কোনো সঙ্কেত আমাদের মনকে শুধু নাড়া-ই দেয় না - সতর্কও করে।
এক রাতে রন-তরীর নৌ-সেনাপতি দূরে একটি আলো দেখতে পেয়ে লক্ষ্য করলেন যে তার নৌবহরটি ঐ আলো জ্বলা জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার জাহাজের রেডিও বার্তাবাহকে তাদের দিকে আসতে থাকা ঐ জাহাজকে ১০ ডিগ্রি উত্তর দিক ঘুরে যাবার জন্য বার্তা পাঠতে বলেন। আর ওপাশ থেকে শান্তভাবে উত্তর এলো, ‘না, বরং তুমি তোমার জাহাজ ১০ ডিগ্রি উত্তর দিক ঘুরিয়ে দেও।’ পরে আরো দু-দু’বার এভাবে বার্তা আদান প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় নৌ-সেনাপতি একেবারে প্রচণ্ডভাবে ক্ষেপে রেডিও বার্তাবাহকের মাইক্রফোনটি ছিনিয়ে অত্যন্ত গর্জন করে বললেন, ‘তুমি কি জান, তুমি যুক্তরাষ্টের একজন নৌ-সেনাপতির সাথে কথা বলছো। এরপর বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর, ও পাশ থেকে শান্ত গলায় উত্তর এলো, “স্যার, আপনি কি জানেন যে আপনি লাইটহাউসের সঙ্গে কথা বলছেন?”
বিপদে সর্তক করে দেওয়া লাইটহাউসের মতো যীশু খ্রীষ্টি-ও সে রকম “আমি জগতের জ্যোতি” বলে জগতের সবাইকে সতর্ক করেন।
যীশু খ্রীষ্ট বারবার আমাদের জীবনযাত্রার গতিপথের পরিবর্তনের সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন যেন অন্ধকার থেকে আলোর পথে চলি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় জগতের অনেকেই ভুল পথে চলতে থাকা লোকেরা এই জ্যোতির্ময় যীশুকে তাদের জীবন থেকে সরে যেতে বলেন।
Comments