি খ্রীষ্ট !!
অমৃত পুরুষ যীশু !!!
জগতের সবচেয়ে ঘৃণিত, অবিশ্বাস্য হলেন আমাদের - যীশু খ্রীষ্ট!
জগতের সবচেয়ে প্রিয়তম, প্রাণের পুরুষ হলেন আমাদের - প্রভু যীশু খ্রীষ্ট!!
আপনার কাছে তিনি কে??
ঈশ্বর চায়নি মানুষ নরকে থাকুক, কিন্তু মানুষ প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে চায়নি।
হ্যাঁ, খ্রীষ্টিয়ানরা নিখুঁত নয়, কিন্তু তারা সঠিক একজনকে অনুসরন করেন তিনি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট!
প্রভু কহিতেছেন, আমার জীবনের দিব্য, আমার কাছে প্রত্যেক জানু পাতিত হইবে, এবং প্রত্যেক জিহ্বা ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করিবে

সাতরাং
আমাদের প্রত্যেক জনকে ঈশ্বরের কাছে আপন আপন নিকাশ দিতে হইবেরোমীয় ১৪:১১ পদ।





Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?