আমাদের কি কখনো সাধু ব্যক্তিদের কাছে প্রার্থনা করা উচিত?

অনেকে পরামর্শ দিতে পারেন যে মূর্তির নিকট প্রার্থনা করা ভুল হলেও সাধুদের নিকট আমাদের প্রার্থনা করা ঠিক। এর কারণ হলো সাধু ব্যক্তিরা ঈশ্বর ও আমাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী। যীশু নিজেই বলেছিলেন যে, “পিতার কাছে কেউই যেতে পারে না, যদি না সে আমার মধ্য দিয়ে যায়” (যোহন ১৪:৬ পদ)। আরো স্পষ্টভাবে ১তীমথিয় ২:৫-৬ পদে বলা হয়েছে, “কেননা ঈশ্বর এক, এবং ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থ এক - তিনি সেই মানুষ যীশুখ্রীষ্ট যিনি সকলের মুক্তিপণ হিসাবে নিজেকে দান করলেন”। খ্রীষ্ট হলেন আমাদের মধ্যস্থতাকারী। কারণ তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করেছেন। আমাদের পাপের জন্য যা প্রয়োজন ছিল তিনি তার সমস্তই পরিশোধ করেছেন, যেন আমরা পাপীরা সরাসরি ‘আমাদের স্বর্গস্থ পিতা’র কাছে প্রার্থনা করতে পারি। সুতরাং সাধুদের মাধ্যম করে প্রার্থনার বিষয়টি একেবারেই অর্থহীন, গুরুত্বহীন।

বাইবেলের এই পদটি কেরি ভার্ষণ বাইবেলে লেখা আছে যে, “কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি মনুষ্য, খ্রীষ্ট যীশু, তিনি সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে আপনাকে প্রদান করিয়াছেন।” এ পদের আলোকে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে, খ্রীষ্ট ব্যতিরেকে যদি মধ্যস্থতার অন্য কোনো সুযোগ থাকতো, তাহলে ঈশ্বর কেন আমাদের বলেছেন, যে খ্রীষ্ট যীশু একমাত্র মধ্যস্থতাকারী? 

একজন যাজক কোনো একটি টিভি প্রোগ্রামে এই পদটির একটা ফাঁকফোকর তালাশ করার চেষ্টা করেছিলেন, যাতে সাধুদের কাছে কাথলিকদের প্রার্থনা করার সমর্থন পাওয়া যায়। সেজন্য তিনি ঐ আলোচনায় থাকা অন্যজনকে ব্যাখ্যা দিলেন : “সাধুরা সরাসরি প্রার্থনার উত্তর দিতে পারে না তা নয় কিন্তু তারা যীশুর কাছে প্রার্থনা করেন আর যীশু পিতা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন আর ঈশ্বর প্রার্থনার উত্তর দেন।” প্রোগ্রামে থাকা কাথলিক মতবাদ সম্পর্কে অবগত থাকায় যাজককে জিজ্ঞাসা করা হলো, “সাধুরা কি সর্বজ্ঞ এবং সর্বত্র বিরাজমান? সমগ্র জগত থেকে যখন বিভিন্ন ভাষায় একই সময়ে প্রার্থনা করা হয়, সাধুরা কি তা শুনতে পান, বুঝতে পারেন সবার প্রার্থনা?” যাজকে অবশ্য উত্তর দিতে হয়েছে Ñ “না, একমাত্র ঈশ্বর সর্বজ্ঞ এবং সর্বত্র বিরাজমান; তারা ঐ সকল প্রার্থনা শুনতে পারেন না আর বুঝতে পারেন না।” যাজক নিজে কী বলেছিলেন, সে বিষয়ে বুঝতে পেরে তার খেসারত দিতে গিয়ে বলেছিলেন, “ঈশ্বর পিতা প্রার্থনাগুলো শুনেন এবং সাধুদের বলেন, লোকেরা কী জন্য যাচ্ঞা করেছিল . .!!!”

মনে রাখুন, একমাত্র ঈশ্বর একই সময়ে সকল স্থানে থাকেন এবং জগতের চারদিকের হাজার হাজার লোকের প্রার্থনাগুলো একই সময়ে শুনতে পারেন। আপনি কি এর চেয়ে ভালো কারণ চিন্তা করতে পারেন যে সরাসরি প্রথমেই তাঁর কাছে প্রার্থনা করবো না কেন?

ঈশ্বর আমাদের প্রেম করেন। তিনি আমাদের প্রভু ও পিতা হতে চান। তিনি আমাদেরকে সরাসরি তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে বলেন। তাঁকে সম্মান করতে এবং তাঁর প্রশংসা করতে বলেন। যখন আমরা অন্য একজনকে বা অন্য কোনো কিছুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং প্রশংসা করি তখন ঈশ্বর নিজেকে পরিত্যক্ত, বাতিল অনুভব করেন। বাইবেল আমাদের বলে যে, তিনি আমাদের প্রেম সংরক্ষণে সতর্কভাবে যত্নশীল এবং আমাদের বুঝাবার জন্য একজন গৃহকর্তা অর্থাৎ স্বামীর দৃষ্টান্ত দেন, যে সেই স্বামীর স্ত্রী বাইরে অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে যায় তা তিনি চাইতেন না। আমরা ঈশ্বরের কাছে কী বলবো যখন আমরা তাঁর দিকে পিছন ফিরাই এবং একজন সাধুর কাছে প্রার্থনা করি? এরকম মনে করা বা এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া মহা অপরাধ যে, ঈশ্বর সাধুদের মতো দয়ালু, সুবিবেচক ও সহানুভূতিশীল নন্।

আসুন, আমরা একটি দৃষ্টান্ত পরীক্ষা করি যা আক্ষরিকভাবে শত শত ইতালিবাসী আমাদের দেখিয়ে থাকে। সাধুদের কাছে কেন আমাদের প্রার্থনা করা উচিত? তারা বলেছেন, “আপনি যদি কোনো একটি কারখানায় কাজ করতে চান আর আপনার কাকা সেই কারখানার মালিকের বন্ধু হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই একটি কাজের জন্য সরাসরি মালিকের কাছে যাবেন না। আপনি আপনার কাজের জন্য কাকাকে মালিকের কাছে যেতে অনুরোধ করবেন। এই দৃষ্টান্তটিতে কাকা সাধুর প্রতিরূপ বা মূর্তি এবং কারখানার মালিক ঈশ্বরের প্রতিরূপ। এই দৃষ্টান্তে পরোক্ষভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে, সাধু ব্যক্তি কাকার প্রতিরূপ আপনাকে জানেন এবং আপনাকে প্রেম করেন আর আপনাকে সাহায্য করতে চান। ঈশ্বর, যিনি কারখানার মালিকের প্রতিরূপ তিনি কিছুই করেন না। সত্য কথা হলো এই যে, ঈশ্বর আমাদের জানেন এবং আমাদের প্রেম করেন ভালোবাসেন, আর ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের নামে, যিনি একমাত্র মধ্যস্থতাকারী, আমাদের তাঁর নিকটে সরাসরি আসতে নির্দেশ করেন।

বাইবেল কখনও এই সিদ্ধান্ত দেয়নি যে, জীবিত বা মৃত কোনো সাধু ঈশ্বরের চেয়ে আমাদের প্রতি তারা বেশি সহানুভূতিসম্পন্ন। এমনকি, বাইবেল একবারও উল্লেখ করা হয়নি যে কোনো একজন তাদের কাছে প্রার্থনা করেছে বা তাদের মাধ্যমে প্রার্থনা করছে। খ্রীষ্ট সম্বন্ধে বলা হয়েছে “কেননা আমরা এমন একজন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতার সমব্যথী হতে অক্ষম, তিনি বরং পাপ ছাড়া আমাদের মতই সবদিক দিয়ে পরীক্ষিত হয়েছেন। সুতরাং এসো, সাহসভরে আমরা অনুগ্রহের সিংহাসনের কাছে এগিয়ে যাই, যেন দয়া লাভ করি এবং প্রয়োজনের দিনে সহায়তার সঙ্গে অনুগ্রহ পাই”। (ইব্রীয় ৪:১৫-১৬ পদ; আরও পাঠ করুন ইফিষীয় ৩:১২ পদ)। ঈশ^র জানেন এবং তিনি যত্ন নেন্।

খ্রীষ্ট স্বয়ং আমাদেরকে বলেছেন যে আমাদের কার কাছে প্রার্থনা করা উচিত। মথি ৭:৭-১১ পদে খ্রীষ্ট যীশু এভাবে বলেছেন, “যাচ্ঞা কর, তোমাদের দেওয়া হবে;” . . এটা এখানেই শেষ হয়েছে “সুতরাং তোমরা মন্দ হয়েও যখন তোমাদের ছেলেদের ভাল ভাল জিনিষ দিতে জান, তখন যারা তাঁর কাছে যাচ্ঞা করে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা যে তাদের ভাল ভাল জিনিষ দেবেন তা আরও কতই না নিশ্চিত”। সাধু যোহন, যোহন ১৫:১৬ পদে বলেছেন, যীশুর নামে পিতার কাছে আমাদের যাচ্ঞা করা উচিত। যোহন, যীশুর বিষয়ে ঐ পদে বলেছেন, “তোমরা আমাকে বেছে নাওনি, আমিই তোমাদের বেছে নিয়েছি, তোমাদের নিযুক্তও করেছি, যেন তোমরা গিয়ে ফলশালী হয়ে ওঠ ও তোমাদের ফল স্থায়ী হতে পারে, যাতে তোমরা পিতার কাছে যা কিছু আমার নামে যাচ্ঞা কর, তিনি তা তোমাদের দেন।” বাইবেলের প্রার্থনাগুলো পাঠ করলে আপনি দেখবেন যে সমস্তই পিতা ঈশ্বরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে; কোনো মৃত সাধুকে সম্বোধন করে বলা হয়নি।

প্রোটেস্টান্টরা কি সাধুদের বিশ্বাস করে?

এতক্ষণ যা বলা হলো তাতে এইটা বলা হবে, ‘প্রেটেস্টান্টরা সাধুদের বিশ্বাস করে না!’ বাইবেল সাধু ব্যক্তিদের সম্বন্ধে যা বলে আমরা তা বিশ্বাস করি;  আর সেসব বিশ^াস কাথলিক প্রথা থেকে একেবারেই আলাদা। প্রোটেস্টান্টরা সাধুদের এতটুকু বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর তাদের অনুপ্রাণিত করে বাইবেলে যা আজ্ঞাগুলো যে লিখিয়েছিলেন আমরা সেগুলো পালন করতে চাই। অন্যান্য অনেক কিছুর মধ্যে সাধু ব্যক্তিরা আমাদেরকে ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করতে বলেছেন, তারা সাধুদের নিকটে বা মূর্তিগুলোর নিকটে প্রার্থনা করতে বলেননি। এছাড়াও, বাইবেলে সাধু ব্যক্তিরা যা লিখেছেন আমরা তা পালন করার চেষ্টা করছি, সেই সাধুরা যারা প্রকৃতই সাধু আমাদের কাছে তারা দৃষ্টান্তস্বরূপ। বাইবেল সকলকে আহ্বান করে, যারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে পবিত্র হয়েছে। পবিত্রগণ শব্দটি নতুন নিয়মে খ্রীষ্টে বিশ্বাসীদের নির্দিষ্ট করতে ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো একজন ব্যক্তিকে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করার জন্য নয়। 

বাইবেলে পবিত্র শব্দটি তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, যারা তখনো জীবিত ছিলেন। বাইবেলে পৌলের লেখায় এই শব্দটি বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে। আসুন, আমরা পরীক্ষা করে দেখি তিনি কীভাবে এটি ব্যবহার করেছেন “. . পবিত্রজন ও খ্রীষ্টযীশুতে বিশ্বাসী যারা, তাদের সমীপে . .” (ইফিষীয় ১:১ পদ, এই অংশটি রোমান কাথলিক বাইবেল থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে)। অন্যান্য অনুবাদে প্রায় একই রকম করা হয়েছে। আরো দেখুন ইফিষীয় ১:১৫, ১৮; ২:১৯; ৩:১৮; ৪:১২; ৫:৩ এবং ৬:১৮ পদ; রোমীয় ১:৭ পদ; প্রেরিত ৯:১৩, ৩২; ২৬:১০ পদ। কেউ বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারে না কিন্তু পবিত্রগণ শব্দটির দ্বারা আকর্ষিত হতে পারে যে শব্দটি সাধারণ খ্রীষ্টিয়ান দল বা জনগণকে বুঝাতে সর্বদাই ব্যবহৃত হয়েছে।

করিন্থীয় ম-লীর বিশ্বাসীরা পবিত্রীকৃত ছিল (১করিন্থীয় ১:২; ৬:১১; ১৪:৩৪ পদ)। তবুও তাদের কতকগুলো গুরুতর ভুল ও পাপ ছিল। আর পৌল তাদের বলতে পারেননি আত্মিক খ্রীষ্টিয়ান, বলেছেন মাংসময়/পাপ-স্বভাবের (১করিন্থীয় ১:১১; ৩:১; ৬:৫-৮; ১১:২২ পদ)।

প্রোটেস্টন্টরা পবিত্রগণের অর্থাৎ সাধু ব্যক্তিদের নিকটে প্রার্থনা করে না কেন?

বাইবেলে স্পষ্টভাবে লেখা আছে “কেননা ঈশ্বর এক, এবং ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যস্থ এক Ñ তিনি সেই মানুষ যীশুখ্রীষ্ট” এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে যার জন্য প্রোটেস্টান্টরা সাধু লোকদের বা পবিত্রগণের নিকটে প্রার্থনা করে না। যেমন :

ক্স ঈশ্বর বাইবেলে এমন কারও দৃষ্টান্ত দেননি যারা সাধুদের কাছে, পবিত্রগণের নিকটে কখনো প্রার্থনা করেছেন বা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি আমাদের সেরকম কোনো নির্দেশও দেননি যে আমাদের সেরকম করাতে চান।

ক্স শাস্ত্র আমাদের আরও বলে : “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করবে, কেবল তাঁকেই উপাসনা করবে।” (লূক ৪:৮ পদ)।

ক্স বাইবেলে আমরা স্বর্গদূত এবং মানুষ উভয়েরই দৃষ্টান্ত পাই, যাদের সামনে মানুষকে মস্তক অবনত করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা দেয় সেরকম করা উচিত নয়। “পিতর বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করার সময়ে কর্নেলিউস এগিয়ে এসে তাঁর পায়ে পড়ে প্রণিপাত করলেন। কিন্তু পিতর তাঁকে মাটি থেকে তুলে নিয়ে বললেন, ‘উঠুন; আমি নিজেও মানুষ।” (প্রেরিত ১০:২৫-২৬; ১৪:১৩-১৫ পদ এবং প্রকাশিত বাক্য ২২:৮-৯ পদ)।

ক্স প্রেরিত পৌল পবিত্রীকৃতদের একজন যিনি ফিলিপীয় পত্রে ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি শুধু তাদের জীবনে সাহায্যকারী হতে পারেন (ফিলিপীয় ১:২৩-২৬ পদ)।

আশ্চর্য কাজের সঙ্গে পবিত্রগণ, সাধুরা প্রার্থনার উত্তর দেন। এই যুক্তি-তর্কের উত্তরে আমরা অবশ্যই স্মরণ করবো যে, আত্মিক গুপ্ত বিষয়ের প্রকাশ (আশ্চর্য কাজসহ) দু’টি ভিন্ন স্থান থেকে আসতে পারে: ঈশ্বরের কাছ থেকে অথবা দিয়াবল আর তার অপদেবতাদের কাছ থেকে আসতে পারে। ঈশ্বরের আজ্ঞা হলো যে, আমরা কখনো খোদিত প্রতিমা নির্মাণ করবো না। আর যখন মনে হয় যে, পবিত্রগণ, সাধুদের দ্বারা আশ্চর্য কাজ হয় এবং বহু লোক ঈশ্বরকে ছেড়ে অন্য কোনো প্রতিমা উপাসনায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে এই আশ্চর্য কাজ ঈশ্বর হতে নয়।

এমন অনেক সাধু বা পবিত্রকৃত ব্যক্তি আছেন, যাদের কাথলিক মণ্ডলী পদচ্যুত করেছে, কারণ ঐতিহাসিকভাবে তাদের কখনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দৃষ্টান্তস্বরূপ সাধু ফিলোমেনার বিষয়ে ধারণা করা হয় যে, অলৌকিকভাবে তিনি পোপ দশম পিউসকে সুস্থ করেছিলেন। যাহোক, অতি সাম্প্রতিককালে অন্য পোপ দ্বারা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো বন্ধ করা হয়েছে। আর এক তদন্ত কমিশন বিষয়টিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। মণ্ডলী কর্তৃক প্রকাশ করা হয়েছে যে তার অস্তিত্ব কখনো ছিল না। যারা তার মূর্তিতে বিশ্বাস করে, তাদের দাবি যে এখনো তার দ্বারা অলৌকিক কার্য সাধিত হয়।

আপনিও একজন পবিত্র ব্যক্তি সাধু হতে পারেন যদি যীশুকে বিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেন। যিনি বলেছেন, “আমিই সেই পথ, সেই সত্য, সেই জীবন! পিতার কাছে কেউই যেতে পারে না, যদি না সে আমার মধ্য দিয়ে যায়” (যোহন ১৪:৬ পদ)। মণ্ডলীর বর্ণনানুযায়ী পবিত্র লোক তৈরি হয় না বা নিষ্পাপ একটি জীবনযাপন দ্বারাও পবিত্রতা অর্জন করা যায় না, আশ্চর্য কাজ দ্বারাও নয়। ঈশ্বর পাপীদের মধ্য হতেই সাধুদের তৈরি করেছেন . . শাস্ত্রে বলা হয়েছে “. . যীশুখ্রীষ্টের সেই একবার চিরকালের মত দেহ-নৈবেদ্য গুণেই আমাদের পবিত্র করে তোলা হল” (ইব্রীয় ১০:১০ পদ আরও পাঠ করুন প্রেরিত ২৬:২৮ পদ)। আপনার পাপ দূর করতে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস ও নির্ভর করুন। তা হলে আপনিও একজন পবিত্রীকৃত ব্যক্তি হবেন।


Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?