একজন পালকের অভিজ্ঞতা যদি এমন হয় - আজ কোনো মণ্ডলী কি তাকে পালক হওয়ার জন্য গ্রহণ করবে??


একটি মণ্ডলীর পালক না থাকায় কারণে একজন পালকের খুবই প্রয়োজন হলো।
মণ্ডলীর পরিচারকেরা পালক নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তী দিলেন।
বিজ্ঞপ্তী অনুযায়ী একটি আবেদন পরিচারক কমিটির কর্তাবাবুকে উল্লেখ করে পাঠানো হলো।
কর্তাবাবু মণ্ডলীর প্রচারক নিয়োগ সভায় আবেদনটি পাঠ করলেন।

ঐ প্রচারকের আবেদন পত্রটির লেখা আবেদনটি ঠিক এরকম -

 ভদ্র মহোদয়,
“জানতে পারলাম আপনাদের মণ্ডলীর জন্য পালকীয় পদটি খালি রয়েছে আর আমার উচিৎ শুন্য পদটির জন্য আবেদন করা।
আমার অনেক যোগ্যতা রয়েছে আর আমি মনে করি আপনি আমার যোগ্যতার মর্যাদা দেবেন।
আমি প্রভুর আশির্বাদে সুসমাচার প্রচার করায় এবং লেখায় সাফল্য লাভ করেছি।
অনেকে বলে আমি একজন ভালো সংগঠক।
আমি যেসব স্থানে গিয়েছি অধিকাংশ স্থানেই আমি একজন নেতাই ছিলাম।

আমি বয়স ৫০ বছরের কিছু বেশী মনে করি।
যাহোক, কিছু জনসাধারণ আমার কিছু কিছু বিষয়ে বিরোধীতা করে আসচ্ছে।
একনাগারে এক স্থানে আমি তিন বছরের বেশী কখনও প্রচার করিনি।
আমার কাজের জন্য পরবর্তীতে দাঙ্গা, গোলমাল ও বিক্ষোপের কারণে কোনো কোনো স্থান আমাকে ত্যাগ করতে হয়েছে।
তিন চারবার আমাকে জেলে ঢোকান হয়েছে, কিন্তু আসলে ঠিক তেমন কোনো কুকর্মের জন্য নয়।
আমার স্বাস্থ্য তেমন ভালো নয়, কিন্তু আমি ভালোই চালিয়ে নিতে পারি।
আমার নিজের জীবিকার জন্য মাঝে মাঝে আমার নিজের কাজ চালিয়ে নিতে হয়েছে।
ছোট ছোট মণ্ডলীতে আমার প্রচার করতে হয়েছে, যেগুলো বেশ বড় বড় শহরের অবস্থিত।
বিভিন্ন যেসব জায়গায় আমি প্রচার করেছি সেই শহরের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আমার নিজের তেমন একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না।
তাদের অনেকে আমাকে ভয় দেখিয়েছে আমাকে কোর্টে নিয়েছে ও শারীরিক নির্যাতনও করেছে।

আমি রেকর্ড সংরক্ষনে তেমন ভালো নই।
আমার জানা মতে কয়েকজনের নাম স্মরনে ছাড়া আর মনে নাই যে কাকে কাকে আমি বাপ্তিস্ম দিয়েছি।
সে যাহোক, যদি আমাকে আপনাদের মণ্ডলীতে পালকীয় দ্বায়িত্বের সুযোগ দেওয়া হয়, আমার সাধ্যমত আপনাদের জন্য ভালো কিছু করব, এমনকি আমার নিজের জীবিকার জন্য আমি ফাঁকে ফাঁকে কিছু কাজ করব।
ও হ্যা, আমি শাস্ত্রচর্চা করেছি কিন্তু থিওলোজী পাশের কোনো সার্টিফিকেট আমার নেই, কিন্তু খ্রীষ্টের আহ্বান আমার আছে।”

কমিটি কর্তাটি পরিচারক সভায় আবেদন পত্রটি পড়ে শোনালেন ও এবিষয়ে সকলের মতামত জানতে চাইলেন যে তারা এই আবেদনকারীর প্রতি আগ্রহ আছে কি না?

তখন কমিটির সকলে উত্তর দিল, তারা কখনই এ ধরনের লোককে তাদের মণ্ডলীতে গ্রহণ করবে না।
তারা কখনই স্বাস্থ্য খারাপ, বির্তকিত, সমস্যা সৃষ্টিকারী, অন্যমনস্ক স্মরনে রাখতে পারে না, সার্টিফিকেট নাই, জেলখাটা ব্যক্তির প্রতি কোনো আগ্রহ নাই।
আসলে তাদের কাছে এই আবেদন পত্রটি তুলে ধরার জন্য সবাই খুব অপমান বোধ করল।

যাহোক, কমিটি এই ব্যক্তির নাম জানতে চাইল। এর ফলে সেই পরিচারক উত্তর দিলেন আবেদনকারী “প্রেরিত পৌল”।
- সংগ্রহ/অনুবাদ -

আজ অনেকের ঈশ্বরের পক্ষে সাক্ষ্য ও প্রচার করার জন্য অনেক মণ্ডলীতে সুযোগ না থাকলেও তারা থাকেন সকলের জন্য উদ্বিগ্ন। তারা মণ্ডলীর সদস্য-সদস্যাদের, নেতাদের সন্তষ্ট করার জন্য প্রচার করেন না; স্বার্থ ও লোভের চিন্তায়, ছলনায় বা অন্য কোনো বিশেষ ইচ্ছায় তারা প্রচার করেন না, তারা মানুষদের কাছে সম্মান পাবার জন্য প্রচার করেন না।

এদের শিক্ষা ভ্রান্তি বা অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, কিন্তু ঈশ্বর তাদেরকে যোগ্য করে, বিচার-বিবেচনা করেই তাদের উপর সুসমাচার প্রচারের ভার রাখেন যেন ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।

১থিষলনীকীয় ২:১-৬ পদ

এনারা কারো কাছে সুসমাচার প্রচারে কখনো লজ্জিত হন না (রোমীয় ১:১৬ পদ)।

খ্রীষ্টের পরিচর্যায় দঃখভোগ, অপমান, অনিদ্রায়, ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায় থাকলেও আজও তাদের রয়েছে প্রতিদিন সমস্ত মানুষের জন্য চিন্তা।

২ করিস্থীয় ১১:২৩-২৮ পদ 

যারা প্রভুর নামে ডাকে তারা পরিত্রাণ পায়, কিন্তু কেমন করে তারা ডাকবে যদি প্রভুকে বিশ্বাস না করতে পারে, কেমন করে তারা বিশ্বাস করবে যদি প্রভুর কথা না শুনতে পায়, কেমন করে তারা শুনবে যদি প্রচারকদের সুসমাচার প্রচার না থাকে।

যারা ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের সুসংবাদ প্রচার করে তাদের চরণ কতা না সুন্দর

রোমীয় ১০:১৩-১৫ পদ। 

ধন্য ঈশ্বরের লোক। আমেন। 

Comments

Popular posts from this blog

উপবাস - বাইবেলের আলোকে উপবাস

প্রতিমা পূজা এমনকি মূর্তি সম্পর্কে বাইবেল কী বলে? What does the Bible says about idolatry or even image?

ঈশ্বর কেন মানুষ সৃষ্টি করেছেন?