মুসলিম বিয়ে করবে - ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
কোনো খ্রীষ্টিয়ান ঘরের মেয়ে যদি কোনো মুসলিম ধর্মের ছেলের সংগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে, আর তাকে বিয়ে করতে মনস্থির করে থাকে, তাকে কিছু বলার আছে।
প্রথমত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী মেয়েদের একটি বিষয় তাদের জানানো প্রয়োজন ।
ইসলামে, মুসলিম পুরুষদের জন্য একজন খ্রীষ্টিয়ান নারিকে বিবাহের অনুমতি থাকে যদি সেই খ্রীষ্টিয়ান মেয়ে মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়ে করতে মুসলিম হয় তাহলেই।
তার মানে তোমাকে তোমার এতদিনের খ্রীষ্ট বিশ্বাস ত্যাগ করে মুসলিম হতে হবে।
ফলে তোমার খ্রীষ্টিয় পরিবার থেকে বিতাড়িত হতে হবে।
সমাজের কাছে কলঙ্কিত হতে হবে।
মা বাবা আত্মীয় স্বজনদের অভিশাপ নিয়ে সংসার শুরু করতে হবে।
ইসলাম ধর্মকে নতুন করে শিখতে হবে পালন করার জন্য।
তোমার আরো জানার আছে যে তুমি যদি একজন মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করো, জেনে রেখো তোমার মুসলিম স্বামীর অনুমতি আছে তোমাকে স্ত্রী হিসাবে রেখেও তার আরো তিনটি বিয়ে করার, অর্থাৎ তার চারটি স্ত্রী রাখার অনুমতি আছে, যেখানে তুমি হয়তো হবে ঐ চার জনের মধ্যে একজন ।
স্বামীর চার বিয়ের অধিকার আছে বলে তোমাকে সব সময় সতীনের ভয়ে থাকতে হবে।
খ্র্রীষ্টিয় জীবনে একাধিক বিয়ে করার কোনো অনুমতি নাই।
মনে রাখতে হবে একজন মুসলিম নারি কিন্তু কোনো খ্রীষ্টিয়ান পুরুষকে বিয়ে করার অনুমতি কখনই পায়না। খ্রীষ্টিয় জীবনযাপনকারি কোনো মেয়ে বা ছেলে অন্য ধম্বাবলীকে বিয়ে করার কোনো অনুমতি নাই।
আরো জেনে রেখে, তোমার মুসলিম স্বামী তোমাকে প্রহার করার তার অনুমুতি আছে যদি তুমি তোমার মুসলিম স্বামীর অবাধ্য হও।
খ্রীষ্টিয় জীবনে কোনো প্রকার প্রহার করার অনুমতি নাই।
এমনকি শরিয়া আইন অনুযায়ী তোমাকে তালাকও দিতে পারে।
তাদের তালাক প্রথা থাকায় তোমাকে সব সময় তালাকের ভয়ে থাকতে হবে।
খ্রীষ্টিয় মণ্ডলীতে তালাক দেওয়ার এমন বিধান নাই।
তালাকপ্রাপ্ত হলে পথে বসতে হয়, তা না হলে পতিতালয়ে যেতে হয়।
যেহেতু অভিবাবক পাশে থাকে না সেহেতু নানা অত্যাচারের স্বীকার হতে হয়।
কারণ তোমাকে তোমার সবাইকে ত্যাগ করতে হয় তাই তুমি নির্যাতিত হলে কোথাও আশ্রয় পাবে না। সবকিছু সহ্য করতে হয়, না হলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায়ও হয়তো থাকে না।
মুসলিম ছেলেরা খ্রীষ্টিয়ান মেয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী কারণ তোমাকে বিয়ে করলে তোমাকে যেকোনো অযুহাতে যে কোনো অবস্থায় তোমাকে তালাক দিতে সুবিধা হয় আর ইচ্ছে তোমাকে মতো খাটানো যায়।
তোমার প্রতিবাদ করার সুযোগ থাকে না।
তোমার মুসলিম স্বামীর পরিবারের সবাই তোমাকে উঠতে-বসতে . . খ্রীষ্টিয়ান মেয়ে, খ্রীষ্টিয়ান মেয়ে বলে তিরষ্কারও করতে পারে, যদিও তুমি মুসলিম হও।
কোনো খ্রীষ্টিয়ান মেয়েই মুসলিম ছেলেদের কাছে নিরাপদ নয়।
তোমার এতই প্রেম-ভালোবাসা যে একটা মুসলিম ছেলের জন্য তোমার স্বর্গ তুল্য পিতা মাতা যারা তোমাকে পৃথিবীর আলো দেখালো তাদেরকেই ত্যাগ করতে হলো তোমাকে, এটা তোমার কেমন ভালোবাসা প্রকাশ?
মুসলমান ছেলের
কাছে তুমি একজন খ্রীষ্টিয়ান মেয়ে হিসাবে পন্যের
মতো
কারণ তারা তোমাকে ব্যবহার ছাড়া সম্মান
দিতে জানে না।
আজ
অবধি
কোনো খ্রীষ্টিয়াম মেয়ে
কোনো মুসলমান ছেলেকে
বিয়ে
করে
সুখী
হতে পারেনি।
অবশেষে তাদের
ভয়াবহ পরিণতি হতে দেখা গিয়েছে।
যারা
পিতামাতা এবং নিজের খ্রীষ্টধর্ম
ত্যাগ
করে বিধর্মী বিয়ে করেছে তারা কখনোই
সুখী
হতে
পারে
না। তাদের মনে সব সময়ই একটা কষ্ট, একটা দুঃখ নিয়ে কাটাতে হয়।
তারা না হতে পারে স্বামীর পরিবারে আপন, আর না ফিরে আসতে পারে নিজের আত্মীয়স্বজনদের কাছে।
এখনো সময় আছে সাবধান হও অন্যকে সাবধান করো, আর ভূলেও এ পথে পা বাড়াবে না।
এ ব্যাপারে নিজে
সচেতন হও অন্যকে সচেতন করে তোল।
জগতের সকল খ্রীষ্টিয় দম্পত্তি সুখী হোক।
ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
একজন খ্রীষ্টিয়ানের কি তাকে বিয়ে করা কি উচিত, যিনি প্রভু যীশুর খ্রীষ্টের নন্।
বিষয়টি এখন বড় চিন্তার আর খুবই স্পর্শকাতর।
এ সম্পর্কে পবিত্র বাইবেল আমাদের সঠিক নির্দেশনা দেয়।
বাইবেলে করিন্থীয় পুস্তকে অবিশ্বাসীকে অর্থাৎ যিনি খ্রীষ্টের নন, যিনি প্রভু যীশুকে ভালোবাসেন না এরকম অসমভাবে জোয়ালিতে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করতে সাধু পৌল সতর্ক করেছেন, যেমন লেখা আছে . .
“তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরষ্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তরই বা কি সহভাগিতা?” ২ করিন্থীয় ৬:১৪ পদ।
তবুও সাধু পৌল আমাদের এ জগতের ভিন্ন বিশ্বাস, অধার্মিকতা, জড়জাগতিকতা, পৌত্তলিক চর্চাদের থেকে আমাদেরকে শুদ্ধ ও পবিত্র থাকতে বুঝিয়েছেন।
ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে অবিশ্বাসীদের যারা পাপে জীবন কাটাচ্ছে তাদের কি সম্পর্ক?
আলো কি করে অন্ধকারের সঙ্গে একত্রে থাকতে পারে?
একজন অবিশ্বাসীদের সঙ্গে অসঙ্গত সংসর্গের জোয়ালে নিজেকে আবদ্ধ করলে একজন বিশ্বাসীর জন্য ঈশ্বরের সাথে চলতে খুবই কঠিন হয় আর তাতে কিনা বিভিন্নভাবে পরিক্ষা, প্রলোভনে পরতে হয়।
আমরা প্রভুর কাছে প্রার্থনায় বারবার উচ্চরণ করি . .
“আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না বা পরীক্ষার সম্মুখীন হতে দিয়ো না অথবা পরিক্ষায় পড়তে দিয়ো না” মথি ৬:১৩ পদ।
কিন্তু অনেকে বিধর্মী, অবিশ্বাসীকে বিয়ে করায় তারা নিজের ইচ্ছায় চলছে।
যিনি কিনা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নন্, যিনি খ্রীষ্টের নয়, যিনি প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেন নাই, ভালোবাসেন নাই, সেই অবিশ্বাসীকে বিয়ে করায় অনেকে বিশ্বাসী হয়েও অসম-বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে, স্বামীস্ত্রী সম্পর্ক স্থাপন করছে।
বিয়ে করায় দু’জনে একাঙ্গ গঠন হয় নতুনভাবে।
আদিপুস্তক ২:২৪ পদ “. . তাহারা একাঙ্গ হইবে।”
এ জন্যে খ্রীষ্ট বিশ্বসীর কর্তব্য অবিশ্বাসীর সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে না চলা, কারণ এর ফলে বিশ্বাসীর আত্মিক জীবনের ক্ষতি হয়, এমনকি খ্রীষ্টের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
অবিশ্বাসীদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক, কারো সঙ্গে গোপনে বসবাস করা, ডেটিং করা, বিবাহ করা, ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব স্থাপন করা, ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কিছু বুঝায়।
অবিশ্বাসীদের সঙ্গে খ্রীষ্টিয়ানের সম্পর্ক বলতে, সামাজিক বা অর্থনৈতিক কারণে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু সম্পর্ক বজায় রাখা অথবা তাদেরকে আমার প্রভুর কাছে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় বন্ধুত্ব স্থাপন করা।
আপনি যখন খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহণ করেছেন তখন আপনাকে অন্ধকার রাজ্য থেকে ঈশ্বরের প্রিয় পুত্রের (আলোর) রাজ্যে আনা হয়েছে।
দেখুন : কলসীয় ১:১৩ পদ। “তিনিই (যীশু খ্রীষ্ট) আমাদিগকে অন্ধকারের কর্তৃত্ব হইতে উদ্ধার করিয়া আপন প্রেমভূমি পুত্রের রাজ্যে আনয়ন করিয়াছেন” আমেন !!
আপনার জীবনে ঐরকম একজন ছেলে বা মেয়ের সাথে আপনার গুরুত্বপূর্ণ জীবনের ভাগী হওয়াটা একেবারেই অসম্ভব যেখানে আপনার আত্মিক সম্পর্ক প্রভু যীশুর সাথে।
এছাড়াও আপনার যখন সন্তানসন্তুতি হবে তখন আপনারা (স্বামী ও স্ত্রী - বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী) মিলেমিশে অবস্থায় থাকাটা খুবই কঠিন হবে যখন আপনাদের সন্তানদের ছেলেবেলায় আত্মিক বিষয় শিক্ষাদীক্ষা দিতে ব্যবস্থা নিতে যাবেন।
তবুও বলছি যখন কোনো অবিশ্বাসীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে শুরু করেন আর আপনাদের এই সম্পর্কটা আরো ঘনিষ্ঠর দিকে যায়, তখন আপনি তাকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে, যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার সম্পর্কে তাকে জানাতে পারাটা একটা বড় সুযোগের সৃষ্টি হয়।
আমাদের দেশে আমরা খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা খুবই কম আর তাই বিয়ে করতে একজন খ্রীষ্টিয়ান ছেলে বা মেয়ে খুঁজে পাওয়াটা অনেক কষ্টের হয়, তাই আপনি যার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে ইচ্ছা করছেন তাকে আপনার চার্চের পাস্টরের কাছে নিয়ে আসতে পারেন আর এভাবে তাকে যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে শিক্ষা নিতে সুযোগ করে দিতে পারেন।
অবশ্য এটাও ঠিক যে কাউকে জোর করে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী করা যায় না আর এভাবে এতে অনেক সমস্যাও হয় যে। সে শুধুমাত্র আপনার কারণেই আপনাকে পাবার জন্যই খ্রীষ্টিয়ান হলেন, কিন্তু তার মনে অবিশ্বাসটা থেকেই যায়।
প্রার্থনা করুন যেন পবিত্র আত্মা এ বিষয়ে আপনাকে পরিচালিত করুন আর যীশু খ্রীষ্টের উপর যেন আপনি আস্থা রাখতে পারেন।
আপনি কি নির্ভরযোগ্য বলে ঈশ্বরের বাক্যেকে বিশ্বাস করেন যখন আপনার জীবনে স্পর্শকাতর বিচার্যবিষয় বলে আরো বেশী গুরুত্ব পায়?
আপনি কি আপনার জীবনে সমস্ত ক্ষেত্রে পিতা ঈশ্বরের উপর আস্থা, ভরসা ও নির্ভর করেন?
আপনি কি আপনার প্রভুর পথে পরিচালিত করতে তাঁর উপর আস্থা রাখেন যিঁনি আপনার সমস্ত দিক থেকে তিনিই উত্তম।
বাইবেলে কয়েকটি পদ তুমি দেখুন :
হিতোপদেশ ৩:৬-৮ পদ;
গীতসংহিতা ৩২:৮-১১ পদ;
গীতসংহিতা ৯৫:৭-১১ পদ।
বাইবেলের এসব পদগুলো সব একই কথা বলে যে ঈশ্বরের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখা আর এতেই আপনার সত্যিকারে আনন্দ পাওয়া।
শেষে একটা কথা বলি: খ্রীষ্টিয়ানদের বিবাহ - খ্রীষ্ট এবং মণ্ডলীর মধ্যে সেই সম্পর্কেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী আর অন্যজন যিনি খ্রীষ্টের নয় অর্থাৎ অবিশ্বাসী, তাদের মধ্যে বিবাহে এই প্রতিনিধিত্ব হয় না।
সাধু পৌল আমাদের খ্রীষ্টিয় বিবাহের স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছেন যে . .
“নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বশীভূত হও। কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক, তিনি আবার দেহের ত্রাণকর্তা। কিন্তু মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বশীভূত, তেমনি নারীগণ সর্ববিষয়ে আপন আপন স্বামীর বশীভূত হউক। স্বামীরা তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন” ইফিষীয় ৫:২২-২৫ পদ।
যদি আপনার স্বামী একজন খ্রীষ্টিয়ান না হন, তাহলে . .
১ পিতর ৩:১ পদ অনুসরণ করুন “আচার ব্যবহার” শব্দটি “জীবনের রীতি, কার্যের ধারা ধার্মিক, ঈশ্বরভক্তি” অর্থপ্রকাশ করে।
লক্ষ্য করুন : আপনার স্বামী যিনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নন্ তার অবাধ্য হতে সেরকম এমন কিছুই প্রকাশ করবেন না, এমনকি এর অর্থ চার্চে যাওয়া, মণ্ডলী সভা, উপসনায় আসার সুযোগ হারাতে গেলেও তার অবাধ্য হওয়া নয়।
একান্ত আগ্রহে প্রার্থনা করুন যেন ঈশ্বর তাকে স্থির ব্যবস্থা করেন।
বাইবেলকে কখনই তার “মুখের উপর” জিদ করে ঠেলে দেবেন না।
এর পরিবর্তে উপরের উল্লেখ করা শাস্ত্রের দৃষ্টান্ত, আদর্শ অনুসরণ করে তাকে সুসমাচারে জীবনযাপনে চলতে চেষ্টা করুন।
আন্তরিকতায় তার জন্য প্রার্থনা করুন আর তাকে ভালোবাসুন।
আপনার স্বামীকে আপনার আত্ম-সাক্ষ্যের মাধ্যমে তাকে মণ্ডলীতে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ করে দেবার জন্য প্রভুর কাছে যাচ্ঞা করুন।
১ করিন্থীয় ৭:৪,৫ স্ত্রী স্বামীকে বঞ্চিত না করুক।
তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, কোনো একজন খ্রীষ্টবিশ্বাসী, স্বামী অথবা স্ত্রী যদি অন্য ধর্মীয় কোনো মহিলা বা পুরুষের সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে যুক্ত হয়, তিনি তার “শান্তি” হারিয়ে ফেলেন না।
বরং তার শান্তি তার বিয়ে করা ভিন্ন ধর্মীয় স্ত্রী অথবা স্বামীকে তার শান্তির স্পর্শ দেয়।
শান্তিতেই তারা সংসারধর্ম পালন করতে পারে।
তবে এ ক্ষেত্রে খ্রীষ্ট-বিশ্বাসী শান্তিরদূত হিসাবে কাজ করতে হবে।
তবে হ্যাঁ, এ বিষয়ে সাবধানতার প্রয়োজন আছে।
খ্রীষ্ট-বিশ্বাসী নয়, যদি এমন কোনো স্বামী বা স্ত্রী খ্রীষ্টের শান্তি গ্রহণে ইচ্ছুক নয়, তাহলে তাকে জোর করে খ্রীষ্টের শান্তির আশ্রয়ে আনা যায় না। তাতে শান্তি নয়, বরং অশান্তিই হবে। শান্তি বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
যদি কেউ শান্তির প্রয়োজনীয়তা না বোঝে, তাকে জোর করে শান্তি চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
শান্তি আসবে, বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে, বোঝাপড়া আসে ন্যায়বিচারে মাধ্যমে, ন্যায়-বিচার আসে পক্ষপাতিত্বহীনতার অনুভূতির জন্য, আর পক্ষপাতিহীনতা আসে ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে।
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রকৃত ভালোবাসা থাকে, তাহলে একে অন্যকে শান্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
একজন খ্রীষ্ট-বিশ্বাসীকে অবশ্যই খ্রীষ্টানুসারী হতে হয়।
কারণ একজন খ্রীষ্টানুসারী-ই বুঝতে পারে, খ্রীষ্ট তাকে কেন আহ্বান করেছেন এবং তাকে কোন্ পথে চলতে বলছেন।
যে-কোনো খ্রীষ্টানুসারী বুঝতে পারবেন যে, খ্রীষ্ট তাকে শান্তির জন্য ও শান্তিময় পথে চলার জন্যই আহ্বান করেছেন।
যখন একজন খ্রীষ্ট-বিশ্বাসী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, সেই বন্ধন আসলে শান্তির বন্ধন।
নিজে শান্তিতে থাকা, আর অন্যকে শান্তির পথে চলতে সাহায্য করার আহ্বান।
পরিতাপের বিষয় যে আজ অনেক খ্রীষ্টীয় পরিবার খ্রীষ্ট-বিহীন পরিবারে পরিণত হয়েছে, কারণ সেখানে খ্রীষ্টের কোনো স্থান নেই।
খ্রীষ্টের উপস্থিতি ও শান্তির প্রয়োজনীয়তা তারা উপলব্ধি করলেও খ্রীষ্টের কাছে তাদের সময় নেই।
এই দুরাববস্থা যেন আমাদের না হয়।
Comments