শুধু কি ধর্ম পরিচয়েই “খ্রীস্টিয়ান”? আর কোনো কিছুতে নয় ??
শুধু কি ধর্ম পরিচয়েই “খ্রীস্টিয়ান”? আর কোনো কিছুতে নয় ??
বিষয়টি চিন্তার !!
বিষয়টা আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটা চ্যালেঞ্জস্বরূপ।
কারণ আজকাল খ্রীস্টিয়ান কথাটা বলতে গেল একেবারে শিথিল হয়ে গিয়েছে, এর গুরুত্ব একেবারে হাল্কা হয়ে যাচ্ছে, মনে হয় খ্রীস্টিয়ান কথাটার তেমন আমল দেওয়া হচ্ছে না, এর গুরুত্ব নেই।
আমার “হাজরা” গুষ্ঠির একজন সন্তান, তার আর “হাজরা” পদবী/গুষ্ঠি” পরিচয় দিতে ভালো লাগে না, তার কাছে এটা “চারাল” তাই এটা বদলাতে চায়।
আপনি দেখুন আপনার গুষ্ঠি/পদবী পরিচয়ের কথা, সন্তানদের কাছে যেন সেকেলে।
পূর্বপুরুষদের থেকে চলে আসা গুষ্টি/পদবী পরিচয় আপনার সন্তানেরা হয়তো পছন্দ আর না-ও করতে পারে।
কারণ এসব গুষ্ঠি/পদবীর পেছনে একটা কারণ থাকে, পূর্ব পুরুষদের পেশাগত কারণে, দক্ষতার কারণে, আর অনেকটা এসব উপাধিও বটে। পরম শ্রদ্ধেয় পূর্ব পুরুষেরা এসব পরিচয় মেনে নিয়েছিলেন, গ্রহণও করেছিলেন কারণ তারা তা-ই আর তা তাদের জন্য এসব সম্মানের পরিচয়।
যদিও আমরা আর তাদের সেসব পেশায়/দক্ষতায় এখন আর নই।
যাহোক আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।
তবে আমার কথা হলো যে অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় একটি পরিচয় দেবার জন্য খ্রীস্টিয়ান শব্দটা কাজে লাগানো হচ্ছে, পূর্ব পুরুষদের ধর্মীয় পরিচয় থেকে।
কিন্তু অনেক জানেন না যে কেন তাদের এই পরিচয়, আর এতে কী বহন করছে।
যাহোক খ্রীস্টিয়ান কথাটার অর্থ ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল থেকে আমরা একেবারে নির্ভূল ও সঠিক ব্যাখ্যা পাই।
বাইবেল অনুযায়ী একজনকে খ্রীস্টিয়ান পরিচয় দিতে গিয়ে এর সঙ্গে অন্যান্য আরো চারটি নাম বা খেতাবের আলোকে খ্রীস্টিয়ান হওয়ার অর্থ যে কী হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু দিন আগে আলোচনা করেছি।
যাহোক কিছুটা বলি . . যে . .
তারাই খ্রীস্টিয়ানে পরিচিত . .
- যারা খ্রীস্টের শিষ্য (আপনি কবে থেকে, কীভাবে তাঁর শিষ্য)
- যারা খ্রীস্ট বিশ্বাসী (আপনি কবে থেকে, কেন, কীভাবে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী)
- যারা আত্মিক নতুন জন্মপ্রাপ্ত (আপনি কবে, কী অবস্থায় নতুন জন্ম গ্রহণ করেছেন, যা রক্তমাংসে নয় কিন্তু আত্মিকভাবে জন্ম)
- যারা এ জগতে প্রবাসী (কীভাবে বুঝতে পেরেছেন যে আপনি প্রবাসী আর আপনার অনন্ত বাস কোথায়, আপনার শেকড় কোথায়)
“তখন আগ্রিপ্প পৌলকে কহিলেন, তুমি অল্পেই আমাকে খ্রীষ্টিয়ান করিতে চেষ্টা করিতেছ” (প্রেরিত ২৬:২৮ পদ)।
আমরা অল্পতে খ্রীষ্টান হতে পারি না কখনো।
Comments