Posts

Showing posts from 2022

নবিরা কী বলেছেন শুনুন . .

Image
খোদার বিধি-বিধান আমাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য, সামনে বিচার আসছে সে বিষয়ে সতর্ক করার জন্য এবং আমাদের নাজাত পাবার উপায় জানানোর জন্য খোদার থেকে তাঁর বার্তাবাহকদের আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। যারা তাদের নিজেদের সতর্ক হওয়া সম্পর্কে লক্ষ্য করেন এবং খোদার দেওয়া নাজাত গ্রহণ করেন তারা খোদার বেহেশতে জিন্দেগী অর্থাৎ অনন্ত জীবন পায়।  কিন্তু যারা নবিদের কথা গুরুত্ব দেয় না বা তাদের কথা প্রত্যাখ্যান করেন তারা অনন্তকাল দোজখের আগুনে ধ্বংস হয়। নবি মূসা তুর পাহাড় থেকে দশটি বিশেষ হুকুম নিয়ে নেমে এলেন যা কিনা খোদা তাকে দিয়েছেন।  এসব হুকুম প্রকাশ করে যে খোদা হলেন পাক খোদা এবং তিনি আমাদের কাছ থেকে আশা করছেন আর চাইছেন যেন আমরা তাঁর হুকুমের বাধ্য থেকে তা পালন করি। খোদার দেওয়া সেসব হুকুমগুলো বিবেচনা করুন, একবার তা গুরুত্ব দিয়ে দেখুন - হিজরত ২০:৩-১৭ আয়াত। ১। আমার জায়গায় কোনো দেবতাকে দাঁড় করাবে না। ২। পূজার উদ্দেশ্যে তোমরা কোনো মূর্তি তৈরি করবে না। ৩। কোনো বাজে উদ্দেশ্যে তোমরা তোমাদের মাবুদ খোদার নাম নেবে না। ৪। বিশ্রামবার পবিত্র করে রাখবে এবং তা পালন করবে। ৫। তোমার পিতা-মাতাকে সম্মান করে চলবে। ৬। খুন কোরো

খ্রীষ্টের উৎসবে পিছনে ফিরে সেই খ্রীষ্টকে দেখুন

Image
যীশু খ্রীষ্টের জন্ম কখনই . . কোনো জাতীয় নেতাদের মতো নয়, কোনো ধর্মীয় গুরুদের মতো নয়, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতো নয়। কোনো বড় অর্জন করা সেই ব্যক্তিদের মতো নয়।  যারা কিনা জন্মেছিলেন তাদের মৃত্যুতেই সব শেষ। যীশু খ্রীষ্টের জন্ম হওয়া অত্যন্ত বিশেষ জন্ম, কারণ এই জন্ম তাঁরই জন্ম হওয়া সেই নাসারতীয় যীশু খ্রীষ্ট যিনি ২০০০ বছরেও আগে এ ভূবনে এসেছিলেন আর এখনো জীবিত আছেন। তাঁর জন্মগ্রহণে - রাজাদের ভয়ে কাপিয়ে দিয়েছিল তাঁর ফুঁতে - শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করলেন তাঁর কাপড়ের একটি কোনার স্পর্শে - ১২ বছরের রোগ মুহুর্তেই অদৃশ্য হয়েছিল তাঁর থুতুতে - জন্মান্ধ চোখে দেখতে পেল তাঁর প্রার্থনায় - ৫টি রুটি, ৫,০০০ রুটিতে পরিণত হলো তাঁর দৃষ্টিতে - সাধারণ একজন মৎসজীবী ক্ষমতাশালী প্রেরিতশিষ্যে গঠন হলেন তাঁর উপস্থিতে - মন্দ আত্মার বাহিনিরা যন্ত্রণা পেল তাঁর সুবুদ্ধি এবং বিচক্ষণতায় - বহু বিধি-বিধান বিভ্রান্ত হয়েছিল। তাঁর স্পর্শে - কুষ্ঠরুগী শুচি হয়েছিল। তাঁর মৃত্যু - কবর খুলে গিয়েছিল এবং অনেকে মৃত্যু থেকে উঠে এসেছিল। তাঁর ক্ষত - সমস্ত অসুস্থতা সুস্থ্য হয়েছিল তাঁর উৎসর্গে - মন্দিরের পরদা ছিঁড়ে ভাগ ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তাঁ

মণ্ডলীতে মহিলা পাস্টর/পালক কি বাইবেল ভিত্তিক?

মহিলা পাস্টর/পালক সম্পর্কে খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে তর্ক হতে দেখা যায়। হ্যাঁ সেজন্য এর স্পষ্ট উত্তর খুবই প্রয়োজন। বিতর্ক শেষ করার জন্য এ বিষয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছা কী তা প্রমাণ করার উপায় আছে। রোমীয় ১২:২ পদে বলে, “আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনে নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও, যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।” ইফিষীয় ৫:১৭ পদ, “এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ।” “যদি সরল অর্থ সাধারণ জ্ঞানে বুঝতে পারা যায়, তাহলে অন্য কোনো অর্থের সন্ধান করবেন না তাতে সবকিছু ফালতু বা অর্থহীন হয়ে যায়।” (If the plain sense makes common sense, seek no other sense lest it all becomes nonsense) “তোমার বিশ্বাসগুলোকে বিশ্বাস কর এবং সন্দেহগুলোকে সন্দেহ কর। কখনো তোমার সন্দেহগুলোকে বিশ্বাস করো না এবং বিশ্বাসগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখো না” (Believe your beliefs and doubt your doubts. Never commit the blunder of believing your doubts and doubting your beliefs) আজকের প্রশ্ন হলো, মণ্ডলী পরিচালনায় পাস্টর কিংবা পরিচারক পদে মহিলাদের অবস্থান কি বাইবেল ভ

খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য সতর্কতা - অন্য কোনো সুসমাচারে বিশ্বাসী কি না যাচাই করুন

  খ্রীষ্টিয়ানদের জন্য সতর্কতা - অন্য কোনো সুসমাচারে বিশ্বাসী কি না যাচাই করুন সাধু পৌলের পরিত্রাণপ্রাপ্ত হবার পর বিশ্বাসীদের জীবন সম্পর্কে সাধু পৌলের সাবধানতা, যা তিনি গালাতীয় ১:৮-৯ পদে বলেছেন, “কিন্তু আমরা তোমাদের নিকটে যে সুসমাচার প্রচার করিয়াছি, তাহা ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেহ প্রচার করে Ñ আমরাই করি, কিংবা স্বর্গ হইতে আগত কোন দূতই করুক Ñ তবে সে শাপগ্রস্ত হউক। আমরা পূর্বে যেরূপ বলিযাছি, তদ্রƒপ আমি এখন আবার বলিতেছি, তোমরা যাহা গ্রহণ করিয়াছ, তাহা ছাড়া আর কোন সুসমাচার যদি কেহ তোমাদের নিকটে প্রচার করে, তবে সে শাপগ্রস্ত হউক।” তার এ কথায় কিন্তু সুসমাচার প্রচার এগিয়ে যাচ্ছিলেন।    কলসীয় (১:১) মণ্ডলীর প্রতি পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের এই পদগুলোতে প্রেরিত পৌল মণ্ডলীর সদস্যদের বিশেষভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, “তাঁহাতেই বদ্ধমূল ও সংগ্রথিত হইয়া প্রাপ্ত শিক্ষানুসারে বিশ্বাসে দৃঢ়ীভূত হও।” দৃঢ়ীভূত শব্দটির অর্থ - “অনমনীয়, শক্ত, অটল বা দৃঢ়ভাবে স্থাপিত। দৃঢ়চেতা, নিশ্চিত, প্রতিষ্ঠিত”। ইফিষের মণ্ডলীকে পৌল লিখেছিলেন, “যেন আমরা আর বালক বা শিশু না থাকি, মনুষ্যদের ঠকামিতে, ধূর্ততায়, ভ্রান্তির চাতুরিক্রমে তরঙ্গাহত এব

আমাদের কি মৃতদের জন্য প্রার্থনা করা উচিত? Should we pray for the souls of the dead?

Image
প্রার্থনা মৃতদের জন্য নয়। কিন্তু যারা জীবনদশায় আত্মিকভাবে মৃত অবস্থায় আছেন সেই তাদের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। প্রার্থনা মৃতদের কবরের কাছে নয়, সমাধি স্থলে প্রার্থনা নয়। কিন্তু জীবনদশায় আত্মিকতায় সেই মৃতদের কাছে যাওয়া উচিত। প্রার্থনা মৃত প্রাণের জন্য করা নয়। কিন্তু আত্মিকতায় যারা অসচেতন অবস্থায় আছেন, তাদের জন্য ভাবতে হয়। কাথলিক মণ্ডলী মৃত প্রাণের জন্য অর্থাৎ মৃত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করার শিক্ষা তাদের শাস্ত্র এপোক্রিপা (Apocrypha) থেকে 2 Maccabees 12:43-45 পদ থেকে পেয়েছে। এখানে মৃতদের কাছে প্রার্থনা করা এবং মৃতদের পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য নৈবেদ্য প্রদান করা শেখায়। ২ ম্যাকবসি ১২:৪৩-৪৫ থেকে এই উদ্ধৃতি বিবেচনা করুন: “তিনি একটি সংগ্রহও করেছিলেন . . এবং তা যিরূশালেমে পাঠিয়েছিলেন পাপ-উৎসর্গের জন্য। . . কারণ তিনি যদি আশা না করতেন যে যারা ঘুমিয়ে পড়েছেন তারা আবার জেগে উঠেবে, তাহলে মৃত্যুর জন্য ক্ষমা করাটা অপ্রয়োজনীয় এবং বোকামি হবে . . তাই তিনি মৃতদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন, তারা যেন তাদের পাপ থেকে উদ্ধার পায়।” যাহোক আমরা এপোক্রিপা পুস্তকগুলো বিশ্বাস করি না কারণ এই এপোক্রিপা আমাদের বাইবেলের

মানুষ নরদেবতা নয় কিন্তু মানুষ।

  মানুষ নরদেবতা নয় কিন্তু মানুষ। মানুষ যে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট তা আমাদের পবিত্র বাইবেল জানায়। মানুষ কখনই বিবর্তনের কোনো দুর্ঘটনার ফসল নয় কিন্তু চিরন্তন ঈশ্বরের একটি সৃজনশীল বিস্ময়। মানুষ ক্রমান্বয়ে বিবর্তিত হয়ে উচ্চস্তরের নগ্ন বনমানুষ হয়নি কিন্তু পরিপল্পনাকারী স্বয়ং ঈশ্বরের হাতে গড়া। মানুষ সহজাত প্রবৃত্তির দ্বারা পরিচালিত অত্যন্ত বুদ্ধিমান পশু নয় কিন্তু মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে অন্যন, অদ্বিতীয় সৃষ্টি। ঈশ্বর বললেন, “এস আমরা আমাদের প্রতিমূর্তিতে ও সাদৃশ্যে মানুষ সৃষ্টি করি। তারা যাবতীয় পশু, সমুদ্রের মৎস্যকুল, আকাশের পাখি, ভূচর সরীসৃপ এমনকি সমস্ত পূথিবীর তত্ত্বাবধান করবে” তখন ঈশ্বর আপন সাদৃশ্যে মানুষ সৃষ্টি কররেন। ঐশ্বরিক সাদৃশ্যে মানুষকে সৃষ্টি করলেন। নর ও নারীরূপে তাদের তিনি গড়লেন আদিপুস্তক ১:২৬-২৭ পদ। যেহেতু মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট, সেহেতু তার বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের অধিকার আছে। সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে মানুষই হলো অনেকাংশে ঈশ্বরের সদৃশ্য। সে সৃষ্টির মুকুট ও প্রভু, সে বিবর্তনের পদ্ধতিতে উদ্দেশ্যহীনভাবে সম্প্রতি উৎপাদিত বস্তু নয়। মানুষ ঈশ্বরের অধীন কিন্তু সৃষ্টি

মাটিতে নির্মাণ করা প্রাণবাযু প্রবেশ করানো সজীব মানুষের আজ মাটিতে তৈরি তার ভগবান।

Image
সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর মাটির ধূলিতে মানুষ নির্মাণ করলেন, তার নাকে ফুঁ দিয়ে প্রাণবায়ু প্রবেশ করালেন, মানুষ সজীব প্রাণী হলো . . আর এখন ঈশ্বরের এই  সৃষ্ট মানুষই কিনা মাটির ধূলিতে কিংবা পাথর কেটে অথবা গাছ কেটে তার সৃষ্টিকর্তা ভগবানকে তৈরি করে, যার মধ্যে কোনো প্রাণ নেই। আর খ্রীষ্টিয়ানদের মধ্যে অনেকে তাদের ধর্মীয় উৎসবকে সুভেচ্ছা জানায়, তাদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। ঈশ্বর আত্মা, আত্মায় আমাদের ঈশ্বরের আরাধনা। যোহন ৪ অধ্যায়ের ২৩ পদে এমন লেখা আছে যে , প্রকৃত ঈশ্বরের আরাধনাকরীরা আত্মায় ও সত্যে পিতা ঈশ্বরের আরাধনা করবে, কারণ পিতা ঈশ্বর এমন আরাধনাকরীদের খোঁজেন। আমরা শাস্ত্রপাঠ করে (আদিপুস্তক ১:২৬ পদ) জেনেছি যে,  ঈশ্বর তাঁর মত করে এবং তাঁর সঙ্গে মিল রেখে তিনি মানুষ নির্মাণ করলেন। ঈশ্বর তাঁর গৌরবার্থে ও তাঁর প্রশংসা করার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যেন মানুষ তাঁর সাদৃশ্যে এবং তাঁর প্রতিমূর্তিতে অর্থাৎ ছুরতে সৃষ্টি হয়। পবিত্র বাইবেলে উল্লেখ নেই যে, অন্য আর কোনো জীবকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই সত্য শুধুমাত্র মানুষ সৃষ্টিতে। “পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূতির্তে তাহাকে সৃষ্টি কর

যুবক-যুবতীরা কেন চার্চ বিমুখ?

Image
 এই লেখাটা ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা। যুবক-যুবতীরা কেন চার্চ বিমুখ? এ ক্ষেত্রে চার্চের করণীয়: আজ খ্রীষ্টিয়ান যুবক-যুবতীরা চার্চে আসতে চায় না, তারা চার্চ বিমুখ, চার্চের উন্নয়নমূলক কোনো কাজে তাদের আগ্রহ নেই, তারা মাণ্ডলিক যেকোনা কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে চাচ্ছে। কেন তাদের এই অনিহা? এর ফলে কি খ্রীষ্টিয়ান সমাজে কোনো প্রভাব পড়তেছে? এর প্রভাবে তাদের উপর আবার বহু প্রকার কু-প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পত্রিকা খুললে দেখা যায় খ্রীষ্টিয়ান যুব সমাজ মদকতায় আসক্ত, নিজের ধর্ম বিশ্বাস বিসর্জন দিয়ে অন্য ধর্মের ছেলেকে কিংবা মেয়েকে নিজেদের মতো করে কিংবা পালিয়ে বিয়ে করছে। চুরি, করছে, খুন করছে, আরো কতনা খারাপ কাজ করছে। কিছু কিছু যুবক যুবতীদের সাপ্তাহিক চার্চে আসার জন্য ডাকা হলে এমন ভাব করে, মনে হয় তাদেরকে কোনো খারাপ কাজে ডাকা হচ্ছে, এতে তারা একদম বিরক্ত। কেন তারা চার্চ বিমুখ, কেন তাদের এই অনিহা? তাদের এই অনিহা খ্রীষ্টিয়ান সমাজপতিরা কি তা নিয়ে ভাবছেন? এর প্রতিকারের জন্য কি কোনো পদক্ষেপ নিতেছেন? এর জন্য কি পিতা-মাতা দায়ী? সব দায়ভার কি পরিবারের, চার্চের কি কিছু করার নেই?     একজন যুবক-যুবতীর নৈতিক-ধর্মীয়

এই হলেন আমার রাজা

Image
“এই হলেন আমার রাজা” Dr. S.M Lockridge এর  যীশু খ্রীষ্ট সম্পর্কে চমৎকার বর্ণনা। অনুবাদ : নথনিয়েল হাজরা আমার রাজা, রাজা হয়েই জন্মেছেন।  বাইবেল বলে . .  তিনি সপ্ত দিক থেকে রাজা। তিনি-ই যিহূদীদের রাজা - জাতীগতভাবে তিনি রাজা। তিনি-ই ইস্রায়েলের রাজা - জাতীয়ভাবে তিনি রাজা। তিনি ধার্মিকতার রাজা। তিনি যুগ যুগান্তের রাজা। তিনি স্বর্গের রাজা। তিনি গৌরবান্বিত রাজা। তিনি রাজাদের রাজা এবং প্রভুদের প্রভু।  এই হলেন . . আমার রাজা। বেশ, আমি অবাক হবো . . যদি আপনি তাঁকে চিনে থাকেন? আপনি কি তাঁকে চেনেন? আমাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। আপনি কী আমার রাজাকে চেনেন?  দায়ুদ বলেছেন “আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে, বিতান তাঁহার হস্তকৃত কর্ম জ্ঞাপন করে”।   আমার রাজা একজনই যাঁর সীমাহীন ভালোবাসার পরিমাপের কোনো উপায় নেই যে ব্যাখ্যা করা যায়। দূরবীন দিয়ে তাঁর যোগান, তাঁর সম্ভার কুলের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত দেখা যায় না। কোনো বাধায় তাঁর অঝোরে ঝরিত আশির্বাদ বিঘ্নিত হয় না।  তিনি অক্ষয় বলবান। তিনি সম্পূর্ণ সৎ ও আন্তরিক। তিনি চিরন্তন, অবিরাম ও আদি-অন্তহীন একই। তিনি অবিনশ্বর, নিত্য, শাশ্বত্ব, অনন্ত ও মাধুর্যময়। তিন

পরিত্রাণ কি ঈশ্বর আপনাকে সরাসরি দিয়েছেন?

পরিত্রাণ কি ঈশ্বর আপনাকে সরাসরি দিয়েছেন? না!! নতুন জন্ম হওয়া কি ঈশ্বর আপনাকে সরাসরি দিয়েছেন? না!! অনন্ত জীবন কি ঈশ্বর আপনাকে সরাসরি দিয়েছেন? না!! ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার যোগ্যতা কি ঈশ্বর আপনাকে সরাসরি দিয়েছেন? না!! জীবনপুস্তককে নাম লেখানো কি ঈশ্বর আপনাকে সরাসরি দিয়েছেন? না! তাহলে ?? হ্যা, পিতা ঈশ্বর এর সবকিছুই আপনার জন্যই বরাধ্য করেছেন। এসব তিনি অন্য কোনো গুরুকে দেননি আপনাকে দেবার জন্য। পিতা ঈশ্বর এর সবকিছুই দিয়েছেন তাঁর একমাত্র পুত্র যীশু খ্রীষ্টকে আপনাকে দেওয়ার জন্য। যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমেই এসব আশির্বাদ ও পাওনা আপনার জন্য। এসবের পরিচয় এর অভিজ্ঞতা অন্যেরা জানতে ও বুঝতে পারে না যারা প্রভু যীশুকে বিশ্বাস করেনি ও তাঁকে তার নিজের মুক্তিদাতা ও প্রভু বলে গ্রহণ করেননি। এর সবকিছুর কথা পবিত্র ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলে রয়েছে, অন্য কোনো গ্রন্থে নয়। এর সবকিছুর প্রচার একমাত্র যীশু খ্রীষ্টের বিশ্বাসীরা করেন অন্য কেউ নয়, কারণ অন্যেরা এসব বুঝতে পারেন না তাই। যীশু বলেলেন . . “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না” যোহন ১৪:৬ পদ। “কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত প

সামাজিক যোগাযোগে, আড্ডায় কিছু কিছু খ্রীষ্টিয়ানদের আচরণ?

Image
নিঃসন্দেহে একটা দৃষ্টান্ত দিয়ে একটা কথা বলতে হয় যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের এলোমেলো পোস্ট, লাইক, কথাবার্তা, বিরূপ মন্তব্য, এমনকি সামনাসামনি আড্ডায় তাদের কথাবার্তায় একটুতে তর্কে জড়িয়ে যাওয়ায়, তাদের হাবভাব আচারণে তাদের অনেকের অপবিত্র জীবনযাপনের অবস্থায় অবাক হতে হয়, অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়, বিব্রত হতে হয়, এমনকি তাদের জন্য সমস্যায়ও পড়তে হয় অনেক।  আর এটা নিশ্চিত যে তাদের কারণে আমাদের এই সমাজে প্রকৃত খ্রীষ্টের অনুসারীদের বহু কষ্টে আর যন্ত্রনায় জবাব দিহিতায় থাকতে হয়। এ ধরণের অস্বভাবিক আচরণে বিভিন্ন সমস্যায় থাকা অনেকেই তাদের খ্রীষ্টিয়ান বলে পরিচয় দিয়ে আসছেন, কারণ তারা তাদের সুযোগ ও মর্জি অনুযায়ী গির্জায় যান, প্রার্থনা সভাসমিতিতে যোগ দেন, কিন্তু তাদের কথাবার্তা, চিন্তা মনোভাব, ধরনধারণে দেখা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত বদলাতে পারেনি। তাদের নিজেদের পাপ ক্ষমার জন্য নিজেদের পরিচালিত করার জন্য তারা কখনও খ্রীষ্টকে তাদের হৃদয়ে প্রভু বলে স্থান দেননি, একজন নতুন মানুষ হতে কখনও চেষ্টা করেনি (২ করিন্থীয় ৫:১৭ পদ)। এভাবে তারা তাদের ইচ্ছাতেই চলছেন তো চলছেন, পাপই করে আসছে এবং অখাদ্যকুখাদ্য গ্রহণ, জঘণ্য সব ক

আজ মা দিবস, মা অনন্য এক অনুভূতির নাম। Mother is the name of a unique feeling.

Image
মাতৃত্বেই নারীর পূর্ণতা। আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোববার , আজ বিশ্ব মা - দিবস,  মায়েদের জন্য বিশেষ দিন। মা দিবস হলো পরিবার থেকে বা নিজের থেকে মাকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি মাতৃত্ব, মাতৃত্বের বন্ধন এবং সমাজে মায়েদের যে প্রভাব তা জানানোর একটি বিশেষ দিন। যদিও মাকে ভালোবাসা - শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না , তবুও মাকে গভীর মমতায় মনে করার বিশ্ব মা দিবস আজ , সেটা প্রতীকী হলেও। মা অনন্য এক অনুভূতির নাম,  মা একটি সুমিষ্ট শব্দ। মায়েদেরকে অবশ্যই তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে হয়, মায়েদের প্রশংসা করতে হয় , যারা নিঃস্বার্থভাবে তাদের সন্তানদের যত্ন   নিয়েছেন , উন্নত করেছেন আপনাকে আমাকে। মা আপনাকে দশ দশটি মাস ধরে গর্ভে ধারণ করেছেন। মা আপনাকে এ জগতের বুকে নিয়ে আসতে তাকে মৃত্যুদ্বারা পর্যন্ত যেতে হয়েছিল। যেখানে একজন মানুষ সর্বোচ্চ ৪৫ ডেল ব্যথা সহ্য করতে পারে , সেখানে মা আপনার জন্মের সময় ৫৭ ডেল ব্যথা সহ্য করেন, কিন্তু সন্তানের প্রতি মায়ের যে আবেগ , যে মমতা তা পরিমাপের সাধ্য নেই কোনো পরিমাপক