Posts

“মরিবার যোগ্য”

“মরিবার যোগ্য” আজ থেকে দুহাজার বছরেরও আগে মানুষ চিৎকার করে বলতে থাকল . . “মৃত্যুই এর উপযুক্ত শাস্তি” বাইবেলে লেখা আছে যে , . . যদি কোনো লোক মৃত্যুর শাস্তি পাবার মতো কোনো দোষ করে থাকে , তাকে হত্যা করে গাছে টাংগিয়ে রাখা হয়। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তার লাশ গাছে টাংগিয়ে রাখা চলবে না। সেই দিনেই তাকে কবর দিতে হবে , এটাই আদেশ। যাকে এভাবে গাছে টাংগিয়ে হত্যা করা হয় , . . সেই লোকটি ঈশ্বরের অভিশপ্ত। সম্রাট তাদের বললেন, তাহলে যাকে মসিহ্ বলে সেই যীশুকে নিয়ে আমি কি করব? তাদের চিৎকার . . “ উহাকে ক্রুশে দেও , উহাকে ক্রুশে দাও ”   সম্রাট আবাবো বললেন, “কেন, সে কি দোষ করেছে?   এতে তারা আরও বেশী চিৎকার . . ওকে ক্রুশের দেওয়া হোক। ভাববাদি যিশাইয় আগেই বলেছেন, তিনি কোনো অনিষ্ট করেননি কিংবা তাঁর মুখে কোনো ছলনার কথা ছিল না, তবুও দুষ্টদের সংগে তাকে কবর দেওযা হলো। প্রেরিতশিষ্য পিতর বলেছেন, কোনো পাপ যীশু করেননি, তাঁর মুখে কোনো ছলনার কথা ছিল না, লোকেরা তাঁকে যখন অপমান করেছে তখন তিনি তাদের ফিরে অপমান করেননি, কষ্টভোগের সময় প্রতিশোধ নেবার ...

পোপ সম্পর্কে কাথলিক শিক্ষায় যা বলে।

Image
লেটিন ভাষা থেকে “papa” শব্দটি এসেছে, যার অর্থ father.  আবার জানা যায় যে পোপ শব্দটি গ্রিক ভাষা “পাপাস” (Papas) থেকে নেয়া হয়েছে যার অর্থ ”পিতা”।  আরেক অর্থে “pontiff” এর অর্থ সেতু প্রস্তুতকারক, এই জীবন এবং পরবর্তী জীবনের মধ্যে সংযোগকারী।  এরপর তার উপাধি হলো “vicar of Christ” অর্থাৎ খ্রীষ্টের প্রতিনিধি, নামত এবং সমগ্র মণ্ডলীর একজন পালক হিসাবে সার্বজনীন মণ্ডলীর উপর তার অধিকার ও ক্ষমতা আছে, এই একজনই যার ক্ষমতা আছে।  তিনি মণ্ডলীর প্রধান, প্রৈরিতিক রাজা, চাবিরক্ষক, বিশপদের প্রধান, পালকদের প্রধান, সত্যের সার্বজনীন শাসক, অভ্রান্ত শাসক, সমস্ত খ্রীষ্টিয়ানদের পিতা, সার্বজনীন মণ্ডলীর গুরু, রাজা রাজাদের পিতা, সমগ্র জগতের শাসক,  ঈশ্বরের পুত্রের স্থলবর্তী, প্রৈরিতিকদের রাজার উত্তরসূরী, ভাটিকান নগরের সার্বভৌম ক্ষমতাধর, ইটালির আর্চবিশপ, পোপ যিনি খ্রীষ্টের প্রতিনিধি তিনি সাধু পিতরের উত্তরাধিকারী এবং মণ্ডলীর দৃশ্যত প্রধান।  তিনি খ্রীষ্টের স্থান গ্রহণ করেছেন। পোপেরা বলেন তাদের শিক্ষা, মতবাদ, মতধারা, প্রথা যাকিনা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা আছে যা জনগণকে পালনে রাজি হতে হয়।  যখন প...

ঈশ্বর কি মারা গেছেন?

  “ঈশ্বর কি মারা গেছেন? যীশুই ঈশ্বর আর তিনি মারা গেলেন, তার মানে কি আপনাদের ঈশ্বর মারা গেছেন?” যীশু ক্রুশে মারা গেলে তো ঈশ্বর মারা গেলেন?” এমন প্রশ্নের সম্মুখীন কি আপনি কখনো হয়েছেন? কীভাবে এমন প্রশ্নের উত্তর আপনি দিলেন? উত্তরটি নির্ভর করে আমরা কীভাবে মরা অর্থাৎ মৃত্যু শব্দের অর্থ বুঝতে পারি তার উপর। মরে যাওয়া মানেই আমাদের অস্তিত্ব চলে যাওয়া নয়। মৃত্যু হলো বিচ্ছেদ। দৈহিকভাবে মৃত্যু হলো প্রাণ-আত্মা দৈহিক দেহ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া। তাই, সে অর্থে হ্যাঁ, ঈশ্বর মারা গিয়েছিলেন, কারণ যীশু মানবরূপে ঈশ্বর ছিলেন এবং যীশুর প্রাণ-আত্মা তাঁর দেহ থেকে পৃথক হয়েছিলেন। “সিরকা গ্রহণ করিবার পর যীশু কহিলেন, ‘সমাপ্ত হইল’ পরে মস্তক নত করিয়া আত্মা সমর্পণ করিলেন।” যোহন ১৯:৩০ পদ)। যাহোক, যদি “মৃত্যু” দ্বারা আমরা “অস্তিত্বের অবসান” অর্থাৎ অস্তিত্বের শেষ বুঝাই, তাহলে, না, ঈশ্বর মারা যাননি। সে অর্থে ঈশ্বরের “মৃত্যু” হওয়ার অর্থ হলো তিনি অস্তিত্ব নিবৃত্ত করেছেন, এবং পিতা বা পুত্র বা পবিত্র আত্মা কেউই অস্তিত্বহীন হবেন না। পুত্র, ত্রিত্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি, দেহ ত্যাগ করেছিলেন তিনি অস্থায়ীভাবে পৃথিবীতে বাস করেছিলেন, ক...

বড়দিনে আপনার প্রতিক্রিয়াটা কী?

Image
“হে স্বামিন, এখন তুমি তোমার বাক্যনুসারে তোমার দাসকে শান্তিতে বিদায় করিতেছ, কেননা আমার নয়নযুগল তোমার পরিত্রাণ দেখিতে পাইল”  (লূক ২:২৯-৩০ পদ) বড়দিনে সত্যিকারের আনন্দের বিষয় হলো যে, দু’হাজার বছর আগে বৈলেহমে শিশু যীশু জন্মগ্রহণ করেছেন। আমরা যখন যীশুর জন্মের সেই ঘটনা পাঠ করি, তখন আমাদের মধ্যে তিনটি বিষয় প্রকাশ পায়। প্রথম বিষয়টা হলো, যোষেফ গোপনে মরিয়মকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। যোষেফ ও মরিয়ম একটা নিরাপদ আর সুন্দর স্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন যেখানে শিশু জন্মগ্রহন করতে পারেন আর সেখানে পান্তশালার মালিকের একটা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়।  পান্তশালার মালিকের মনে যোষেফ/মরিয়মের সাথে কোনো শত্রুতা ছিল না তারা তাদের কোনো রিরোধিতা করেনি, কিন্তু পান্তশালাগুলো ছিল অত্যন্ত ভীর, অনেক চাপ।  পান্তশালাগুলো/হোটেলগুলো এতোটাই চাপে ছিল যে, যোষেফ/মরিয়মের জন্য তারা কিছুই করতে পারছিল না। এই হলো সেরকমই একটা প্রতিক্রিয়া বা মনোভাব যা আজ কোটি কোটি মানুষের তাই হচ্ছে। বৈথলেহমের পান্তশালার মালিকের মতো আজও খ্রীষ্টের জন্য স্থান দিতে পারছে না।  মানুষের হৃদয়ে সব স্থানে গাদিগাদি স্বার্থের আগ্রহটাই বেশী দেখা ...

বড়দিনে খ্রীষ্টকে একবার জানুন!

Image
মানবজাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ দু’টি ঘটনা - যীশু খ্রীষ্টের জন্ম ও তাঁর মৃত্যু, পুনরুত্থান। বড়দিন কখনই জগতের কোনো জাতীয় নেতাদের জন্ম হওয়া নয়, বড়দিন কখনই ধর্মীয় কোনো গুরুদের জন্ম হওয়া নয়, বড়দিন কখনই রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তিদের জন্ম হওয়া নয়,  যারা তাদের জন্মের পর বড় বড় অর্জন করেছেন আর কিনা মৃত্যুবরণ করেছেন। বড়দিন একেবারেই  বিশেষ, কারণ এটি এমন একজন ব্যক্তিকে স্মরণ করা, যিঁনি নাসারতীয় যীশু খ্রীষ্ট, যিনি ২০০০ বছরেরও আগে এ ভূবনে এসেছিলেন আর এখনো তিনি জীবিত আছেন। তাঁর জন্মগ্রহণে - রাজাদের ভয়ে কাপিয়ে দিয়েছিল, রাজারা ক্রধে উত্তেজিত হয়েছিল। তাঁর ফুঁতে - শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করছিল। তাঁর কাপড়ের একটি কোনার স্পর্শে - ১২ বছরের ব্যাধি মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়েছিল। তাঁর থুতুতে - জন্মান্ধের চোখ খুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রার্থনায় - ৫টি রুটি, ৫০০০ রুটিতে পরিণত হয়েছিল। তাঁর দৃষ্টিতে - সাধারণ একজন মাছধরা জেলে ক্ষমতাশালী প্রেরিতশিষ্যে গঠন হয়েছিল। তাঁর উপস্থিতে - মন্দ আত্মার বাহিনিরা বিরক্ত হয়েছিল, নিদারুণ যন্ত্রণা পেয়েছিল। তাঁর সুবুদ্ধি এবং বিচক্ষণতায় - আইন প্রণয়নকারী পণ্ডিতব্যক্তিরা হতবুদ্ধি হয় পরিছিল...

বাপ্তিস্ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা - বাপ্তিস্ম সম্পর্কে বাইবেল কী শিক্ষা দেয়?

Image
Baptism : The Facts Are Clear. by Michael R. Dixon শাস্ত্রানুসারে, বাইবেলে আছে :  “প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক”  ইফিষীয় ৪:৫ পদ। আজকের দিনে বাপ্তিস্ম সম্পর্কে এদিক সেদিক অনেক রকম অনেক কিছুই বলা হয়। অনেকে বলেন, বাপ্তিস্ম আপনাকে পাপ থেকে মুক্তি দেয়; অনেকে বলেন, ‘যীশু’ এবং এর সঙ্গে ‘বাপ্তিস্ম’ যুক্ত হয়ে আপনাকে পাপ থেকে মুক্তি দেয়। অনেকে বলেন, বাপ্তিস্ম পাপ ধুয়ে দেয়। এ ছাড়াও অনেকে বলেন, বাপ্তিস্ম আদি (?) পাপ ধুয়ে দেয়। আর যা-ই হোক না কেন বাইবেল কী বলে? একজন ব্যক্তি তাহলে সত্য কীভাবে জানতে পারে? সহজ সরলভাবে সত্য বাইবেলের কাছে যান, পাঠ করুন আর দেখুন বাইবেল কী বলে। এই পুস্তিকাটির উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরের বাক্য থেকে বাইবেলের সত্য প্রমাণ করা। কারো বিশ্বাসকে কোনো অবস্থাতেই ঠাট্টা বা মজা করার উদ্দেশ্যে নয়। আমার উদ্দেশ্য হলো বাইবেল কী বলে তা ঠিকভাবে দেখানো। এ কথাও ঠিক যে অনেকে অসন্তুষ্ট হবেন। কিন্তু তারা বিবেচনা করে দেখবেন যে, বাইবেল যা বলে তা তারা গ্রহণ করবেন কি না কিংবা বাইবেল যা বলে তা তারা অস্বীকার করতে পারবেন কি না! বাইবেলই হলো নির্ভরযোগ্য জ্ঞান বা কর্তৃত্বকারী। এই পুস্তিকাটির সর্ব...